ঢাকা ৩ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

সমাজ বদলের জন্য প্রয়োজন যুক্তফ্রন্ট: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ পিএম
সমাজ বদলের জন্য প্রয়োজন যুক্তফ্রন্ট: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
ছবি: খবরের কাগজ

ব্রিটিশ-পাকিস্তানি আমলের মতো দেশের স্বাধীনতার পর ক্ষমতার পালাবদলে উন্নতি হলেও সমাজের কোনো পরিবর্তন হয়নি। অতীতেও সমাজে যেমন মানুষের মধ্যে রাজা-প্রজার সম্পর্ক ছিল, এখনো সেই সম্পর্ক বিরাজমান। সমাজের এই পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন সাংস্কৃতিক বিপ্লব, যেটি বাস্তবায়নে গঠন করতে হবে যুক্তফ্রন্ট। তবে এটি নির্বাচনমুখী হবে না, হবে সমাজ বদলের যুক্তফ্রন্ট। যদি যুক্তফ্রন্ট গঠন করা যায়, তা হলে বুর্জোয়াদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই সম্ভব হবে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের তিন দিনব্যাপী বিজয় উৎসবের উদ্বোধনকালে সমাজ বদলের জন্য যুক্তফ্রন্ট গঠনের কথা উল্লেখ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নতি হয়েছে, পাকিস্তানেও উন্নতি ছিল। তবে আইয়ুব শাসনামলে গণতন্ত্র ছিল। আজকে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হয়েছে সেটি পুঁজিবাদী উন্নয়ন। এই উন্নয়নের ফলে বৈষম্য, মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতা ও দেশপ্রেমের অবনতি ঘটেছে। শতকরা ২০ ভাগ মানুষের উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ব্রিটিশ, পাকিস্তান আমলে সংগ্রাম করল। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, আজ বাংলাদেশও উপনিবেশ হয়ে উঠেছে। হয়ে উঠেছে ধনীদের উপনিবেশ, এ ধনীরা লুণ্ঠন করে ধনী হয়েছে যেভাবে আগে লুণ্ঠিত হয়েছে। ২৩ বছরের শোষণ গেল, ৫৩ বছরের উন্নতি হলো, কিন্তু সমাজ আগের জায়গায় রয়ে গেল।’

সমাজে মানুষে-মানুষে সম্পর্ক রাজা-প্রজার মতো অতীতেও ছিল, এখনো রয়েছে উল্লেখ করে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু সংস্কারের মাধ্যমে কী সমাজবদল সম্ভব! বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলসহ সবগুলোই বুর্জোয়া। যে দল পালিয়ে গেল তারা যেমন বুর্জোয়া ছিল, তেমনি আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাও বুর্জোয়া রাজনৈতিক দল। যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে তারাও ওই একই ধারার। যে রাজনীতি বাংলাদেশে প্রয়োজন সেটি হলো বিরোধী রাজনীতি। এই রাজনীতির জন্য প্রয়োজন সামাজিক বিপ্লব। এই বিপ্লবের জন্য সাংস্কৃতিক বিপ্লব প্রয়োজন।’

মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা মিললেও মুক্তি মেলেনি উল্লেখ করে ঢাবির এই ইমেরিটাস অধ্যাপক আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা পেলেও আমরা সমাজকে বদল করতে পারিনি। ফের ওই জমিদার-প্রজার সম্পর্ক রয়ে গেছে। তাই ধনী-দরিদ্রের বিভাজন মুছে ফেলতে হবে। পুঁজিবাদী উন্নয়নের ধারাকে মুছে ফেলে সামাজিক মালিকানার উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে। গ্রাম-গঞ্জে এই সংস্কৃতি চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে এবং পুরোটাই হবে আদর্শ নির্ভর। সেই আদর্শ হচ্ছে সমাজ বদলের, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যার মূলে রয়েছে সমাজ বিপ্লবের চেতনা। সেই আদর্শ নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’

তরুণদের সম্পৃক্ত করে সমাজের এ বিপ্লবের জন্য বাম ঘরনার যেসব রাজনৈতিক দল রয়েছে তাদের যুক্তফ্রন্ট গঠনের আহ্বান জানিয়ে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘অনেক ছোট ছোট দল রয়েছে। যারা ভেঙে ভেঙে ছোট হয়ে আরও ছোট হয়ে যাচ্ছে। সে সব দলের উচিত একত্রে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা। এই যুক্তফ্রন্ট গঠন না হলে আমরা সাংস্কৃতিক আন্দোলন করতে পারব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তফ্রন্টে থাকবে বাম গণতান্ত্রিক, বামপন্থি এবং সমাজপন্থিদের ঐক্য। ১৯৫৪ সালে আমরা যুক্তফ্রন্ট দেখেছি, সেই যুক্তফ্রন্ট ছিল নির্বাচনের যুক্তফ্রন্ট। তবে এবার যুক্তফ্রন্ট হবে সমাজ পরিবর্তনের যুক্তফ্রন্ট। এ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনি যুক্তফ্রন্ট হবে না।’

গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের তিন দিনব্যাপী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের সমন্বয়ক জামসেদ আনোয়ার তপন, মুক্তিযোদ্ধা ও বাসদের সাবেক সম্পাদক খালেকুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা নূর মুহাম্মদ, আরিফ রহমানসহ আরও অনেক বক্তব্য রাখেন।

উদ্বোধনী দিনের ওই সন্ধ্যায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আলোক প্রজ্জ্বলন, গান, কবিতা আবৃত্তি ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন ছিল। শনিবার থেকে শুরু হওয়া ওই আয়োজন চলবে আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণের পেছনে ছিল গোয়েন্দা সংস্থা: প্রেস সচিব

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণের পেছনে ছিল গোয়েন্দা সংস্থা: প্রেস সচিব
ডিআরইউ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করার পেছনে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অন্যতম বড় ভূমিকা ছিল। সেই জায়গা থেকে সরে আসতে হবে। ভবিষ্যতে গণমাধ্যমে যাতে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হস্তক্ষেপ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণমাধ্যম চাই’ এর ব্যানারে ‘গণমাধ্যম সংস্কার প্রস্তাব: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, গণমাধ্যমের সংস্কার আমরা করতে যাচ্ছি কারণ গণমাধ্যমকে গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকার ব্যবহার করেছে। আইসিটি নামে যেটা ছিল সেটা ন্যায়বিচার ছিল না। সেটা ভয়াবহ অন্যায় বিচার ছিল।

আমাদের দেশে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট খুবই জরুরি মন্তব্য করে শফিকুল আলম বলেন, এ বিষয়ে সব সাংবাদিকদের জোরালভাবে কথা বলতে হবে। আপনি দুই মাস খেটে একটা নিউজ করলেন, সেটা অন্য কোনো নিউজ পোর্টাল এক সেকেন্ডে কপি করে ফেলল। আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর একটা ছবি তুললেন, সেটা একটা বড় পত্রিকায় আপনার অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করে ফেলল। আপনাকে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট দিতে হবে। কারণ এটি আপনার আয়ের উৎস।

তিনি আরও বলেন, যারা চুরি করে তাদের বন্ধ করে দেওয়া উচিত। প্রেস কাউন্সিল অনেক কথা বলে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অনেক কথা বলে, নোয়াব অনেক কথা বলে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো উচিত যারা এরকম চুরি করছে, তাদের বন্ধ করে দেওয়া। 

আলোচনা সভা থেকে ১৩টি প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে— গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, গণমাধ্যমে নৈতিকতা ও পেশাদারত্ব প্রতিষ্ঠা, সরকারি নিয়ন্ত্রণ রোধে স্বতন্ত্র গণমাধ্যম কমিশন গঠন, মালিকানা ও অর্থায়নের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, সাংবাদিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও চাকরির নিরাপত্তা, বেতন কাঠামোর সংস্কার, সাইবার নিরাপত্তা আইনের সংস্কার, সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন, বাজেটে গণমাধ্যমের জন্য বরাদ্দ রাখা, গণমাধ্যম নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজিকরণ, আঞ্চলিক ও বিকল্প গণমাধ্যমের উন্নয়ন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণ এবং জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন- ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই এর মুখপাত্র প্লাবন তারিক, আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন শিশির, সাইবার অ্যাক্টিভিস্ট আব্বাস উদ্দিন নয়ন, আইনজীবী মোল্লা ফারুক এহসান এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রভাষক মাহবুব আলম প্রমুখ।

এমএ/

ট্যানারির গোডাউনে দাহ্য বস্তু, ছিল না নিরাপত্তাব্যবস্থা: ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১১ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম
ট্যানারির গোডাউনে দাহ্য বস্তু, ছিল না নিরাপত্তাব্যবস্থা: ফায়ার সার্ভিস
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার হাজারীবাগের ট্যানারি গোডাউনে আগুন লাগার তিন ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় বিকাল পৌঁনে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনটির ভেতরে দাহ্য বস্তু ছিল, ছিল না ফায়ার সেফটি প্ল্যান নিরাপত্তাব্যবস্থা।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে। আমাদের সক্ষমতার পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারিনি। ভেতরে দাহ্য বস্তু, পানির সংকট, উৎসুক জনতার ভিড় ও সরু রাস্তার কারণে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা কাজে লাগানো যায়নি।

তিনি আরও বলেন, ভবনটিতে প্লাস্টিক, চামড়াজাতীয় দাহ্য বস্তুর কারখানা ছিল। তবে আগুনে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগে কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আগুন ভবনের ৫, ৬ ও ৭ তলায় ছড়িয়ে পড়েছিল।

মাহফুজ/এমএ/

আগে যা খুশি করেছেন, এখন আর সেই সময় নেই: এম সাখাওয়াত

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম
আগে যা খুশি করেছেন, এখন আর সেই সময় নেই: এম সাখাওয়াত
ভোলায় লঞ্চঘাট পরিদর্শনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা। ছবি: খবরের কাগজ

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, স্বৈরাচারী সরকারের সময় যে যা খুশি তা করেছে, এখন আর সেই সময় নেই। সেটা যেন আর না হয়। ভবিষ্যতে যারা সরকারে আসবেন আশা করি তারা অতীত থেকে শিক্ষা নিবেন যে কী করলে কী হয়। আমরা যত দিন আছি ততোদিন আর অরাজকতা সৃষ্টি হবে না।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভোলার দৌলতখানে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাট পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আধুনিক লঞ্চ ঘাট ও জেটি প্রকল্পের স্থান পরিদর্শনে তিনি ২ দিনের সফরে ভোলায় অবস্থান করছেন।

লঞ্চঘাট গুলোতে যে অরাজকতা হয় তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, 'ঘাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৫ টাকার টিকেট ১০ টাকা নেওয়ার এখন আর সুযোগ নেই, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সকলকে এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'নৌ পথের নিরাপত্তা ও ঘাটের চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করবে।'

চারপাশ নদীবেষ্টিত দ্বীপজেলা ভোলায় যে ঘাটগুলো রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয় এবং উন্নত সুযোগ সুবিধা নেই। এই পরিপেক্ষিতে ভোলাতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বেশ কিছু ঘাট পূর্ননির্মিত হচ্ছে জানিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, 'নতুন ঘাটগুলো ভোলা সদরের ইলিশা, দৌলতখান, তজুমউদ্দিন, ও মনপুরায় নির্মিতি হবে। এ ছাড়াও দক্ষিনাঞ্চল নৌ পথ সচল রাখতে ড্রেজিং কার্যক্রম এবং ভোলা-মনপুরাসহ সুবিধাজনক পয়েন্টে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে।'

ঘাটগুলো নির্মানে স্থানীয় বাসিন্দা ও সাধারণ মানুষের সাময়িক অসুবিধা হলেও উন্নয়নের স্বার্থে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

ইমতিয়াজ/সিফাত/

হাজারীবাগের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১২ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২১ পিএম
হাজারীবাগের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারের ট্যানারি গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল পৌঁনে পাঁচটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে দুপুর দুইটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করলেও পর্যায়ক্রমে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়।

এ দিকে আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করেছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি।

আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

নাবিল/এমএ/

হাজারীবাগের অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারে বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
হাজারীবাগের অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারে বিজিবি মোতায়েন
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাজারীবাগে ট্যানারি গোডাউনের আগুনের ঘটনায় উদ্ধার কাজে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে হাজারীবাগ কাঁচাবাজার সংলগ্ন ৭তলা ভবনের চতুর্থ তলায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, হাজারীবাগে লেদারের গোডাউনে আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

এমএ/