ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

শনিবার থেকে বৃষ্টির আভাস, কমতে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম
আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
শনিবার থেকে বৃষ্টির আভাস, কমতে পারে তাপমাত্রা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

আগামী সপ্তাহের প্রথম কয়েকদিন বৃষ্টি হতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ এ তথ্য জানায়।

তিনি বলেন, আগামী শনিবার থেকে দু-তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। মাঝে মাঝে এমন বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পর থেকে সারা দেশের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। জানুয়ারি মাস থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। 

এ সপ্তাহে তাপমাত্রা প্রায় স্বাভাবিক থাকতে পারে বলেও জানান তিনি। 

বজলুর রশীদ বলেন, চলতি সপ্তাহে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। 

এদিকে সোমবার এক আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। 

সোমবার থেকে আগামী দুই দিনের পূর্বাভাসে অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই সময়ে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডতে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পপি/

আবহাওয়ার পূর্বাভাস: বৃষ্টি হতে পারে ৩ বিভাগে

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
আবহাওয়ার পূর্বাভাস: বৃষ্টি হতে পারে ৩ বিভাগে
ছবি: সুমন বিশ্বাস, খবরের কাগজ

রাজশাহী, ঢাকা এবং খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

রবিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। 

এ ছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। 

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

সুমন/

আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণসভায় বক্তারা ‘স্যারের সমকক্ষ কেউ হতে পারবেন না’

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৫ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
‘স্যারের সমকক্ষ কেউ হতে পারবেন না’
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল সবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণসভা। ছবি: খবরের কাগজ

‘গ্রামের আলপথ ধরে দৌড়ে যাচ্ছে এক দুরন্ত কিশোর। সেই কিশোর সদলবলে ঝাঁপিয়ে পড়ছে নদীতে। কখনো আবার গাছের খোঁড়ল থেকে পাখি খুঁজছে। গোধূলিবেলায় শখের ঘুড়ির ভোঁ-কাট্টা হলে বেজায় মন খারাপ হয় তার।’ একদিন গ্রাম ছেড়ে শহরে আসেন; ততদিনে তিনি টগবগে যুবক। শহরে এসে কেমন বদলে গেলেন। পড়াশোনা হয়ে উঠল তার ধ্যানজ্ঞান।

সারা বেলা রাজ্যের বই কোলে করে ঘুরে বেড়াতেন শহরের এ গলি, সে গলি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে মেধা-সৌকর্যে তার নাম ছড়াল দিকে দিকে। এক দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন সবার প্রিয় ‘আরেফিন স্যার’। 

সদ্যপ্রয়াত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণসভায় কৈশোরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তার অনুজ আতিক উল্লাহ সিদ্দিক। প্রিয় শিক্ষকের সঙ্গে কাটানো নানা মুহূ্র্তের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে স্মরণসভায় অশ্রুসজল হলেন আরেফিন সিদ্দিকের শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা।

শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে রাজধানী বাংলামোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এই স্মরণসভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। যমুনা টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাকিল হাসানের সঞ্চালনায় এই আয়োজনে যোগ দেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব আবু আলম শহীদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার, সাইফুল হক, ড. আবদুর রাজ্জাক খান, যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারপারসন শারমিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক শামসুল আরেফিন, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি শামসুল হক, সাবেক সভাপতি স্বপন দাশগুপ্ত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক প্রদীপ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মেহেদি হাসান, বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহিসহ আরও অনেকে। অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের পারিবারিক বন্ধু ব্যবসায়ী ও গীতিকার গোলাম মোর্শেদও এই আয়োজনে অংশ নেন।

প্রিয় শিক্ষক স্মরণে আবু আলম শহীদ খান বলেন, ‘মানুষ হিসেবে স্যারকে নিয়ে অনেক আলোচনা, সমালোচনা করা যাবে। কিন্তু তার ১০০টি কাজের ৯৯টি সত্যিকারের কাজই ছিল। একটি কাজ হয়তো ভালো করেননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত কলেজের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে যে কথাগুলো উঠেছে, উপাচার্য হিসেবে স্যার হয়তো সেই সময় সব নীতি মেনে কাজটি করতে পারেননি। তাই বলে স্যারকে নিয়ে অযাচিত সমালোচনা ঠিক না।’

জুডিশিয়াল সার্ভিসে চাকরি করে আসা শামসুল হক বলেন, ‘আমরা যারা সরকারি চাকরি করে এসেছি, তারা জানি পরিস্থিতি আমাদের কত কিছু করতে বাধ্য করে। স্যারকেও হয়তো অনেক কিছু করতে বাধ্য হতে হয়েছে।’

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের সমালোচনার তীব্র নিন্দা জানান শিক্ষক শারমিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যারা স্যারের সমালোচনা করেন, তারা কীসে প্রলুব্ধ হয়ে স্যারের সমালোচনা করেন, বুঝি না। একজন শিক্ষকের ১০টি গুণের কথা যদি তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, তবে তার সবগুলো গুণ আরেফিন স্যারের ছিল। এই সমালোচকদের বলছি, শিক্ষকদের অসম্মান করে তারা কে কত দূর যাবেন, জানি না।’

শামসুল আরেফিন বলেন, ‘ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে এক অভূতপূর্ব সম্পর্ক তৈরি করে গেছেন আমাদের স্যার। তার সমকক্ষ আর কেউ হতে পারবেন না। নিজের ব্যক্তিত্বের গুণেই তিনি সকলের সমীহ আদায় করে নিতে পারতেন। আমরা কারণে-অকারণে স্যারকে মিস করব।’

স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘এত উঁচু মাপের মানুষ ছিলেন স্যার। সহজেই তিনি মানুষকে কাছে টেনে নিতে পারতেন। কেউ নেতিবাচক কথাবার্তা বললেও দেখতাম স্যার মনোযোগ দিয়ে সব শুনছেন।’ 

অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করতে এসে শাওন্তী হায়দার বলেন, ‘প্রতিবার ঈদে আমি আমার শিক্ষকদের ফোন করি। ফোনে ডায়াল করতে গেলে আগে স্যারের নামটিই আসত। স্যার আমাকে বলতেন, কেউ ফোন না করলেও তুমি যে ফোন করবে জানতাম। এবার ঈদে স্যারকে আর ফোন করতে পারব না।’ বলতে বলতে গলা ধরে আসে শাওন্তীর। স্মৃতিচারণ সভায় আগত শিক্ষার্থীদের চোখ তখন ছলছল করে ওঠে। অনুষ্ঠান শেষ হয় প্রিয় শিক্ষকের দ্যুতিময় ব্যক্তিত্বের সুখকর স্মৃতিচারণ ও শ্রদ্ধায়।

সিলেটে বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:২৯ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
সিলেটে বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা
সিলেটে বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটে বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনাবিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট নগরীর ধোপাদিঘির পাড়স্থ হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনালের হলরুমে আয়োজিত সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

জ্বালানি খাতের স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটি (হাউস), উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) এবং বিডাব্লিউজিইডির যৌথ উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়। 

আলোচনা সভায় দেশের জ্বালানি খাতের বিকল্প সম্ভাবনা, স্বল্প-মেয়াদি ও দীর্ঘ-মেয়াদি পরিকল্পনা এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্লিন-এর প্রধান সমন্বয়কারী মাহবুব আলম প্রিন্স এবং প্রচারাভিযান সমন্বয়কারী সাদিয়া রওশন অধরা। সাদিয়া রওশন বলেন, ‘দেশের বার্ষিক বিদ্যুৎ চাহিদা প্রতি বছর ৬ দশমিক ৫ থেকে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৪ শতাংশে নেমে আসতে পারে।’

মাহবুব আলম বলেন, ‘দেশের শিল্পখাতের ছাদে ৫ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন সম্ভব, যা বছরে ৮ হাজার ১০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। একইভাবে আবাসিক ভবনের ছাদে ২৫ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করা সম্ভব, যা বছরে ৪৮ হাজার ৬২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।’

এ ছাড়া ২০৩৫ সালের পর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অবসরে চলে গেলে উৎপাদন সক্ষমতা হ্রাস পাবে। সে সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।

সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাস, সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন এবং আইডিয়ার নির্বাহী পরিচালক নাজমুল ইসলাম।

তাওফিক/ 

বিশ্ব আবহাওয়া দিবস তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সামাল দেওয়াই চ্যালেঞ্জ

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:১৮ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:১৯ এএম
তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সামাল দেওয়াই চ্যালেঞ্জ
ছবি: খবরের কাগজ

গত চার বছর ধরে টানা ‘হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহের কবলে রয়েছে বাংলাদেশে। গত বছর ছিল টানা তাপপ্রবাহের রেকর্ড। চলতি বছর টানা না হলেও থেমে থেমে তাপপ্রবাহের কবলে পড়বে দেশ- এমনটা আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে তাপপ্রবাহজনিত নানা পরিস্থিতি সামাল দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমন বাস্তবতায় ‘ক্লোজিং দ্য আর্লি ওয়ার্নিং গ্যাপ টুগেদার’ বা একসঙ্গে আগাম সতর্কীকরণের ব্যবধান কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে আজ রবিবার (২৩ মার্চ) পালিত হচ্ছে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ও গবেষক ড. বজলুর রশীদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘২০২৫-এ আশা করা যাচ্ছে, গতবারের মতো টানা হিট ওয়েভ হবে না। বৈশ্বিকভাবেও তাপমাত্রা একটু কম থাকার সম্ভাবনা আছে। এল নিনোসহ গ্লোবাল ওয়েদারে যেসব বিষয় ডোমিনেট করে সেগুলো নিউট্রাল বা একটু কম। গ্লোবালি তাপমাত্রা যদিও কম থাকবে কিন্তু আমাদের লোকালাইজ হিট আছে। তবে আগের মতো টানা হিট ওয়েভ হবে না। ভেঙে ভেঙে হিট ওয়েভ হতে পারে। এটা অনেক ধাপে আসবে। এখনো তো গরম শুরু হয়নি। কিন্তু দু-এক দিন বৃষ্টির পর গরমটা আসবে।

তিনি বলেন, গত বছরের ১১ থেকে ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো বৃষ্টি হয়নি। হিট ওয়েভ ছিল। এবার হয়তো সে রকম হবে না। কিন্তু গরম থাকবে। ফলে চ্যালেঞ্জ তো থাকছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে তাপপ্রবাহের কারণে পঞ্চম দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃত্যুও ঘটে হিট স্ট্রোকের কারণে। একযোগে দেশের ৪২ জেলায় বয়ে যায় হিট ওয়েভ। মার্চ কিংবা এপ্রিলের স্বাভাবিক যে তাপমাত্রা সেটার চেয়েও ৭ কিংবা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। আরও কয়েকটি স্থানের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির বেশি। ফলে স্বভাবতই বাড়ে গরমের অনুভূতি।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের আবহাওয়ার প্যাটার্নেও পরিবর্তন আসছে। অসময়ে বৃষ্টি, আবহাওয়ার রুটিন পরিবর্তনে বিষয়টিকে আবহাওয়াবিদরা অস্বাভাবিক আবহাওয়া হিসেবেও চিহ্নিত করেন। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে আবহাওয়ার ওপর ব্যাপক প্রভাব ছিল এল নিনোর। চলতি বছর সেটির প্রভাব কমলেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে আসা গ্রিন হাউস গ্যাস বায়ুমণ্ডলে জমা হয়ে পৃথিবীকে আরও উষ্ণ করতে পারে বলেও তথ্য রয়েছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২০২৪ সাল ছিল সবচেয়ে উষ্ণ বছর। পরিবেশের নানা উপাদানের পরিবর্তনের কারণে এক্সট্রিম আবহাওয়ায় পরিণত হচ্ছে। ফলে ট্রপিক্যাল সাইক্লোন, প্রবল বৃষ্টিপাত, সামুদ্রিক ঝড়, বন্যা, প্রাণঘাতী খরা এবং অগ্নিকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগরের স্তর বাড়ছে, যার ফলে ঘনবসতিপূর্ণ উপকূলীয় এলাকাগুলো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ ছাড়া জলবায়ু ঝুঁকি বাড়ার কারণে সবার জন্য আগাম সতর্কবার্তা উদ্যোগও জরুরি হয়ে পড়েছে।

ঢাকার বাতাসের উন্নতি!

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৫ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৬ এএম
ঢাকার বাতাসের উন্নতি!
ছবি: সুমন বিশ্বাস, খবরের কাগজ

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) স্কোরে দূষিত বাতাসের শহরে সারা বিশ্বের মধ্যে ঢাকা আজ নবম স্থানে রয়েছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় মিনিটে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১৫৯। তাই ঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর।

একই সময়ে পাকিস্তানের লাহোর ২৮৪ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, ভারতের দিল্লি ১৮৬ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ১৮৫ একিউআই স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

যখন কণাদূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘসময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

একিউআই মান ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

সুমন/