ঢাকা ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

পলিথিন-প্লাস্টিকের দূষণমুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে চাই: মেয়র ডা. শাহাদাত

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ এএম
আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ এএম
পলিথিন-প্লাস্টিকের দূষণমুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে চাই: মেয়র ডা. শাহাদাত
ছবি : খবরের কাগজ

পলিথিন-প্লাস্টিকের দূষণমুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে চান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এক বছরের মেয়াদী এমন একটি অভিনব পাইলট প্রকল্প চালু করেছে যা এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

দুটি সংস্থার সমন্বয়ে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে শুরু হয়েছে “প্লাস্টিকের বিনিময়ে বাজার” প্রকল্প যার আওতায় যে কেউ পরিত্যক্ত প্লাস্টিক জমা দিলে পাবেন বাজার করার সুযোগ। 

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) নগরীর বাকলিয়া স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে “প্লাস্টিকের বিনিময়ে বাজার” প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের অধীনে পতেঙ্গা ও হালিশহরে দুটি স্থায়ী স্টোর চালু থাকবে, যেখানে যে কেউ পরিত্যক্ত প্লাস্টিক জমা দিলে স্বল্পমূল্যে বাজার করার সুযোগ পাবেন। এছাড়া ৫০টি ভ্রাম্যমাণ বাজার ক্যাম্প হবে, যেখানে প্রতি ইভেন্টে ৫০০-এর বেশি পরিবার প্লাস্টিক জমা দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুই লাখ কেজি পরিত্যক্ত প্লাস্টিক রিসাইকেল করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে যেখানে প্রতি কেজি পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দাম ২০-২৫ টাকা, সেখানে এই প্রকল্পে বিদ্যানন্দ ৫০-৮০ টাকা পর্যন্ত দাম দিচ্ছে।

এক কেজি প্লাস্টিক দিয়ে ছয়টি ডিম পাওয়া যায়, আর চার কেজি প্লাস্টিক জমা দিলে এক লিটার সয়াবিন তেল, একটি মুরগি বা মাছ পাওয়া যায়। শিক্ষা সামগ্রী, কাপড়, স্যানিটারি প্যাডসহ আরও ২২ ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য থাকছে এই সুপারশপে। মানুষ তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য বেছে নিতে পারবেন। 

উদ্বোধনী দিনে ৫০০-এর বেশি স্থানীয় প্রান্তিক পরিবার প্লাস্টিকের বিনিময়ে বাজার করার সুযোগ পেয়েছেন। আয়োজকরা জানান, প্রথম দিনেই পাঁচ মেট্রিক টন পরিত্যক্ত প্লাস্টিক সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।

সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, 'আমি পলিথিন-প্লাস্টিকের দূষণমুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে চাই। আজকের এই অভিনব প্রকল্প এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।'

'যেকোনো সমস্যা সমাধানে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেওয়া সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। নদীমাতৃক এই দেশের প্রাণপ্রবাহ রক্ষা করা এবং প্লাস্টিক দূষণে বিপন্ন প্রাণীকুলকে রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি। এই পৃথিবীকে দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য রাখতে সচেতনতা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। চট্টগ্রামকে প্লাস্টিক দূষণ থেকে রক্ষা করতে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।'

বিদ্যানন্দের বোর্ড সদস্য মো. জামাল উদ্দিন বলেন, “প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা এতই ব্যাপক যে এটি সরকারের একার পক্ষে রোধ করা অসম্ভব। এই দূষণ কমাতে ব্যাপক জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা প্রয়োজন। তাই মানুষকে সম্পৃক্ত করতেই আমরা সারাদেশে প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোর চালু করছি। এ বিষয়ে আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। আশা করছি, এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্লাস্টিকের ভয়াবহতা সম্পর্কে জনগণকে ধারণা দিতে পারব এবং প্লাস্টিক দূষণ রোধ ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারের যে বিপুল ব্যয় হয়, তা আমাদের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কিছুটা হলেও কমাতে পারব।”

তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক চুয়েটের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বন্দরনগরীর মানুষ প্রতিদিন তিন হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদন করে, যার মধ্যে ২৫০ টন (৯ শতাংশ) প্লাস্টিক এবং পলিথিন বর্জ্য। এর মধ্যে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ মেট্রিক টন বর্জ্য খাল ও নর্দমায় গিয়ে পড়ে। সিপিডির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশের উপকূলীয় নদীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হচ্ছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে, যা বন্দরনগরীর জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো এই সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করছে। তবে এ ধরনের প্রকল্পগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য পরিস্থিতির সঠিক মূল্যায়ন, জনসচেতনতা, এবং পরিবেশ ও জনবান্ধব প্রকল্পের প্রয়োজন।

তিনি আরও জানান, এটি একটি টেকসই অলাভজনক ব্যবসায়িক মডেল। প্রথম বছর আমরা প্রতি কেজি প্লাস্টিকে ৩০-৪০ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছি। যেমন, প্রতি কেজি প্লাস্টিকের বিনিময়ে গড়ে ৬০ টাকার পণ্য দিলেও রিসাইকেল কোম্পানির কাছে বিক্রি করে প্রতি কেজিতে গড়ে ৩০ টাকার কম পাচ্ছি। দুই লাখ কেজি প্লাস্টিক রিসাইকেল করতে আমরা পণ্য দিচ্ছি এক কোটি ২০ লাখ টাকার। প্লাস্টিক বিক্রি করে ৬০ লাখ টাকা পাওয়া যাবে। ফলে পরবর্তী বছরে একই পরিমাণ প্লাস্টিক রিসাইকেল করতে ভর্তুকি ৫০ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে। তৃতীয় বছরের পর কোনো ভর্তুকি ছাড়াই প্রকল্পটি পরিচালনা করা যাবে।”

২০২২ সালে প্রথমবার প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বিদ্যানন্দ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোর চালু করে। সেখানে কোনো প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা ছিল না। ফলে প্রবাল দ্বীপের মানুষের কাছে প্লাস্টিক ছিল একেবারেই মূল্যহীন। বিদ্যানন্দের এই আইডিয়ার মাধ্যমে সেন্টমার্টিনের প্লাস্টিককে মুদ্রায় রূপান্তরিত করা হয়। দ্বীপের মানুষ পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বিনিময়ে বাজার করার সুযোগ পায়। এতে দ্বীপ ও সমুদ্র প্লাস্টিক দূষণমুক্ত হওয়া ছাড়াও দরিদ্র মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ সহজ হয়। সেন্টমার্টিনে সাফল্যের পর দেশব্যাপী এটি চালুর চিন্তা করা হয়।

আবদুস সাত্তার/জোবাইদা/

কুয়েত সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম
কুয়েত সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

কুয়েত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলসহ দেশে ফিরেন তিনি। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, সফরকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কুয়েত ন্যাশনাল গার্ডের সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এই সফরকালে সেনাপ্রধান কুয়েতে বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্টস (বিএমসি) সদর দপ্তর পরিদর্শনসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফের আমন্ত্রণে সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কুয়েত সফরে গিয়েছিল।

আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, কুয়েতের আমির উপসাগরীয় যুদ্ধে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ে অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

 

 

ডেভিল হান্টে সারা দেশে গ্রেপ্তার আরও ৫৩২

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৫ পিএম
ডেভিল হান্টে সারা দেশে গ্রেপ্তার আরও ৫৩২
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

যৌথ বাহিনী পরিচালিত অপারেশন ডেভিল হান্টে সারা দেশে আরও ৫৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ১ হাজার ৫১ জনকে। সব মিলিয়ে সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত) গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ৫৮৩ জনকে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের ওই ২৪ ঘণ্টায় জব্দ করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, একটি স্টিলের চাপাতি, বার্মিজ চাকু দুটি, একটি স্টিলের ছুরি ও একটি স্টিলের কিরিজ। 

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট তথা শয়তান শিকারের অভিযান। ওই সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাতময় ঘটনা বেড়ে গেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এর পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে এই বিশেষ অভিযান শুরু হয়।

প্রধান উপদেষ্টা একুশে পদক দেবেন বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
প্রধান উপদেষ্টা একুশে পদক দেবেন বৃহস্পতিবার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১৮ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দলকে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বেলা ১১টায় এ পদক বিতরণ করা হবে। পদক বিতরণ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

একুশে পদকের জন্য মনোনীতরা হলেন চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), সংগীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরা, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন ও চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা। সাংবাদিকতায় মাহ্ফুজ উল্লাহ (মরণোত্তর), গবেষণায় মঈদুল হাসান, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান।

এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহদী হাসান খান (দলনেতা), রিফাত নবী (দলগত), মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম (দলগত) ও শাবাব মুস্তাফা (দলগত)। সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মো. শহিদুল হক) (মরণোত্তর), সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহিদুল আলম এবং ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

৩ দাবিতে সচিবালয়ের সামনে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম
৩ দাবিতে সচিবালয়ের সামনে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা
ছবি: সংগৃহীত

তিন দাবিতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। বেলা ১টায় ‘গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবার’ ব্যানারে তারা সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেন। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করে ফিরে যান। 

বুধবার সন্ধ্যায় খবরের কাগজকে এসব তথ্য জানান শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর সরদার বুলবুল আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ৩টার ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা ফিরে যান। পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ প্রস্তুত ছিল।’ 

এর আগে সকালে শাহবাগে জড়ো হন তারা। পরে সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ের দিকে রওনা হয়ে বেলা ১টার দিকে সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেন। অবস্থান কর্মসূচিতে আহত ও শহিদ পরিবারের অর্ধশতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে আহতরা এতে অংশ নেন।

আন্দোলনে আহত জিহাদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আহত ও শহিদ পরিবারের সঙ্গে বৈষম্য চাই না। তিনটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একটা ক্যাটাগরির আহতরা মাসিক ভাতার সুবিধা পাবেন না, তা হতে পারে না।’

তাদের দাবিগুলো হলো— জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের দুইটি ক্যাটাগরিতে রাখা; বিশেষ সুরক্ষা আইন করে নিহতদের পরিবার ও আহতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; এবং আহত ও শহিদ পরিবারের সুচিকিৎসা, মানসিক কাউন্সেলিং, হয়রানি প্রতিরোধ ও সমস্যা সমাধানের জন্য জরুরি হটলাইন চালু করা।

তারুণ্যের শক্তিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১২ পিএম
তারুণ্যের শক্তিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তারুণ্যের শক্তিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে। যে তরুণরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে সেই তরুণদের প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ইনস্টিটিউটবাংলাদেশে (পিআইবি) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসবের সমাপনি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণ সমাজের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তরুণদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে তারুণ্যের উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবের আদলে তরুণদের জন্য ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ধরনের উৎসবের আয়োজন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে তরুণ প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, আগামী অন্তত দুই দশক তারা বাংলাদেশকে প্রভাবিত করবে। আগামীর বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে, তা অনেকটাই তরুণদের ওপর নির্ভর করবে। যে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দল তরুণদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করবে, তারাই সফলতা পাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশিশক্তিনির্ভর ছাত্ররাজনীতির অবসান হওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্রদের দেশের কল্যাণে ইতিবাচক রাজনীতি করতে হবে এবং দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীসরকার তরুণদের নানামুখী কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তরুণদেরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে। বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনেরসঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন এবং জনগণের বিপক্ষে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিরবক্তৃতা করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। আলোচনা পর্ব শেষে তারুণ্যের উৎসবের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য নাজমুল আমীনের লেখা ‘জুলাই ম্যাসাকার’ কবিতার আবৃত্তির ভিডিও প্রদর্শিত হয়। এরপর তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ দেখানো হয়।

তিথি/এমএ/