
মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একজন হলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)। পাশাপাশি তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এই কর্মকর্তা আবার সংশ্লিষ্ট জেলার ৩০২টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করে থাকেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর দেশের সব ডিসির কাছে তাদের সভাপতিত্বে যেসব কমিটি গঠিত হয়েছে, তার হালনাগাদ তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেই চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে ডিসিদের নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৩০২টি কমিটির নাম উল্লেখ করে বলা হয়, সংযুক্ত ছকে উল্লিখিত জেলা প্রশাসকদের সভাপতিত্বে গঠিত কমিটিগুলোর তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। ছকে উল্লিখিত কমিটি ছাড়া অন্য যেসব কমিটিতে জেলা প্রশাসকরা সভাপতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন, তার হালনাগাদ তথ্য মাঠ প্রশাসন সংযোগ শাখায় পাঠানোর চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
জানা গেছে, ৩০২টি কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ডিসিদের পক্ষে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজই অনেক সময় করা সম্ভব হয় না। এসব কমিটির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সরকারের উপদেষ্টা (মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী) ও সচিবসহ রাজধানী থেকে যেসব কর্মকর্তা জেলায় ভ্রমণ করেন, তাদের প্রটোকলেও ডিসিদের ব্যস্ত থাকতে হয়। এতে অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ডিসিরা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারেন না।
একজন ডিসি সাধারণত জেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং কালেক্টর হিসেবে ভূমি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তা ছাড়া ডিসিকে সরকারের বিশেষ কর্মসূচি এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোও নিয়মিত তদারকিতে রাখতে হয়।
প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। জেলা পর্যায়ে ডিসি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।