ঢাকা ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সহায়তা পেলেন ২২২৯ জন

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সহায়তা পেলেন ২২২৯ জন
রাজধানীর শাহবাগে ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ হওয়া ২ হাজার ২২৯ পরিবারকে নগদ সহায়তা দিয়েছে জুলাই গণহত্যায় শহিদ হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে প্রতিষ্ঠিত জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। যদিও পর্যাপ্ত ভেরিফায়েড তথ্যের অভাবে পৌঁছাতে বিলম্বিত হচ্ছে ফাউন্ডেশনের সহায়তা। 

বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগে ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বা এমআইএস শাখার ভেরিফায়েড তালিকা অনুযায়ী আমরা ১৯৮ জন শহিদ পরিবারে কাছে পৌঁছানো বাকি রয়েছে। আজকে এমআইএসে দেখলাম ১১ হাজার ৩০৬ জন আহতদের তথ্য ভেরিফায়েড হয়েছে, এর মধ্যে আমরা ১ হাজার ৬০১ জনের কাছে পৌঁছেছি। এই সংখ্যা দুটোর পেছনে দূরত্ব থাকার একটিই কারণ হচ্ছে এমআইএস এখনও সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে যাচ্ছে। কয়েকমাস আগেই এই সংখ্যা ছিল ২৪ হাজারের মতো, তারা এখনও বিভিন্ন মাধ্যমে ক্রস চেক করছেন। যার ফলে আমরা সেটিকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরতে পারছি না। যদি ধরতে পারতাম, আমরা চাইলেই ১১ দিনে এই ১১ হাজার আহতদের তাদের ফান্ড দিয়ে দিতে পারতাম।’

এমআইএস ও ফাউন্ডেশনে যাদের ভেরিফায়েড তথ্য রয়েছে তারা ইতোমধ্যে সহায়তা পেয়েছে উল্লেখ করে সারজিস বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যাদের সহায়তা দিয়েছি, তাদের নাম এমআইএসে এবং জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কাছে ফাইল রয়েছে। এই দুই প্যারামিটার যখন পূরণ হয়েছে তখন আমরা তাদের সহায়তা দিয়ে দিয়েছি। এমআইএসকে আমরা বলছি, তারা যেন তালিকাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করেন। তাহলে আমরা সেটিকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে সহায়তা করতে পারব। এই তালিকা যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেজন্য তথ্য ভেরিফায়েড করতে বিলম্ব হওয়াতে সহায়তা পৌঁছাতেও দেরি হচ্ছে।’

বাড়তে পারে আর্থিক সহায়তা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতরা ১ লাখ এবং শহিদ পরিবার ৫ লাখ টাকার আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছেন। এই সহযোগিতার আকার চলতি মাসেই বাড়তে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আহতদের ক্যাটাগরি করেও প্রদান করা হতে পারে আর্থিক সহযোগিতা।

এ প্রসঙ্গে ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস বলেন, ‘এখন আমরা আহতদের ১ লাখ টাকা করে ফান্ড দিচ্ছি, হয়ত এই মাসেই ফাউন্ডেশনের সাধারণ সভা শেষে আহতদের ৩ লাখ এবং শহিদ পরিবারদের ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হতে পারে। এ মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। এছাড়া শহিদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, প্রয়োজনে সম্মানীর ব্যবস্থা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানে ফাস্ট ট্র্যাকের ব্যবস্থা। এগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এখন বাস্তবায়ন করা বাকি রয়েছে।’

অর্থ সংগ্রহ ও সহায়তা প্রদান

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারকে ৪৭ কোটি ৩২ লাখ ৩২ হাজার ৭২৯ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, ‘গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রথম এক্সিকিউটিভ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১ অক্টোবর প্রথম ডিসবার্সমেন্টে প্রথম আহত ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়, তখনও আমাদের অপারেশন শুরু করতে পারিনি। পরবর্তী সময়ে ১৫ অক্টোবর থেকে পুরোপুরিভাবে অপারেশন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত আমরা ব্যাংক একাউন্টে ১০৯ কোটি ২০ লাখ ২৩ হাজার ৫ টাকা গ্রহণ করেছি। এছাড়া টাকা এখন পর্যন্ত ডিসবার্সমেন্ট বা টাকা খরচ করেছি ৪৭ কোটি ৩২ লাখ ৩২ হাজার ৭২৯ টাকা। এখন পর্যন্ত এই টাকা ২ হাজার ২২৯ জনকে সহায়তা করা হয়েছে, এর মধ্যে ৬২৮ শহিদ পরিবার এবং ১ হাজার ৬০১ আহত পরিবাকে সহায়তা করা হয়েছে।’

যাদের তথ্য নেই, তথ্য প্রদানে যা প্রয়োজন হবে

গেল বছরের ২১ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এ তালিকায় নেই অনেকেরই নাম। তালিকায় তথ্য প্রদানে ভেরিফিকেশনে জন্য শহিদের ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির মৃত্যুসনদ বা প্রত্যয়ন পত্র, শহিদ ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্ম সনদের ফটোকপি এবং নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্ম সনদের ফটোকপি। 

এছাড়া আহত ব্যক্তির ক্ষেত্রে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে একটি ফরম নিয়ে তা পূরণ করে যে হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়েছেন সেই চিকিৎসক কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে। যেখানে ওই চিকিৎসকের স্বাক্ষর এবং সিলমোহর থাকবে। এছাড়া যেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন সেই হাসপাতালে ভর্তির ফরম কিংবা ছাড়পত্র প্রয়োজন হবে যেখানেও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক সত্যায়িত করবে। এবং নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা জন্ম সনদের ফটোকপি লাগবে।

সেই সঙ্গে আহত ও শহিদ ব্যক্তি বিবাহিত হলে বাবা-মা ও স্ত্রী তিনজনেরই জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা জন্ম সনদের ফটোকপি প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে অবিবাহিত হলে বাবা-মার মধ্যে যেকোনো একজনেরটি হলেই চলবে।

এ প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, ‘আহত ব্যক্তি বা শহিদ পরিবারের সদস্যরা যদি আমাদের কাগজ দিতে পারেন, সেক্ষেত্রে আমরা এখান থেকেই তাদের তথ্য ভেরিফায়েড করে দিতে পারব এবং তাদের আর কোথাও যেতে হবে না এবং ফাউন্ডেশন থেকেই এমআইএসে ইনপুট দেওয়া হবে।’

এতে অন্যান্যদের মধ্যে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মিডিয়া অ্যান্ড পিআর এক্সিকিউটিভ জাহিদ হোসেন, এইচ আর অ্যাডমিন সোহেল মিয়া, অবৈতনিক অর্থ-সম্পাদক আহসান হাবিব চৌধুরী, সদস্য মীর মুগ্ধের পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান, গোলাম নাফিদের পিতা গোলাম রহমান, শহিদ ইমাম হাসানের ভাই রবিউল অওয়াল ভূঁইয়াসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ/এমএ/

 

কুয়েত সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম
কুয়েত সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

কুয়েত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলসহ দেশে ফিরেন তিনি। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, সফরকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কুয়েত ন্যাশনাল গার্ডের সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এই সফরকালে সেনাপ্রধান কুয়েতে বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্টস (বিএমসি) সদর দপ্তর পরিদর্শনসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফের আমন্ত্রণে সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কুয়েত সফরে গিয়েছিল।

আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, কুয়েতের আমির উপসাগরীয় যুদ্ধে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ে অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

 

 

মেট্রোরেলের জন্য খুঁড়তে হবে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪১ পিএম
মেট্রোরেলের জন্য খুঁড়তে হবে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে
মেট্রোরেল

মেট্রোরেল লাইন-১ নির্মাণ করতে গিয়ে ৩০০ ফুট পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের অনেক স্থানে খুঁড়তে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি-১) প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান তিনি। 

তিনি বলেন, এমআরটি-১ প্রকল্পে পিয়ার ও ভায়াডাক্ট নির্মাণের সময় যানবাহন নিরাপদে চলাচলের জন্য পূর্বাচল সড়কের উভয় পাশে তিন মিটার করে অর্থাৎ একটি করে লেন বন্ধ রাখা হবে। উভয় পাশে তিন লেন করে উন্মুক্ত থাকবে। এতে সড়কে যানজটের আশঙ্কা থাকবে না। তবে সড়কের পাশে ফুটপাতের কিছুটা ক্ষতি হবে। মেট্রোরেলের উড়ালপথ নির্মাণ শেষে ফুটপাত মেরামত করা হবে।

জানা গেছে, জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষ করে এমআরটি-১ প্রকল্প কর্মকর্তারা এখন পাতাল রেল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। দ্রুতই শুরু হবে পাতালপথের মেট্রোরেলের মূল অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার পাতাল মেট্রোরেল লাইনে নির্মাণ করা হবে ১২টি স্টেশন। এ ছাড়া নতুন বাজার থেকে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার উড়াল মেট্রোরেল লাইন এবং সাতটি উড়াল মেট্রোরেল স্টেশন নির্মাণ করা হবে। সব মিলিয়ে এমআরটি-১ লাইনের দৈর্ঘ্য হবে ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার।

নতুন বাজার থেকে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ ডিপো অংশে কাজ করতে গিয়ে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে কেন খুঁড়তে হবে তার ব্যাখ্যায় মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা বলেন, এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের কাজে দুটি অংশ। একটি আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল বা পাতাল মেট্রোরেল এবং অন্যটি এলিভেটেড মেট্রোরেল বা উড়ালপথে মেট্রোরেল। পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের পশ্চিম প্রান্ত অর্থাৎ কুড়িল ফ্লাইওভারের কাছাকাছি থেকে উড়ালপথে মেট্রোরেলের শুরু এবং শেষ হবে পূর্ব প্রান্তে কাঞ্চন সেতুর কাছে গিয়ে। ভায়াডাক্ট কিছু দূর পর পর পিয়ার-কলামের ওপর স্থাপিত হবে। ভায়াডাক্টের স্প্যান অর্থাৎ একটা পিয়ার থেকে আরেকটি পিয়ারের দূরত্ব সড়কের অ্যালাইনমেন্ট বরাবর ৩০ মিটার থেকে ৪৫ মিটার অন্তর স্থাপিত হবে। এই পিয়ারগুলো পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যবর্তী জায়গায় প্রশস্ত মিডিয়ান বা সড়ক বিভাজকে নির্মাণ করা হবে।

পূর্বাচলে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির বিষয়ে এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের কর্মকর্তারা রাজউক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড ও পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আবুল কাসেম। 

মেট্রোরেলের নতুন পথে উড়াল অংশের নির্মাণকালীন পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলেও জানান প্রকল্প পরিচালক। আবুল কাসেম বলেন, ‘উড়াল রুটের পিলারগুলো সম্পূর্ণভাবে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের রাস্তার মেডিয়ানের ওপর নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে না।’ 

তিনি জানান, মেট্রোরেলের এলিভেটেড স্টেশনগুলো সড়কে আড়াআড়ি বরাবর তিনটি করে কলামের ওপর স্থাপিত হবে। এখানে দুই পাশের দুটি কলাম এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশে গ্রিনবেল্ট বা সবুজ ভূমির ওপর থাকবে আর মাঝখানের কলামটি সড়ক বিভাজকের ওপর নির্মাণ করা হবে। এতে স্টেশনগুলো এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাতের কোনো জায়গা দখল করবে না এবং সড়ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। 

প্রকল্প পরিচালক জানান, পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচটি আন্ডারপাস রয়েছে। কিন্তু এই আন্ডারপাসগুলো ও মেট্রোলাইনের মধ্যে কোনো সাংঘর্ষিক কর্মকাণ্ড নেই। ভায়াডাক্টের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যে, আন্ডারপাসের ওপর কোনো পিয়ার থাকবে না এবং এমআরটি লাইন-১ আন্ডারপাসগুলোর কোনো ক্ষতি করবে না। অন্যদিকে এই এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচটি রাউন্ড-অ্যাবাউট রয়েছে। এই রাউন্ড-অ্যাবাউটগুলোর বৃত্তের ঠিক কেন্দ্র বরাবর একটি করে ভায়াডাক্টের পিয়ার বসানো হবে। এখানে কংক্রিট সারফেস কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে পিয়ার নির্মাণ শেষে ভেঙে যাওয়া কংক্রিট মেরামত করে দেওয়া হবে। 

ডেভিল হান্টে সারা দেশে গ্রেপ্তার আরও ৫৩২

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৫ পিএম
ডেভিল হান্টে সারা দেশে গ্রেপ্তার আরও ৫৩২
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

যৌথ বাহিনী পরিচালিত অপারেশন ডেভিল হান্টে সারা দেশে আরও ৫৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ১ হাজার ৫১ জনকে। সব মিলিয়ে সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত) গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ৫৮৩ জনকে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের ওই ২৪ ঘণ্টায় জব্দ করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, একটি স্টিলের চাপাতি, বার্মিজ চাকু দুটি, একটি স্টিলের ছুরি ও একটি স্টিলের কিরিজ। 

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট তথা শয়তান শিকারের অভিযান। ওই সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাতময় ঘটনা বেড়ে গেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এর পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে এই বিশেষ অভিযান শুরু হয়।

প্রধান উপদেষ্টা একুশে পদক দেবেন বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
প্রধান উপদেষ্টা একুশে পদক দেবেন বৃহস্পতিবার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১৮ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দলকে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বেলা ১১টায় এ পদক বিতরণ করা হবে। পদক বিতরণ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

একুশে পদকের জন্য মনোনীতরা হলেন চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), সংগীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরা, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন ও চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা। সাংবাদিকতায় মাহ্ফুজ উল্লাহ (মরণোত্তর), গবেষণায় মঈদুল হাসান, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান।

এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহদী হাসান খান (দলনেতা), রিফাত নবী (দলগত), মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম (দলগত) ও শাবাব মুস্তাফা (দলগত)। সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মো. শহিদুল হক) (মরণোত্তর), সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহিদুল আলম এবং ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

৩ দাবিতে সচিবালয়ের সামনে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম
৩ দাবিতে সচিবালয়ের সামনে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা
ছবি: সংগৃহীত

তিন দাবিতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। বেলা ১টায় ‘গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবার’ ব্যানারে তারা সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেন। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করে ফিরে যান। 

বুধবার সন্ধ্যায় খবরের কাগজকে এসব তথ্য জানান শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর সরদার বুলবুল আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ৩টার ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা ফিরে যান। পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ প্রস্তুত ছিল।’ 

এর আগে সকালে শাহবাগে জড়ো হন তারা। পরে সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ের দিকে রওনা হয়ে বেলা ১টার দিকে সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেন। অবস্থান কর্মসূচিতে আহত ও শহিদ পরিবারের অর্ধশতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে আহতরা এতে অংশ নেন।

আন্দোলনে আহত জিহাদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আহত ও শহিদ পরিবারের সঙ্গে বৈষম্য চাই না। তিনটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একটা ক্যাটাগরির আহতরা মাসিক ভাতার সুবিধা পাবেন না, তা হতে পারে না।’

তাদের দাবিগুলো হলো— জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের দুইটি ক্যাটাগরিতে রাখা; বিশেষ সুরক্ষা আইন করে নিহতদের পরিবার ও আহতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; এবং আহত ও শহিদ পরিবারের সুচিকিৎসা, মানসিক কাউন্সেলিং, হয়রানি প্রতিরোধ ও সমস্যা সমাধানের জন্য জরুরি হটলাইন চালু করা।