ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর রাজশাহী প্রেসক্লাবের স্মারকলিপি

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর রাজশাহী প্রেসক্লাবের স্মারকলিপি
রাজশাহী প্রেসক্লাবের স্মারকলিপি প্রদান। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম জুলুর সঙ্গে বিভাগীয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের অপেশাদার আচারণের প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে রাজশাহী প্রেসক্লাব।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতারের কাছ এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে অনুলিপি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) বরাবর প্রেরণ করা হয়।

রাজশাহী প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর যুগ্ম-মহাসচিব ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপনের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম জুলু, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ সুফি মহিব্বুল আরেফিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডালিম হোসেন শান্ত, কোষাধ্যক্ষ ওমর ফারুক, ক্রীড়া ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, সিনিয়র সাংবাদিক ও সদস্য সুজা উদ্দীন ছোটন ও জাহিদ হাসান, ফারুক আহম্মেদসহ অন্যান্য সদস্যরা।

এ সময় সুজা উদ্দীন ছোটন বলেন, ‘নগরীর আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। দিনে-দুপুরে ডাক্তারকে অপহরণ, বাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাখলবাজি, চাঁদাবাজি, ফুটপাত দখল আর সন্ত্রাসী কর্মকানণ্ড এখন নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাতে করে নগরীর আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি কারণে নগরবাসী চরম নিরাপত্তাহীনতার মাঝে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিভাগীয় শহর রাজশাহীর শীর্ষ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তার অপশোদার আচরণ আমাদের সমাজের জন্য অগ্রহণযোগ্য এবং এটি আইন-শৃঙ্খলার প্রতি অবমাননা। এ ধরনের কর্মকাণ্ড পুলিশ প্রশাসনের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসকে সংকটাপন্ন করে। আমরা মনে করি, পুলিশ কমিশনারের এ ধরনের আচরণ কর্তৃপক্ষের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। অবিলম্বে পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান কে অপসারণ করার পাশাপাশি নগরবাসীর নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতের লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।

পরে রাজশাহী প্রেসক্লাবের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

পুলিশ সুপার জেলার আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতের জন্য কঠোর অবস্থানে থেকে জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করবেন বলে জানান। পাশাপাশি তিনি রাজশাহী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন, ‘মহানগরী ও জেলার আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতের লক্ষ্যে রাজশাহী প্রেসক্লাব সব সময় সোচ্চার রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি কথিত কার্ডধারী ও হলুদ সাংবাদিকদের ব্যপারে সতর্ক থাকার বিষয়ে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এনায়েত করিম/নাবিল/এমএ/

ইউজিসিতে মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকের ওপর হামলাচেষ্টা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
ইউজিসিতে মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকের ওপর হামলাচেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

সংবাদপ্রকাশের জেরে মব সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) সাংবাদিকের ওপর হামলা চেষ্টা হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) ইউজিসি ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম শিহাব উদ্দীন। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি ক্যাম্পাসের সিনিয়র রিপোর্টার। অভিযুক্তরা হলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অফিসে দায়িত্ব পালন করা সিনিয়র সহকারী সচিব মোহা. মামুনুর রশিদ খান ও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অফিস সহায়ক খোকন খান।

ভুক্তভোগী জানান, ইউজিসি সচিব ড. ফখরুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীদের অবস্থান নেওয়ার খবর সংগ্রহ করতে বুধবার দুপুরে ইউজিসি কার্যালয়ে যান শিহাব। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইউজিসির অফিস সহায়ক খোকন খান তাকে জেরা করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে মব সৃষ্টি করে তার ওপর হামলার চেষ্টা চালান। এসময় কর্মকর্তা মামুনসহ ১০ থেকে ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে মামুনুর রশিদ খবরের কাগজকে বলেন, আমি হামলার চেষ্টা করিনি। তাকে তর্ক-বির্তক থেকে চেয়ারম্যানের রুমে নিয়ে যাই।

খোকন খান বলেন, আমাকে নিয়ে করা নিউজ নিয়ে জানতে চেয়েছি কে তথ্য দিয়েছে। তখন একটু উত্তেজনায় কথা হয়েছে।

কবির/এমএ/

যুক্তরাষ্ট্রে গোলাপের ৯ বাড়ি-ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে গোলাপের ৯ বাড়ি-ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক
ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান মিয়ার (আবদুস সোবহান গোলাপ) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া তার নামে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৯টি বাড়ি ও ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক, যার বাজারমূল্য অন্তত ৩২ কোটি টাকা। দেশে থেকে টাকা পাচার করে তিনি বিদেশে ওই সব সম্পদ কিনেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া ওরফে গোলাপ ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তার নিজের ৫১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯৭ কোটি ৬৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। তার নামে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্সে ৯টি ফ্ল্যাট ও বাড়ি রয়েছে। বিদেশে থাকা ফ্ল্যাট ও বাড়ির বাজারমূল্য অন্তত ৩২ কোটি টাকা। তিনি অবৈধ উপায়ে অর্জিত এসব অর্থসম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন; যা ২০০৪ সালের ৫(২) ধারায় ফৌজদারি অসদাচরণ এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অর্থ পাচারসংক্রান্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার (১৯ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন। নির্বাচনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বে প্রশাসক নিয়োগের প্রশ্ন অবান্তর।

জনগণের প্রাত্যহিক নানা সেবার প্রয়োজনে স্থানীয় সরকারের ওপর নির্ভরশীল। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি ও পৌর ওয়ার্ডগুলোতে জনপ্রতিনিধি না থাকায় এসব সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাই জনগণের প্রাত্যহিক দুর্ভোগ নিরসনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে বারবার বলছি। তবে এ বিষয়ে সরকারের চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধি দিয়ে স্থানীয় সরকার পরিচালনাই সর্বোত্তম।’ 

মাহফুজ

ডিবি হেফাজতে আসামির মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্তের দাবি এমএসএফের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
ডিবি হেফাজতে আসামির মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্তের দাবি এমএসএফের
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন। ছবি: সংগৃহীত

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে আসামির মৃত্যুর অভিযোগের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। 

বুধবার (১৯ মার্চ) সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৫ মার্চ রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজ (৩৪) কে ধানমন্ডির জিগাতলার জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে একই দিনে সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

হেজাজের মৃত্যুর বিষয়ে তার পরিবার দাবি করেছে, জামিনে থাকা সত্ত্বেও ডিবি পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাদের ছেলেকে ধরে নিয়ে যায় এবং তাদের হেফাজতেই হেজাজের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘এজাজ ডিবি হেফাজতে মারা যায়নি। কিছু দিন আগে গ্রেপ্তারের পর জামিনে বের হয় এজাজ। এরপর থেকে তিনি ধানমন্ডির জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে ঢামেক হাসপাতালে রেফার করেন। শনিবার (১৫ মার্চ) ভোররাত ৪টা ৪০ মিনিটে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান এজাজ। যেহেতু তার নামে মামলা রয়েছে, তাই ঢামেক হাসপাতালে তার সঙ্গে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ উপস্থিত ছিল।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পুলিশ হেফাজতে গ্রেপ্তার ব্যক্তির মৃত্যু একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এমএসএফ মনে করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দারি রাখে কারণ রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করে। রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা যেকোনো ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা পুলিশের আইনি দায়িত্ব। 

মাহফুজ/

ঈদে বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় যে নির্দেশনা দিল ডিএমপি

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম
ঈদে বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় যে নির্দেশনা দিল ডিএমপি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঢাকা মহানগরীতে বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের নিরাপত্তায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে নগরবাসীকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুলিশকে সহায়তা দিতে ইতোমধ্যে অক্সিলারি পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা কার্যকর ভূমিকা রাখবে। পুলিশের পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতাবোধ তৈরি করা গেলে, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ও অপরাধ দমনে অধিকতর সফল হওয়া সম্ভব।

ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি ঈদে বাসাবাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে নগরবাসীকে অনুরোধ করা হয়েছে। সেগুলো হলো–

১.বাসাবাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যাংক-বিমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রক্ষীদের ডিউটি জোরদার করতে হবে এবং যেকোনও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে একটি অংশকে দায়িত্বপালনে নিয়োজিত রাখা যেতে পারে।

২.বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ত্যাগের আগে দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করে যেতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করা যেতে পারে। দরজা-জানালা দুর্বল অবস্থায় থাকলে তা মেরামত করে যথাসম্ভব সুরক্ষিত করতে হবে।

৩.বাসাবাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে এবং স্থাপিত সিসি ক্যামেরা সচল থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

৪.বাসাবাড়ির মূল দরজায় অটোলক ও নিরাপত্তা অ্যালার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫.রাতে বাসা ও প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পর্যাপ্ত আলোকিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

৬.অর্থ, মূল্যবান সামগ্রী ও দলিল নিরাপদ স্থানে বা নিকট আত্মীয়ের হেফাজতে রেখে যেতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাংক লকারের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

৭.বাসাবাড়ি ত্যাগের আগে যে সব প্রতিবেশী/পাশের ফ্ল্যাটের অধিবাসী ঢাকায় অবস্থান করবেন তাদের বাসার প্রতি লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করতে হবে এবং ফোনে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।

৮.ভাড়াটিয়াদের আগেই বাসার মালিককে ঈদ উপলক্ষে বাসা ত্যাগের বিষয়টি জানাতে হবে।

৯.অনুমতি ছাড়া কেউ যেন বাসা বা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে না পারে এ বিষয়ে বাসা বা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীকে সতর্ক করতে হবে ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে হবে।

১০.বাসাবাড়ি বা প্রতিষ্ঠান ত্যাগের আগে লাইট, ফ্যানসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক লাইনের সুইচ, পানির ট্যাপ, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি বন্ধ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।

১১.বাসা বা প্রতিষ্ঠানের গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত রাখতে হবে।

১২.বাসার জানালা-দরজার পাশে কোনও গাছ থাকলে অবাঞ্ছিত শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলতে হবে যাতে অপরাধীরা গাছের শাখা-প্রশাখা ব্যবহার করে বাসায় প্রবেশ করতে না পারে।

১৩.মহল্লা বা বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে জানাতে হবে।

১৪.ঈদে মহল্লা বা বাসায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকলে তা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও জানাতে হবে।

জরুরি প্রয়োজনে পুলিশি সহায়তার জন্য ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের নম্বর: ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬, ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০২৯৬১৯৯৯৯ এবং জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯ এ যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।

এমএ/