ঢাকা ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১

গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ৬ অজ্ঞাত মরদেহের সন্ধান

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম
আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম
গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ৬ অজ্ঞাত মরদেহের সন্ধান
ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ছয় অজ্ঞাত মরদেহ এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পড়ে আছে বলে জানিয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেল।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল সম্পাদক (দপ্তর সেল) জাহিদ আহসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেলের অনুসন্ধানে ঢাকা মেডিকেলে গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ হওয়া ৬টি অশনাক্তকৃত মরদেহ আছে বলে জানতে পারে। আজ সকালে সেলের একটি টিম এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে শাহবাগ থানায় যায়। শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর ছয়টি মরদেহ এখনো হিমাগারে থাকার তথ্য নিশ্চিত করেন। মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক মর্গে আছে বলে তিনি জানান। বিশেষ সেল টিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক মর্গে গিয়ে সরেজমিনে মরদেহগুলো পরিদর্শন করে।

মরদেহগুলোর প্রাপ্ত তথ্য- অজ্ঞাতনামা পুরুষ (২০), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (২৫), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (২২), অজ্ঞাতনামা মহিলা (৩২), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৩০), এনামুল (২৫)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে পাঁচজনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা হয়েছে ‘আঘাতজনিত কারণে মৃত্যু’। একজনের (এনামুল) মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘ডিজিস্ট ওপর থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু লেখা হয়েছে’। 

ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মরদেহগুলোর ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। মরদেহের পরিহিত আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সবগুলো মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক হিমাগারে আছে। শাহবাগ থানার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মরদেহগুলো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের। তবে কবে এবং কত তারিখে তারা মরদেহগুলো এনেছে সেটা স্পষ্ট করেনি।

এতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বেওয়ারিশ মরদেহগুলো পরিবারের কাছে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই অবস্থায় উল্লিখিত বয়সের কেউ যদি মিসিং থাকেন, তবে তার পরিবারের সদস্যদের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেলের (01621324187) সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।

সালমান/

মেট্রোরেলের জন্য খুঁড়তে হবে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪১ পিএম
মেট্রোরেলের জন্য খুঁড়তে হবে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে
মেট্রোরেল

মেট্রোরেল লাইন-১ নির্মাণ করতে গিয়ে ৩০০ ফুট পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের অনেক স্থানে খুঁড়তে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি-১) প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান তিনি। 

তিনি বলেন, এমআরটি-১ প্রকল্পে পিয়ার ও ভায়াডাক্ট নির্মাণের সময় যানবাহন নিরাপদে চলাচলের জন্য পূর্বাচল সড়কের উভয় পাশে তিন মিটার করে অর্থাৎ একটি করে লেন বন্ধ রাখা হবে। উভয় পাশে তিন লেন করে উন্মুক্ত থাকবে। এতে সড়কে যানজটের আশঙ্কা থাকবে না। তবে সড়কের পাশে ফুটপাতের কিছুটা ক্ষতি হবে। মেট্রোরেলের উড়ালপথ নির্মাণ শেষে ফুটপাত মেরামত করা হবে।

জানা গেছে, জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষ করে এমআরটি-১ প্রকল্প কর্মকর্তারা এখন পাতাল রেল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। দ্রুতই শুরু হবে পাতালপথের মেট্রোরেলের মূল অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার পাতাল মেট্রোরেল লাইনে নির্মাণ করা হবে ১২টি স্টেশন। এ ছাড়া নতুন বাজার থেকে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার উড়াল মেট্রোরেল লাইন এবং সাতটি উড়াল মেট্রোরেল স্টেশন নির্মাণ করা হবে। সব মিলিয়ে এমআরটি-১ লাইনের দৈর্ঘ্য হবে ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার।

নতুন বাজার থেকে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ ডিপো অংশে কাজ করতে গিয়ে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে কেন খুঁড়তে হবে তার ব্যাখ্যায় মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা বলেন, এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের কাজে দুটি অংশ। একটি আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল বা পাতাল মেট্রোরেল এবং অন্যটি এলিভেটেড মেট্রোরেল বা উড়ালপথে মেট্রোরেল। পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের পশ্চিম প্রান্ত অর্থাৎ কুড়িল ফ্লাইওভারের কাছাকাছি থেকে উড়ালপথে মেট্রোরেলের শুরু এবং শেষ হবে পূর্ব প্রান্তে কাঞ্চন সেতুর কাছে গিয়ে। ভায়াডাক্ট কিছু দূর পর পর পিয়ার-কলামের ওপর স্থাপিত হবে। ভায়াডাক্টের স্প্যান অর্থাৎ একটা পিয়ার থেকে আরেকটি পিয়ারের দূরত্ব সড়কের অ্যালাইনমেন্ট বরাবর ৩০ মিটার থেকে ৪৫ মিটার অন্তর স্থাপিত হবে। এই পিয়ারগুলো পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যবর্তী জায়গায় প্রশস্ত মিডিয়ান বা সড়ক বিভাজকে নির্মাণ করা হবে।

পূর্বাচলে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির বিষয়ে এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের কর্মকর্তারা রাজউক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড ও পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আবুল কাসেম। 

মেট্রোরেলের নতুন পথে উড়াল অংশের নির্মাণকালীন পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলেও জানান প্রকল্প পরিচালক। আবুল কাসেম বলেন, ‘উড়াল রুটের পিলারগুলো সম্পূর্ণভাবে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের রাস্তার মেডিয়ানের ওপর নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে না।’ 

তিনি জানান, মেট্রোরেলের এলিভেটেড স্টেশনগুলো সড়কে আড়াআড়ি বরাবর তিনটি করে কলামের ওপর স্থাপিত হবে। এখানে দুই পাশের দুটি কলাম এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশে গ্রিনবেল্ট বা সবুজ ভূমির ওপর থাকবে আর মাঝখানের কলামটি সড়ক বিভাজকের ওপর নির্মাণ করা হবে। এতে স্টেশনগুলো এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাতের কোনো জায়গা দখল করবে না এবং সড়ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। 

প্রকল্প পরিচালক জানান, পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচটি আন্ডারপাস রয়েছে। কিন্তু এই আন্ডারপাসগুলো ও মেট্রোলাইনের মধ্যে কোনো সাংঘর্ষিক কর্মকাণ্ড নেই। ভায়াডাক্টের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যে, আন্ডারপাসের ওপর কোনো পিয়ার থাকবে না এবং এমআরটি লাইন-১ আন্ডারপাসগুলোর কোনো ক্ষতি করবে না। অন্যদিকে এই এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচটি রাউন্ড-অ্যাবাউট রয়েছে। এই রাউন্ড-অ্যাবাউটগুলোর বৃত্তের ঠিক কেন্দ্র বরাবর একটি করে ভায়াডাক্টের পিয়ার বসানো হবে। এখানে কংক্রিট সারফেস কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে পিয়ার নির্মাণ শেষে ভেঙে যাওয়া কংক্রিট মেরামত করে দেওয়া হবে। 

ডেভিল হান্টে সারা দেশে গ্রেপ্তার আরও ৫৩২

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৫ পিএম
ডেভিল হান্টে সারা দেশে গ্রেপ্তার আরও ৫৩২
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

যৌথ বাহিনী পরিচালিত অপারেশন ডেভিল হান্টে সারা দেশে আরও ৫৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ১ হাজার ৫১ জনকে। সব মিলিয়ে সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত) গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ৫৮৩ জনকে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের ওই ২৪ ঘণ্টায় জব্দ করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, একটি স্টিলের চাপাতি, বার্মিজ চাকু দুটি, একটি স্টিলের ছুরি ও একটি স্টিলের কিরিজ। 

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট তথা শয়তান শিকারের অভিযান। ওই সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাতময় ঘটনা বেড়ে গেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এর পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে এই বিশেষ অভিযান শুরু হয়।

প্রধান উপদেষ্টা একুশে পদক দেবেন বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
প্রধান উপদেষ্টা একুশে পদক দেবেন বৃহস্পতিবার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১৮ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দলকে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বেলা ১১টায় এ পদক বিতরণ করা হবে। পদক বিতরণ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

একুশে পদকের জন্য মনোনীতরা হলেন চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), সংগীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরা, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন ও চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা। সাংবাদিকতায় মাহ্ফুজ উল্লাহ (মরণোত্তর), গবেষণায় মঈদুল হাসান, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান।

এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহদী হাসান খান (দলনেতা), রিফাত নবী (দলগত), মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম (দলগত) ও শাবাব মুস্তাফা (দলগত)। সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মো. শহিদুল হক) (মরণোত্তর), সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহিদুল আলম এবং ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

৩ দাবিতে সচিবালয়ের সামনে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম
৩ দাবিতে সচিবালয়ের সামনে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা
ছবি: সংগৃহীত

তিন দাবিতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। বেলা ১টায় ‘গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবার’ ব্যানারে তারা সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেন। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করে ফিরে যান। 

বুধবার সন্ধ্যায় খবরের কাগজকে এসব তথ্য জানান শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর সরদার বুলবুল আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ৩টার ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা ফিরে যান। পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ প্রস্তুত ছিল।’ 

এর আগে সকালে শাহবাগে জড়ো হন তারা। পরে সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ের দিকে রওনা হয়ে বেলা ১টার দিকে সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেন। অবস্থান কর্মসূচিতে আহত ও শহিদ পরিবারের অর্ধশতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে আহতরা এতে অংশ নেন।

আন্দোলনে আহত জিহাদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আহত ও শহিদ পরিবারের সঙ্গে বৈষম্য চাই না। তিনটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একটা ক্যাটাগরির আহতরা মাসিক ভাতার সুবিধা পাবেন না, তা হতে পারে না।’

তাদের দাবিগুলো হলো— জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের দুইটি ক্যাটাগরিতে রাখা; বিশেষ সুরক্ষা আইন করে নিহতদের পরিবার ও আহতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; এবং আহত ও শহিদ পরিবারের সুচিকিৎসা, মানসিক কাউন্সেলিং, হয়রানি প্রতিরোধ ও সমস্যা সমাধানের জন্য জরুরি হটলাইন চালু করা।

তারুণ্যের শক্তিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১২ পিএম
তারুণ্যের শক্তিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তারুণ্যের শক্তিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে। যে তরুণরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে সেই তরুণদের প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ইনস্টিটিউটবাংলাদেশে (পিআইবি) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসবের সমাপনি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণ সমাজের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তরুণদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে তারুণ্যের উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবের আদলে তরুণদের জন্য ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ধরনের উৎসবের আয়োজন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে তরুণ প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, আগামী অন্তত দুই দশক তারা বাংলাদেশকে প্রভাবিত করবে। আগামীর বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে, তা অনেকটাই তরুণদের ওপর নির্ভর করবে। যে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দল তরুণদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করবে, তারাই সফলতা পাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশিশক্তিনির্ভর ছাত্ররাজনীতির অবসান হওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্রদের দেশের কল্যাণে ইতিবাচক রাজনীতি করতে হবে এবং দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীসরকার তরুণদের নানামুখী কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তরুণদেরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে। বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনেরসঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন এবং জনগণের বিপক্ষে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিরবক্তৃতা করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। আলোচনা পর্ব শেষে তারুণ্যের উৎসবের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য নাজমুল আমীনের লেখা ‘জুলাই ম্যাসাকার’ কবিতার আবৃত্তির ভিডিও প্রদর্শিত হয়। এরপর তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ দেখানো হয়।

তিথি/এমএ/