ঢাকা ৪ ফাল্গুন ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

আশুলিয়ায় জলকামানের মুখে সড়ক ছাড়লেন শ্রমিকরা

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম
আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম
আশুলিয়ায় জলকামানের মুখে সড়ক ছাড়লেন শ্রমিকরা
ছবি : খবরের কাগজ

সাভারের আশুলিয়ায় পাওনা টাকার দাবিতে সড়ক অবরোধের প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর জলকামানের মুখে সড়ক থেকে সরে গেছেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ৩টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় জলকামান ব্যবহার করলে শ্রমিকরা সরে যায়।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, কারখানায় অনুষ্ঠানের খাবার নিয়ে ঝামেলার জেরে ৪৩০ জন শ্রমিককে পাওনা না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়। বিষয়টি সমাধানে প্রথমে গ্রামীন কনভেনশন সেন্টার ও পরে রাজ পার্কে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় পাওনা পরিশোধের দাবিতে আজ সড়ক অবরোধ করেন তারা। 

তবে দুপুর আড়াইটার দিকে শ্রমিকদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা। জলকামানের মুখে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে সড়ক থেকে সরে যায়।

শিল্পপুলিশ জানায়, সম্প্রতি মালিকের ছেলের বিয়ে উপলক্ষে কারখানায় শ্রমিকদের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করে মালিকপক্ষ। এই খাবার খাওয়াকে কেন্দ্র করে কারখানার অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা হয়। পরে মালিকপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২৩ ধারায় বেশ কিছু শ্রমিককে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় এবং পরবর্তীতে তদন্ত করে মালিকপক্ষ যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমান পেয়েছে তাদের চাকুরিচ্যুত করে। চাকুরিচ্যুত করা এমন ৪৩০ জন শ্রমিক সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখে। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন  বলেন, শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছে। সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।

শিল্প পুলিশ-১এর পুলিশ সুপার মোমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে গতকাল রবিবার শ্রমিক ও মালিকপক্ষসহ ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। সেখানে শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী পাওনাদি পরিশোধে রাজি নয় মালিকপক্ষ। ফলে কোনো সমাধান হয়নি। তাই আজ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে সড়কে দীর্ঘক্ষণ যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে যানচলাচল স্বাভাবিক।

ইমতিয়াজ ইসলাম/অমিয়/

৩ দেশের সঙ্গে যৌথ অর্থনীতি গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৪ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম
৩ দেশের সঙ্গে যৌথ অর্থনীতি গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান এই চার দেশ মিলে একটি যৌথ অর্থনীতি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি মনে করেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে যৌথ অর্থনীতি গড়ে তুলতে পারলে এই চার দেশ লাভবান হবে। ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, প্রাকৃতিক দিক থেকে আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। এর পাশাপাশি আমাদের রয়েছে বিপুল জনগোষ্ঠী, যা দেশের জন্য বড় সম্পদ।

তিনি বলেন, দেশের তরুণরা বিশ্ব জয় করতে পারে। তাই এই প্রজন্মের জন্য দরজা খুলে দিতে হবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে আমাদের তরুণরা যা দেখিয়েছে, তা পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখাতে পারিনি।

দুর্নীতি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাধা বলে উল্লেখ করেন তিনি। ড. ইউনূস সরকারি সেবাগুলোকে অনলাইনে নিয়ে আসার জন্য জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। সূত্র: বাসস

সালমান/

 

শাহবাগে জুলাইয়ের নারী সমাবেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ও শেখ হাসিনার বিচার দাবি

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৪ পিএম
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ও শেখ হাসিনার বিচার দাবি
‘জুলাইয়ের নারীরা’ ব্যানারে ওই সমাবেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও শেখ হাসিনার বিচারের দাবি করে জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও শহিদ পরিবারের নারী সদস্যরা। ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে সমাবেশ করেছে জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও শহিদ পরিবারের নারী সদস্যরা।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাদুঘরের সামনে ‘জুলাইয়ের নারীরা’ ব্যানারে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নারীদেরকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে সবার আগে শেখ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে- বলে উল্লেখ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবসসুম।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে কঠিন করেছে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ১৬ বছরে যে গুম, খুন, আয়নাঘরের রাজনীতি কায়েম করেছিল তাতে বাংলাদেশের মানুষ নারী নেতৃত্বে বিশ্বাস করতে সময় নেবে। শেখ হাসিনার এই পাপের ফল আমাদের সবাইকে ভুগতে হচ্ছে। এজন্য পুনরায় যদি নারীদেরকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে হয়, সবার আগে প্রয়োজন শেখ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করা।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিন বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের ৫৩ বছরের একটি লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস আছে। এই সংগ্রামের প্রতিটি পরতে পরতে নারীদের অবদান রয়েছে। জুলাই আন্দোলনেও নারীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। সুতরাং, জুলাই পরবর্তী যে রাজনৈতিক দল আসবে, সেখানে আমরা নারীদের নেতৃত্ব স্থানীয় জায়গায় দেখতে চাই। নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।’

জুলাইয়ের হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা না যায়, তাহলে এদেশের কোনো মানুষেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত সম্ভব নয় উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘২৪-এর অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সর্বস্তরের সব শ্রেণির মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। আন্দোলনে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি আমরা দেখেছি, মায়েরা খাবার রান্না করে খাইয়েছেন, আঁচল দিয়ে আহতদের কপাল বেঁধে দিয়েছেন। জুলাইয়ে বাংলাদেশে যারা বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদেরকে যদি বিচারের আওতায় আনা না যায়, তাহলে এদেশের কোনো মানুষেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সুতরাং বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।’

এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির নারী সেল সম্পাদক সাদিয়া ফারজানা দিনার সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য সিনথিয়া জাহান আয়েশা, জুলাই আন্দোলনকারী অর্পিতা শ্যামা দাস প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

‘নারীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান’

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম
‘নারীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান’
‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক এজেন্ডার স্থানীয়করণ’ কর্মশালায় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। ছবি: সংগৃহীত

নারীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে বহুমুখী উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে দাতা সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তারা।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক এজেন্ডার স্থানীয়করণ’ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তারা। গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব উইমেন পিসবিল্ডার্স (জিএনডব্লিউপি) এর সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএনপিএস’র পরিচালক শাহনাজ সুমী। 

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন কানাডিয়ান হাইকমিশন অব বাংলাদেশের সেকেন্ড সেক্রেটারি স্টিফেন এসব্রাসসার্ড, জিএনডব্লিউপির ঊর্ধ্বতন কর্মসূচি পরিচালক জেসমিন নারিয়ো গ্যালাস, ইউএন উইমেন বাংলাদেশের এনালিস্ট তানিয়া শারমিন, বাংলাদেশ পুলিশ নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শাহালা পারভিন পিপিএম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেমসহ অনেকে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নানা ধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে দেশের নারীরা বিশেষ পরিস্থিতির মুখে পড়ছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে সাইবার সহিংসতা বেড়েছে। ১৮ থেকে ২৩ বছর বয়সী নারীরা বেশি সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। এই অবস্থায় নারীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে। এসময় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নারীদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখী হতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

তারা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি দেশের নারীদের অনেক সময় শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সামাজিক ও কাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি। সেই জরুরি কাজের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলেও জানান তারা।

পুলিশ নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শাহালা পারভিন জানান, গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশদের জন্য মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ চালু করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ বিভাগে নারীদের নেতৃত্বস্থানীয় পদে আনার জন্য ইতোমধ্যে ৬টি জেলায় ৬জন নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ সুপার পদে এবং ২জনকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদে পদায়ন করা হয়েছে। রোহিঙ্গা নারীদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নারী পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে, যারা ক্যাম্পে বিভিন্ন ধরনের অভিযান পরিচালনা করছেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, সরকার ইতোমধ্যে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে একটি হেল্পডেস্ক চালু করেছে। সেটির কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। একটি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার চালু রয়েছে। সহিংসতামূলক কার্যক্রমের তদন্ত ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারী পুলিশদের সমন্বয়ে একটি প্রকল্প চালু করেছে। এছাড়া ২০২০ সালে সাইবার জগতে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে একটি সাইবার ইউনিটও চালু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিএনপিএস নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে ১৯৮৬ সাল থেকে তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করে আসছে। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি সংস্থাটি ২০১৭ সাল থেকে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে দেশের নারী সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে।

তিথি/মাহফুজ

ওমানে তৌহিদ-জয়শঙ্কর বৈঠক, সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ইতিবাচক আলোচনা

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
ওমানে তৌহিদ-জয়শঙ্কর বৈঠক, সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ইতিবাচক আলোচনা
বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত

ওমানের রাজধানী মাসকাটে চলমান অষ্টম ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠক করেছেন। 

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের চলমান টানাপোড়েনের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে, যা নিরসনে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে। 

বৈঠকে সীমান্ত নিরাপত্তা, পানি বণ্টন, বন্যা ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য, ভিসাসহ দ্বিপক্ষীয় প্রায় সব বিষয়ে তারা আলোচনা করেন। একই সঙ্গে আগামী ৪ এপ্রিল ব্যাংককে আসন্ন বিমসটেক আঞ্চলিক সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্ভাব্য বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়েও তাদের মধ্যে কথা হয়। 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ওমান সরকার যৌথভাবে মহাসাগরীয় সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন। সম্মেলনে অন্তত ২৭টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশ নেন। বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই সম্মেলনে যোগ দেন। 

ডিএইচইএন সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সম্পাদক সারওয়ার

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০২ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০২ পিএম
ডিএইচইএন সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সম্পাদক সারওয়ার
ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্টের (ডিএইচইএন) অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম (বায়ে), সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. সারওয়ার ইবনে সালাম (রোমেল)। ছবি: সংগৃহীত

ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্টের (ডিএইচইএন) কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতি, শিশু অর্থোপেডিক সার্জন অধ্যাপক ডা. সারওয়ার ইবনে সালামকে (রোমেল) সাধারণ সম্পাদক করে ৪৫ সদস্য বিশিস্ট কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হয়েছে। লিভার বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম আজমকে অর্থ সম্পাদক এবং অধ্যাপক ডা. রোকসানা দিল আফরোজ সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।

বরিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্টের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. ফজলে রাব্বি খান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও সুস্থ পরিবেশ জনগনের অধিকার- আমাদের অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রগতিশীল চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট’ এর দ্বাদশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হয়।

ঢাকায় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ডা. সারওয়ার আলী প্রধান অতিথি এবং এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নীতিশ দেবনাথ বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবু সাঈদ এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম এইচ ফারুকীর পরিচালনায় সারা দেশ থেকে আগত বরেণ্য চিকিৎসকরা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

শুরুতে বিএমএর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ ই মাহবুব, বিএসএমএমইউ এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মুশতাক হোসেন, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বেগম ও ডা. ফওজিয়া মোসলেম শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।

বক্তারা জনগণের সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও সুস্থ পরিবেশ পরিবেশ নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংস্কার এবং এতে পেশাজীবী হিসেবে চিকিৎসকদের কার্যকর ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আরিফ সাওন/এমএ/