ঢাকা ২৫ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১১ পিএম
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুহাদা ওসমান

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রতি বাংলাদেশি শ্রমিকদের মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা প্রয়োজন অনুযায়ী সহজে দেশে ফিরতে পারেন। এ ছাড়া গত বছরের মে মাসে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজে যোগ দিতে না পারা ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকের প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তিনি। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুহাদা ওসমান প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব বিষয় উত্থাপন করেন। 

গত অক্টোবরে ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন যে মালয়েশিয়া এ প্রক্রিয়াটি দ্রুত এগিয়ে নেবে, যাতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের পরবর্তী দলটি কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারে। 

হাইকমিশনার জানান, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে কুয়ালালামপুরে বৈঠক করেছে এবং আজ মঙ্গলবার একই বিষয়ে আরেকটি বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আসিয়ান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশকে আসিয়ানের সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার এবং পরবর্তী সময়ে পূর্ণ সদস্য হতে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরও জানান, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯/১৮২ রেজল্যুশনের ভিত্তিতে ২০২৫ সালে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আসিয়ানের সমর্থন প্রয়োজন হবে। 

প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে আরও বেশি মালয়েশীয় বিনিয়োগ এবং কারখানা স্থানান্তরের ওপর কাজ করার আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশের যুবশক্তিকে কাজে লাগানো যায়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আশা করি আপনার বাংলাদেশে অবস্থানকালে অর্থনীতি এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে।’ 

তিনি জানান, বাংলাদেশ কুয়ালালামপুরে চতুর্থ দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ প্রক্রিয়া (বিসিএম) অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে একটি সুবিধাজনক তারিখের অপেক্ষায় রয়েছে। বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের পঞ্চম যৌথ কমিশন বৈঠক আয়োজনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

 

সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ আজ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৬ এএম
সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ আজ

অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক রাষ্ট্র সংস্কারে গঠন করা হয় ছয়টি কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে আজ।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা রাজনৈতিক দল ও গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির কাছে পাঠানো হবে। এরপর রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তির সঙ্গে আলোচনা এবং সমঝোতাক্রমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে হবে।‌ এ তারিখ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে।

একইসঙ্গে কমিশনের প্রধানরা পরবর্তী আশু করণীয়, মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বা ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার কী করতে পারে- সেটির সর্বসম্মত সুপারিশমালা পেশ করবেন।

গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুস রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দেন। এসব কমিশনকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

গত ১৫ জানুয়ারি সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ সংস্কার ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই চারটি এবং গত বুধবার জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করে।

অমিয়/

এখনো বিছানায় জুয়েল, দিশেহারা কৃষক বাবা

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১২ এএম
এখনো বিছানায় জুয়েল, দিশেহারা কৃষক বাবা
জুয়েল রানা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পেটে গুলিবিদ্ধ হন জুয়েল রানা। একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও এখনো তিনি বিছানায়। তার দরকার উন্নত চিকিৎসা। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের পক্ষে তার চিকিৎসা ব্যয় মেটানো আর সম্ভব হচ্ছে না। জুয়েলের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন দিশেহারা তার কৃষক বাবা আব্দুল জব্বার শেখ।

জুয়েল রানা (২৮) সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১৯ জুলাই ঢাকার বিজয় সরণি এলাকায় মিছিলে ছিলাম। আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। হঠাৎ আমার পেটে গুলি বিদ্ধ হয়। সহযোদ্ধারা আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে আমার শরীরে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ হতে পারিনি। আরও উন্নত চিকিৎসা দরকার বলে ডাক্তার জানিয়েছেন।’

চিকিৎসাধীন মো. জুয়েল রানা আরও বলেন, ‘আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট সরকার দেখতে চাই না। আমরা চাই বৈষম্যবিরোধী, অসাম্প্রদায়িক ও সঠিক একটি সরকারব্যবস্থা।’ 

জুয়েল রানার বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে। তিনি সরকারি ভোলা কলেজের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মেধাবী ছাত্র। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ছাত্রদলের সহসভাপতি ও জেলা ছাত্রদলের সদস্যও তিনি। তার স্ত্রীর নাম মুনিয়া আক্তার (২৪)। বাবা আব্দুল জব্বার শেখ কৃষিকাজ করেন। মা তাছলিমা বেগম গৃহিণী।

মুনিয়া বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পেটে গুলিবিদ্ধ হয়েও অলৌকিকভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিছানায়। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন নিয়মিত থেরাপি নিতে জেলা হাসপাতালে যেতে হয়। তার দরকার উন্নত চিকিৎসা। এ জন্য আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।’

মুনিয়া আক্তার জানান, জুয়েলসহ তিনি গ্রামে পরিবারের সঙ্গেই বসবাস করেন। পরিবারে বাবা-মা ছাড়াও এক ভাই ও এক বোন রয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের অর্থসংকট ঘুচাতে জুয়েল ছোটখাটো ব্যবসা করতেন। 

তিনি আরও জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাড়া দিয়ে তিনি ১৯ জুলাই ঢাকার বিজয় সরণি এলাকায় মিছিলে অংশ নেন। এ সময়ে পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় রানাকে একাধিক ছাত্ররা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখানেই তার শরীরে সফল অস্ত্রোপচার হয়। 

এরপর তার পেটে আবার দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার করা হয় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার শরীরের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে তাকে শ্রীপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু গত ১১ আগস্ট শরীরের অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে তাকে আবার ভর্তি করা হয়। এখনো তার চিকিৎসা চলছে। 

মুনিয়া বলেন, ‘একদিকে চিকিৎসার খরচ, অন্যদিকে সংসার। রানার যেটুকু আয় রোজগার ছিল তাও বন্ধ। ফলে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে সুচিকিৎসাও হচ্ছে না। পুরো পরিবার এখন দিশেহারা অবস্থায় আছে।’ 

এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার বলেন, ‘মো. জুয়েল রানা একজন ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী। আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ছিলেন।’ 

তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পেটে গুলিবিদ্ধ জুয়েল রানার প্রয়োজন সুচিকিৎসা।’ 

তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে জুয়েল রানার সুচিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ ও আহত ব্যক্তিদের প্রকাশিত খসড়া তালিকা অনুযায়ী সুচিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সাহায্য, সহযোগিতা করা হচ্ছে। শহিদ পরিবারগুলোর খোঁজ-খবরও নেওয়া হচ্ছে।’ সূত্র : বাসস

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, ঢাকার উন্নতি

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৫ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৪ এএম
বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, ঢাকার উন্নতি
ছবি: খবরের কাগজ

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) স্কোরে সারা বিশ্বের মধ্যে দূষিত বাতাসের শহরে আজ পঞ্চম স্থানে রয়েছে ঢাকা।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বাতাসকে ১৭৬ একিউআই স্কোর দিয়েছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।

তাই ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর।

একই সময়ে পাকিস্তানের লাহোর ২১১ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন ১৯৯ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং সেনেগালের ডাকার ১৮২ একিউআই স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

যখন কণাদূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘসময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

একিউআই মান ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

সুমন/

চট্টগ্রামে পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন বন্ধ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৪ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৬ এএম
চট্টগ্রামে পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন বন্ধ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে সংঘর্ষের ঘটনায় পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন বন্ধ। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে সংঘর্ষের ঘটনার জের এবং চার দফা দাবিতে গতকাল শুক্রবারও কর্মবিরতি পালন করেছেন জেলা প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার শ্রমিকরা। এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো ধরনের কনটেইনারবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারেনি। এতে বন্দরের আনলোড এবং ডেলিভারি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

গতকাল নগরের সল্টগোলা ও কাস্টম এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পণ্যবাহী লরি সড়কের দুই পাশে দাঁড় করিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন চালক-সহযোগীরা। এতে বন্দর-পতেঙ্গা সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সব ধরনের পণ্যবাহী গাড়ির বন্দরে প্রবেশ-বহির্গমন বন্ধ থাকে। অন্যদিকে সড়কে গাড়ি রেখে কর্মবিরতি পালন করায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। রাস্তার একপাশে সরু জায়গা দিয়ে বাস-অটোরিকশা-রিকশা চলাচল করলেও গন্তব্যে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে যাত্রীদের।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন, ‘ডিসি পার্ক বন্ধ হবে, অন্যথায় বন্দর বন্ধ থাকবে। আমাদের শ্রমিকদের যারা মারধর করেছেন তাদের বিচার করতে হবে। সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মজিবুর রহমান এ বিষয়ে আলোচনায় বসলেও কোনো সমাধান দিতে পারেননি। তাই আমাদের শ্রমিকরা গাড়ি বন্ধ রেখে কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন।’

গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, প্রতিরোধে আহত ১৫

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২১ এএম
গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, প্রতিরোধে আহত ১৫

গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের র বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে মারামারিতে আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন।

শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দাক্ষিনখান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

এলাকাবাসী ও পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে দাক্ষিনখান এলাকায় একদল ছাত্র-জনতা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করে। এ সময় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয়রা তাদের প্রতিরোধ করেন। তারা বাড়িটি ঘিরে ফেলে কয়েকজনকে মারধর করেন। এতে আহত হন ১২ থেকে ১৫ জন। 

পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে আহতদের হাসপাতালে পাঠায়। পরে ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনী।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ছাত্র–জনতার পরিচয় দিয়ে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয়রা এটির প্রতিরোধ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে।

অমিয়/