
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আবারও সচিবালয়ের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন পুলিশের ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শকরা (এসআই)।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ১নং গেটের বিপরীতে উসমানী উদ্যান সংলগ্ন রাস্তায় অনশন কর্মসূচি পালন করছেন অব্যাহতি পাওয়া ক্যাডেট এসআইরা।
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তারা আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন।
এর আগে গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি তারা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের কয়েকজন বলেন, ‘ট্রেনিং থেকে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি আমরা ৩১৩ জন সাব-ইন্সপেক্টর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলাম। ওই সময় আমাদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রসচিব দেখা করেছিলেন। তিনি আমাদের দাবির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে না পাওয়ায় আমরা আজ (সোমবার) আবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
কর্মসূচিতে আসা মিনহাজ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুবই তুচ্ছ অভিযোগে আমাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ একাডেমি সারদার ইতিহাসে একসঙ্গে এত এসআইকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’
অব্যাহতি পাওয়া আরেক এসআই অম্লান মিত্র। তিনি বলেন, ‘আমি ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ট্রেনিংয়ে অংশ নিই। অব্যাহতি দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর। সে সময় আমাকে বলা হয়েছে, আমি ক্লাসে অমনোযোগী এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। অথচ অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ৮০৪ জনের মেধাতালিকায় আমি ১০০ জনের মধ্যে ছিলাম। অমনোযোগী থাকলে তো এমন ফলাফল হওয়ার কথা নয়।’
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচে মোট ৮২৩ জন এসআই নিয়োগ পান। গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে তারা সারদায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করেন। তাদের মধ্যে তিন ধাপে ৩১৩ জন এসআইকে মাঠে ও ক্লাসে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে শোকজ করে একাডেমি। এরই মধ্যে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ২১ অক্টোবর ২৫২ জন, ৪ নভেম্বর ৫৮ জন ও সর্বশেষ ১৮ নভেম্বর ৩ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।