ঢাকা ২৬ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১

সীমান্তে এখন উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম
সীমান্তে এখন উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের শহিদ সাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: খবরের কাগজ

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এখন উত্তেজনা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই, পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। ভারত এখন আর কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে না। পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। আমরা বলেছি, আগামী মাসে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ডিজি পর্যায়ে একটি মিটিং আছে, ওই মিটিংয়ে এসব বিষয়ে আলোচনা হবে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের শহিদ সাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে সশস্ত্র বাহিনী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ময়মনসিংহ অঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ‘গত সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে কিছু কিছু অসম চুক্তি করা হয়েছে, এগুলো নিয়েও আলোচনা হবে। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে চিঠিও দিচ্ছি। যেগুলো অসম আছে সেগুলো কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়।’

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের তদন্ত পুলিশই করবে, এটা অন্য কোনো সংস্থার করার সুযোগ নেই। ট্রাইব্যুনালের তদন্তও পুলিশ বাহিনী করবে। পুলিশ যেন আগের মতো উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং তাদের কর্মদক্ষতা ফিরে পায় এবং এটা যেন তাড়াতাড়ি হয়। আপনারা দোয়া করবেন।

এখন সারের কোনো সংকট নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যদি কেউ সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আর যেসব ডিলাররা এর সঙ্গে জড়িত হবে, আগামী মাস থেকে তাদের ডিলারশিপ থাকবে না। কোনো অবস্থাতেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

এ সময় দেশীয় মিডিয়ার প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি মিডিয়াগুলো অনেক সময় উল্টাপাল্টা অনেক খবর দিত। কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো সত্যটা প্রকাশ করায় বিদেশি মিডিয়া এখন আর আমাদের অপপ্রচার করতে পারে না।

মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ, রেঞ্জ ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইউসুফ আলী, ৭৭ ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন হায়দার, ব্যাটল গ্রুপের কমান্ডার কর্নেল মাহমুদুল হাসান, ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমসহ চার জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা ও কৃষিসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

কামরুজ্জামান মিন্টু/মাহফুজ/এমএ/

 

ওসিকে হুমকি দিয়েও ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৩ এএম
ওসিকে হুমকি দিয়েও ধরাছোঁয়ার বাইরে
চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফেসবুক লাইভে এসে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া মো. সাজ্জাদ ওরফে ছোট সাজ্জাদ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফেসবুক লাইভে এসে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া মো. সাজ্জাদ ওরফে ছোট সাজ্জাদকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তিনি এখনো রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ ছাড়া তিনি এখনো অনেককে হুমকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন। 

গত ২১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন স্থানীয় ইট-বালির ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন তাহসীন। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় সাজ্জাদ তার দলবলসহ হাজির হয়ে গুলি করে আফতাব উদ্দিনকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সাজ্জাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে নগরের অক্সিজেনের কুয়াইশ এলাকায় দুর্বৃত্তরা মো. আনিস ও মাসুদ কায়সার নামে দুজনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এই জোড়া হত্যার আলাদা মামলায় সাজ্জাদকে আসামি করা হয়। সে হিসেবে দুই মাসের ব্যবধানে তার বিরুদ্ধে তিনটি খুনের অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর পুলিশ সাজ্জাদকে ধরতে গেলে তিনি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যান। এরপর থেকে ফেসবুকে তার কর্মকাণ্ড বেড়েছে। 

এর মধ্যে ‘এমডি সাজ্জাদ হোসাইন’ নামে আইডি থেকেই তিনি গত ২৮ জানুয়ারি রাত ১০টা ৩৯ মিনিটে লাইভে এসে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে পেটানোর হুমকি দেন।

এর আগে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর তৃতীয় লিঙ্গের শিলা ও আরেক নারীকে নিয়ে আপত্তিকর সব লেখা তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমার চোখের সামনে পড়িস না, পড়লে তোদের বাবারা তোদেরকে আর বাঁচাতে পারবে না।’ পোস্টে ওই দুজনের ছবিতে লাল ক্রস চিহ্ন দেন। সেই পোস্টের এক মাস ১৯ দিন পর গত সোমবার সন্ধ্যায় রাঙামাটির বেতবুনিয়ার একটি বাসা থেকে পুলিশ শিলার লাশ উদ্ধার করে। এদিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে নিয়মিত পোস্ট করেছেন সাজ্জাদ। 

এ ছাড়া তার স্ত্রী শারমিন আক্তার গত ১৫ জানুয়ারি নিজের ভ্রূণ হত্যা ও পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ‘অল হোপ ইটস গন’ নামে একটি পেজও চালান সাজ্জাদ। ওই পেজে তিনি ওসি আরিফকে নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট, বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ও সংবাদ শেয়ার করেন। 

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ‘সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। তার অবস্থান জানতে পারলে আমরা তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করব।’ 

রাঙামাটির কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘শিলা হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে নিয়ে মো. সাজ্জাদ ওরফে ছোট সাজ্জাদ পোস্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু আপাতত তার কোনো সম্পৃক্ততা আমরা পাইনি।’ 

সৌদি আরবের মাল্টিপল ভিসা পাবে না বাংলাদেশসহ ১৪ দেশ

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৭ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩২ এএম
সৌদি আরবের মাল্টিপল ভিসা পাবে না বাংলাদেশসহ ১৪ দেশ
প্রতীকী ছবি

সৌদি আরব নীতিগত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সৌদি সরকার পর্যটন, ব্যবসা এবং শ্রমিকদের পারিবার ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের এক বছরের মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই ভিসা নীতি কার্যকর হয়েছে। 

১৪ দেশের মধ্যে রয়েছে আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইথিওপিয়া,  ইরাক, জর্ডান, মরক্কো, নাইজেরিয়া, সুদান, ইয়েমেন ও তিউনিসিয়া।

নতুন নিয়ম অনুসারে ১৪টি দেশের পর্যটকরা এখন সর্বোচ্চ ৩০ দিনের একবার প্রবেশ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে কূটনৈতিক, শ্রমিক, হজ ও ওমরাহ ভিসায় এর প্রভাব পড়বে না।

সৌদি আরবের কর্মকর্তারা বলেন, অনেক মাল্টিপল রি-এন্ট্রি ভিসাধারী ভিসা-নীতি ভঙ্গ করে অবৈধভাবে সৌদি আরবে বসবাস করে আসছে এবং নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি অবস্থানের সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার পরও পর্যটক ভিসার অপব্যবহার করে হজে অংশ নিয়েছে।

মেহেদী/

জবাবদিহিতার মধ্যে রাখাই সাংবাদিকদের কাজ : সহকারী প্রেস সচিব

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৫ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ এএম
জবাবদিহিতার মধ্যে রাখাই সাংবাদিকদের কাজ : সহকারী প্রেস সচিব
ছবি : খবরের কাগজ

সবার চাওয়া যখন এক হয়ে গেছে তখনই সেটা হলো জুলাই বিপ্লব। আপনি যে প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক হবেন সে প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার মধ্যে রাখাই আপনার মূল কাজ। নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের আয়োজনে জুলাই বিপ্লব ও ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এসব কথা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ। 

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রেসক্লাবের আয়োজনে জুলাই বিপ্লব ও ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নোবিপ্রবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি আজহারুল মিজানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূখ্য আলোচক ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।

মূখ্য আলোচক প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, 'সাংবাদিকতা করার মধ্য দিয়ে অনেকগুলো মহৎ কাজ আপনারা বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে করতে পারবেন। সাংবাদিকরা গত ষোল বছর যেভাবে সাংবাদিকতা করার কথা ভেবেছেন সেভাবে হয়তো করতে পারেননি। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই অর্ন্তবর্তীকালীন সময়ে আপনারা সাংবাদিকতাকে উপভোগ করেন। এ সময় সাংবাদিকতার জন্য আপনাদেরকে কেউ গলা চেপে ধরবেনা।'

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, চব্বিশের এ বিপ্লবে আমরা একটা বড় প্রজন্মকে হারিয়েছি তাদের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুযোগ আমরা পেয়েছি সেই সুযোগকে যেন আমরা সবাই কাজে লাগাই সেটাই আমাদের আজকের প্রতিপাদ্য হওয়া উচিৎ। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা সব সময়ই একটা বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয়। বিশেষ করে বিগত ষোল সতেরো বছরে কোনো দুর্নীতি, নিয়োগ অনিয়ম, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিষয়ক কোনো সংবাদ প্রচারিত হলে প্রত্যেক সাংবাদিককে বিভিন্ন কারণে নিপীড়িত, নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত হতে হয়েছে। আমাদের নোবিপ্রবির সাংবাদিক বন্ধুগণ, আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীরাও এর বাইরে ছিলোনা। অনেকেই অনেকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা চাই বিপ্লবের পরবর্তী এই নতুন বাংলাদেশে এ ধরণের পরিস্থিতি যেন আর না হয়। আমাদের শিক্ষার্থীরাসহ সারা দেশে যারা সাংবাদিকতায় যুক্ত আছেন তারা সমাজ ও দেশের দর্পণ। আমরা চাই তারা অন্যায়কে তুলে নিয়ে আসুক, ন্যায়কে প্রচার করুক, অসত্যকে তুলে নিয়ে আসুক, কীভাবে সত্য দিয়ে কাজ করা যায় সেটাকে প্রচার করুক। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করুক এবং দুর্নীতিসহ যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রথম ব্যক্তিই যেনো আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা হয় সেটাই হওয়া উচিৎ আমাদের এই জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বিষয়।'

নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি আজহারুল মিজানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা ড. মো  আবদুল কাইয়ুম মাসুদ এবং  কামারুজ্জামান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা রাহী রহমান। নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন মিয়া। এ সময় নোবিপ্রবি ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীরুল ইসলাম সম্পাদিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উক্ত সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

কাউসার আহমেদ/জোবাইদা/ 

দূষিত বাতাসের শহরে ঢাকা আজ তৃতীয়

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ এএম
দূষিত বাতাসের শহরে ঢাকা আজ তৃতীয়
ছবি: খবরের কাগজ

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) স্কোরে সারা বিশ্বের মধ্যে দূষিত বাতাসের শহরে ঢাকা আজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে।  

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার বাতাসকে ১৯৭ একিউআই স্কোর দিয়েছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।

তাই ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর।

একই সময়ে ভারতের দিল্লি ২১৭ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম এবং পাকিস্তানের লাহোর ২১৬ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে।

যখন কণাদূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘসময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

একিউআই মান ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

সুমন/

চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা পুনর্বহাল হচ্ছেন

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৯ এএম
চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা পুনর্বহাল হচ্ছেন

আপিল ট্রাইব্যুনালে জয়ী চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের পুনর্বহালের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গতকাল শনিবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর জানান, বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল সংক্রান্ত ১ হাজার ৫২২টি আবেদন পুলিশ সদর দপ্তর গ্রহণ করে। এর মধ্যে কনস্টেবল ১০২৫ জন, নায়েক ৭৯ জন, এএসআই/এটিএসআই ১৮০ জন, এসআই/সার্জেন্ট/টিএসআই ২০০ জন, ইন্সপেক্টর ১০ জন এবং নন-পুলিশ সদস্য ২৮ জন। এসব আবেদনকারীর চাকরিতে পুনর্বহাল সংক্রান্ত বিষয় পর্যালোচনার জন্য গত বছরের আগস্ট মাসে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ইতোমধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

এআইজি ইনামুল হক বলেন, যারা আপিল ট্রাইব্যুনালে জয়ী হয়েছেন তাদেরকে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া যারা বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আপিল করেননি তাদের বিষয়ে আইনি বাধা থাকায় তাদের পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা যায়নি। পাশাপাশি যারা বরখাস্ত, অপসারণ আদেশের বিরুদ্ধে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেননি, তাদের পুনর্বহালের বিষয়ে আইনগত কারণে বিবেচনা করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে যাদের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন, আর্থিক দুর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগে ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাদের বিষয়েও বিবেচনা করা সম্ভব হয়নি।

এনামুল হক আরও বলেন, চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা যাতে ন্যায়বিচার পান সেজন্য পুলিশ সদর দপ্তর আন্তরিকভাবে কাজ করছে। তাই চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদেরকে শৃঙ্খলা পরিপন্থি আচরণ না করার জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হলো।