
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসির চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের সহায়তা দেবে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি- ইউএনডিপি। অন্যদিকে আগামী নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা তৈরি, টেকনিক্যাল ও প্রযুক্তিগত সাপোর্ট, প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউএনডিপির কাছে সহায়তা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইউএনডিপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য জানান জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস এবং ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যদের প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন।
আলোচনা শেষে লুইস সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে সহায়তা চেয়ে জাতিসংঘে ইসির পাঠানো চিঠির প্রেক্ষিতে আমরা এসেছি। কমিশন কীভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে চায়- আমরা তা বোঝার চেষ্টা করছি। আইটি সক্ষমতা উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজের জন্য কারিগরি সহায়তা চেয়ে অনুরোধ করেছে ইসি। অপতথ্যের বিস্তৃতিরোধেও সহায়তা চেয়েছে তারা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে কমিশনের আরও কী কী সহযোগিতা প্রয়োজন, সেগুলোর মূল্যায়ন আমরা করবো। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন এবং সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তারা এই মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে চান। ইসির সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি ও অপতথ্য মোকাবিলায় সহযোগিতাসহ বিস্তৃত বিষয়ে সহায়তা দিতে পারে ইউএনডিপি।
নির্বাচন ইউএনডিপির কাছে কমিশনের সহায়তা চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘ইউএনডিপির কাছে আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য ভোটার তালিকা তৈরির কার্যক্রম, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিগত ও কারিগরি সহায়তা চেয়েছি। তার মধ্যে রয়েছে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন, যোগাযোগ, এসডিজির কিছু গোল অর্জনের মতো কিছু বিষয়। তবে ইভিএম বিষয়ে এবং অর্থনৈতিক সহায়তার বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। প্রতিনিধি দলটি এ সব প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করতেই এসেছে। সংস্থাটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহে সহায়তা করবে না, বরং ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজে তথ্য প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করবে। তাদের সহযোগিতা নিতে আমাদের এখানে তাদের একটা ক্যাম্প অফিস স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে তারা নিয়মিত কাজ করবেন।
এ সময় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইসির পরিকল্পনা জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ধারাবাহিকভাবে আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনাররা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা আমাদের যে গাইডলাইন দিয়েছেন, আমরা তার ভেতর কাজ করছি। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, আগামী বছর জুন অথবা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, সংস্কার সীমিত আকারের করা হলে ডিসেম্বরের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
এলিস/নাবিল/এমএ/