ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

একাধিক রোগে আক্রান্তরাই এইচএমপিভি ঝুঁকিতে: সায়েদুর রহমান

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম
একাধিক রোগে আক্রান্তরাই এইচএমপিভি ঝুঁকিতে: সায়েদুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এইচএমপি ভাইরাসের জন্য নয়, অন্য একাধিক রোগই তার মৃত্যুর কারণ বলে জানিয়েছে সরকার। 

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুসারে বলা যায়, এইচএমপিভির কারণে মৃত্যুর ঘটনা খুবই বিরল। এক মাসের বেশি সময় ধরে ওই নারী অসুস্থ। এক মাস ধরে বাসায় চিকিৎসা নিয়েছেন। তখন কী হয়েছিল, তা ডিটেক্ট করা কঠিন। কয়েক দিন আগে তিনি হাসপাতাল নেটওয়ার্কে আসেন। তিনি ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হন এবং পরবর্তী সময় তার মাল্টি অর্গান ফেইলিয়র হয়। এ ছাড়া তার অবিসিটি, থাইরয়েড ডিসফাংশন ছিল। তার মৃত্যুতে আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি। চিকিৎসার একপর্যায়ে নিউমোনিয়া এবং মাল্টি অর্গান ফেইলিয়রের কারণে রোগী মৃত্যুবরণ করে। সেই সঙ্গে রোগী দুর্ভাগ্যজনকভাবে এইচএমপি ভাইরাসেও আক্রান্ত ছিলেন।’

সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরিফুল বাসার বলেন, ‘গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রোগিনী মারা যান। তবে তিনি এইচএমপি ভাইরাসের জন্য মারা যাননি। অন্য কমপ্লিকেশন ছিল, সে জন্য অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। কিডনির সমস্যার পাশাপাশি তিনি অনেক মোটা ছিলেন।’ 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আপনারা জানেন কোনো ভাইরাসের যখন বিস্তার হতে থাকে তখন সেটির প্রতিনিয়ত মিউটেশন বা পরিবর্তন হতে থাকে। কোভিড ভাইরাসও অনেক পুরোনো ভাইরাস ছিল। মিউটেশনের কারণে এটি ক্ষতিকর বা প্রাণঘাতী হয়ে যেতে পারে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে যতটা সম্ভব এর বিস্তার যাতে রোধ করা যায়। যদি দরকার হয় তাহলে আমাদের কোভিডকালীন যে প্রস্তুতি ছিল সেটা পুনরায় আমরা পুনরুজ্জীবিত করব।’

সম্প্রতি চীন ও জাপানে অনেকেই এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতেও বেশ কয়েকজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। গত ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশেও এক নারীর শরীরে এই ভাইরাস শনাক্তের কথা জানায় দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে ওই নারীর পরিবারের কারও বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। দেশে থেকেই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। 

২০১৭ সাল থেকেই দেশে এই ভাইরাস শনাক্তে পরীক্ষা করে আসছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডসিআর)। তখন থেকেই এই রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে ২০১৫ সালে এক গবেষণা চালাতে গিয়ে তখনো ২৬ জন শিশুর শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া যায়। কিন্তু কখনো কোনো জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার ইতিহাস নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচএমপিভি সবার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়। শুধু একাধিক রোগে আক্রান্তদের জন্য ভাইরাসটি ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু এইচএমপিভি নয়, সব ভাইরাসই একাধিক রোগে আক্রান্তদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সে জন্য যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি রোগ, সিওপিডি, অ্যাজমা, ক্যানসারের মতো জটিল রোগ আছে, তাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিলে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল ও পুষ্টিকর খাবার খেলে রোগটি ভালো হয়ে যায়। একাধিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়া এই রোগ শনাক্তে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি)-এর উদীয়মান প্রবণতা: বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন হুমকি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ আয়োজিত এই সেমিনারে অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম জানান, হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষা ও এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউর সব রকমের প্রস্তুতি রয়েছে। 

সেমিনারে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অঙ্গ প্রতিস্থাপন, ক্যানসারের রোগীসহ যেসব রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, অবশ্যই তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা থাকা জরুরি। ব্যক্তি পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ইতোমধ্যে আগের তুলনায় নিউমোনিয়া ও অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাই ব্যক্তি পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি হয়ে পড়েছে। যেসব রোগীর বা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা এই সময় সিজনাল ভ্যাকসিন বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন ও নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নিতে পারেন, যা তাদের জীবনের সুরক্ষা হিসেবে কাজ করবে।’

ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত বলেন, ‘এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত জ্বর, কাশি, নাক বন্ধ, গলাব্যথা এসব লক্ষণ নিয়ে আসতে পারে। এ ছাড়া চামড়ায় র‌্যাশ এবং কখনো কখনো শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এইচএমপি ভাইরাসে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। তবে শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, এমন কোনো ওষুধ সেবন করছেন, যেমন- কেমোথেরাপি, স্টেরয়েড ইত্যাদি তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি। যদিও এই ভাইরাসটি সাধারণত জটিল আকার ধারণ করে না, তথাপি কিছু ক্ষেত্রে যেমন যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি রোগ, সিওপিডি, অ্যাজমা অথবা ক্যান্সারের মতন জটিল রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।’ 

এই ভাইরাসটি সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি ও কাশির ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়, তাই কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে খুব সহজেই এই রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব বলে জানান তিনি। ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘বাইরে গেলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, সাবান, পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুতে হবে, হাঁচি কাশি দেয়ার সময় টিস্যু দিয়ে মুখ ঢেকে নিতে হবে, আর টিস্যু না থাকলে হাতের কনুই ভাঁজ করে সেখানে মুখ গুঁজে হাঁচি কাশি দিতে হবে, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, জনসমাগম বা ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে ইত্যাদি।’ 

সাধারণত শীতকাল ও বসন্তকালে এ রোগের সংক্রমণ বেশী দেখা যায় জানিয়ে ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে সাধারণ ফ্লু-এর মত লক্ষণ প্রকাশ পায় যা ৫ থেকে ৭ দিনের মাঝে আপনা আপনিই ভাল হয়ে যায়, তাই কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন অনেক বয়স্ক মানুষ, ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি, একইসাথে একাধিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়া এই রোগ শনাক্তকাণের জন্য কোনো পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো সুনির্দিষ্ট এ্যান্টি ভাইরাল ঔষধ বা ভ্যাকসিন আবিস্কৃত হয়নি, তবে অন্যান্য সাধারণ সর্দি জ্বরের মতই হওয়াতে এ রোগের জন্য আলাদা কোনো চিকিৎসার দরকার নেই, শুধুমাত্র লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিলেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়। যেমন- জ্বর হলে প্যারিসিটামল, সর্দি কাশি হলে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ দিতে হয়, একইসঙ্গে রোগীকে পর্যপ্ত পরিমাণে তরল খাবার ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে। তাই আতংকিত না হয়ে সচেতন হওয়াটা খুব জরুরি। 

অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৩৪৭

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫১ পিএম
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৩৪৭
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

অপারেশন ডেভিল হান্টে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক হাজার ৩৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, গত একদিনে অপারেশন ডেভিল হান্টে ৪৭৭ জন এবং অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্ট মিলে ৮৭০ জনসহ মোট ১ হাজার ৩৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ২০ রাউন্ড গুলি ও একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, তিনটি ছুরি, দুটি রামদা ও তিনটি হাতুড়ি জব্দ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গাজীপুরসহ সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন এই বিশেষ  অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে সরকার।

মেহেদী/

সংলাপের মাধ্যমে সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরু: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম
সংলাপের মাধ্যমে সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরু: প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

সংলাপের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরু হয়েছে, আর এই পথচলায় বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন আছে। আগামী ৬ মাস অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের চালানো নৃশংসতার তথ্যও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।

পরে প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি, তার সঙ্গে পুরো বিশ্ব এবং দেশের মানুষ আছেন। আজ একটি মহৎ উদ্যোগ শুরু হলো। আজকের দ্বিতীয় যাত্রার মধ্যদিয়ে আমরা কীরকম বাংলাদেশ চাই তা নির্ধারিত হবে।

প্রেস সচিব আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে প্রথম ইনিংস বা প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো।

এর আগে বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারে নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। 

এছাড়া বৈঠকে আরও যেসব রাজনৈতিক দলের নেতারা রয়েছেন- লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হালদার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণ ফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতারা।

গত বুধবার সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। যার সভাপতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।

এমএ/


 

বদলে গেল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৫ পিএম
বদলে গেল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম
ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম বদলে নতুন নামকরণ হয়েছে জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা। এই প্রথম কোনো জাতীয় পর্যায়ের স্টেডিয়ামের নাম বদল করল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে  এ তথ্য জানানো হয়েছে।

১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্টেডিয়াম দীর্ঘদিন ঢাকা স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার পর ১৯৯৮ সালে স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামে হয়েছে ক্রিকেট-ফুটবলসহ রাষ্ট্রীয় অনেক ক্রীড়া অনুষ্ঠানও। এখানেই হয়েছিল ২০০০ সালের বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ক্রিকেট।

এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পর্যায়ের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ১৫০টি স্টেডিয়ামের নাম বদল করে স্ব স্ব উপজেলার নামে নামকরণ করা হয়েছে।

মেহেদী/

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ২৬ দল ও জোটের শতাধিক নেতার অংশগ্রহণ

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩১ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ২৬ দল ও জোটের শতাধিক নেতার অংশগ্রহণ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে ২৬ দল ও জোটের শতাধিক নেতা অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বেইলী রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হওয়া এ বৈঠকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

এ বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক দিন’ আখ্যায়িত করে শফিকুল আলম বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শুরু হয়েছে। এটা প্রস্তুতিমূলক সভা। আমরা যতগুলো দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি সবাই এসেছেন।

বৈঠকে আমন্ত্রিত দল ও জোটের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক কমিটি, এলডিপি, এবি পার্টি, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ডেমোক্রেটিক লেফট ইউনিটি, লেবার পার্টি, বাংলাদেশে জাসদ, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-(জেএসডি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, গণফোরাম, আমজনতার দল, লেফট ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বৈঠকে অংশ নেন।

শনিবার বিকাল ৩টায় শুরু হওয়া এ বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য দেন। এর আগে বৈঠকে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা ২টার পর থেকে সভায় আসতে শুরু করেন।

গত বুধবার সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। যার সভাপতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বৈঠকে কমিশন আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো বিবেচনা করবে। এছাড়া কমিশন জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

 

জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচনের তারিখ: প্রেস সচিব

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচনের তারিখ: প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে তা নির্ভর করছে ‘জুলাই চার্টারের’ ওপর  বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করবে আমাদের নির্বাচনটা কবে হবে।’

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরুর আগে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

‘জুলাই চার্টার’ কী, ব্যাখ্যা করে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ছয়টি সংস্কার কমিশন যে রিপোর্টগুলো দিয়েছে; সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খুভাবে পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে এই কমিশনের আলাপ হবে। আলাপের পর সব পলিটিক্যাল পার্টির ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা সবাই অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলো সাইন বা সই করবে। সেই সাইনড ডকুমেন্টটা হবে জুলাই চাটার্ড।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে পুনর্গঠন এবং তার পরে আমরা যে রাজনৈতিক সমাধানে যাচ্ছি; কীভাবে আমাদের ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনটা হবে, সেটার জন্যই আজকের রাজনৈতিক সংলাপের সূচনা বলেও জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে, মোস্ট লাইকলি ইলেকশনটা হবে ডিসেম্বরের মধ্যে। সে ক্ষেত্রে আমরা হয়তো কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারব। আর পরে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে তারা বাকিগুলো বাস্তবায়ন করবে।

এমএ/