
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো দূরত্ব সৃষ্টি হয়নি। শুধুমাত্র কী পদ্ধতিতে করা হবে তা নিয়ে বিভিন্ন রকম মতামত আসছে। সব মতামতকে আমরা স্বাগত জানাই। কোথাও আমরা অনৈক্যের সুর দেখি না, বরং সবাই বলছে এই ঘোষণায় যেন সবার মালিকানা থাকে। সেই বিষয়ে বিভিন্ন মতামত আসছে। এমন মতামতে সবার ঐক্য আরও সুদৃঢ় হবে।’
ঘোষণাপত্র নিয়ে আরও আলোচনা হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আলোচনা হতে পারে, কমিটি হতে পারে, ওনাদের (রাজনৈতিক দল) মতামত নিয়ে খুব দ্রুত একটা কর্মকৌশল ঠিক করব।
সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনীতিবিদরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে রাজনৈতিক শক্তি, ছাত্র জনতা- সবার মতামত নিয়ে ঘোষণাপত্র প্রণয়নে গুরুত্বরোপ করেছেন বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘সবাই বলেছেন- এ ধরনের একটা ঘোষণাপত্র করার দরকার আছে। তবে এখানে অনেক সাজেশন আসছে। মোটাদাগে ঘোষণাপত্রে সবার অবদান বলতে হবে, ধারাবাহিকতা উল্লেখ করতে হবে। ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক নেচার বা লিগ্যাল নেচার কি হবে সেটা স্পষ্ট করতে হবে। বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে- এই ঘোষণাপত্র আরও বেশি আলোচনার ভিত্তিতে প্রণয়ন করতে হবে।’
ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করতে কত দিন সময় লাগতে পারে এমন এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এটার জন্য যত সময় প্রয়োজন সময় নেওয়া যেতে পারে। তবে এটাও বলছে যাতে অযথা কালবিলম্ব না হয় সেই মতামত দিয়েছে। সবাই ঐকমত্য হয়েছে, আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই ধরনের ঘোষণাপত্র হওয়া উচিত। সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই প্রক্রিয়ায় আমরা সফল হতে সক্ষম হব।’
সব রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা সরকারকে সময় দিতে রাজি হয়েছে বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘যারা অংশ নিয়েছে সবাই বলেছেন- ঐকমত্য পোষণ করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি ঘোষণাপত্র তৈরি করার জন্য। যত সময় লাগুক তা যেন নেওয়া হয়। তাড়াহুড়ো যেন না করা হয়, কালক্ষেপণ যেন না করা হয়। এই লক্ষ্যে অনেকে প্রস্তাব করছে আলোচনা করার জন্য যাতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আমরা এই প্রস্তাবগুলো দ্রুত বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’