
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত রাখতে বাতিল করা হচ্ছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৪০ নং আইন)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে আরএফইডি আয়োজিত পিঠা উৎসবে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। এ বিষয়ে দ্রুত সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান তিনি।
এর আগে গত বুধবার (১৫ জানুয়রি) এনআইডি আইন, ২০২৩ বাতিল করতে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো হয়।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, এনআইডি কার্যক্রম ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৩ সালে একটি আইন করে। ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ শীর্ষক ওই আইনে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে না নেওয়া পর্যন্ত ইসির অধীনেই পরিচালনার কথা বলা হয়। সেই হিসেবে এনআইডি কার্যক্রম এখনো ইসির অধীনেই আছে।
এর আগে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর এই আইন বাতিল করে এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের কাছে বহাল রাখতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়কে অনুরোধ করে নির্বাচন কমিশন। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাসহ সুশীল সমাজ এবং দেশের সাধারণ মানুষ এই কার্যক্রমটি ইসির অধীনে রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন শুরু থেকেই। তারা ২০২৩ সালের নতুন আইনটি বাতিল করার দাবি জানান।
ইসি আরও জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও একই ভোটার তালিকা ব্যবহার করা হয়। ২০২১ সালের ১৭ মে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যস্ত করার বিষয়ে তৎকালীন সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরপর সেই বছরের ৭ জুন নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর পাঠানো চিঠির মাধ্যমে এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে রাখার পক্ষে মতামত পাঠানো হয়।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ বা আলোচনা ব্যতিরেকেই ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩ নং আইন) বাতিলপূর্বক জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৪০ নং আইন) প্রণয়ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬-এর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে কার্যাবলি বণ্টন-এ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের দায়িত্বসমূহের মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।