
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তে সব মোবাইল অপারেটিং কোম্পানিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশে আন্দোলনের মধ্যে ধারণ করা সব তথ্য সংগ্রহে রাখতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারকেও (এনটিএমসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারকের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আদালতে শুনানিতে ছিলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সরকারি দুই সংস্থা এনটিএমসি ও বিটিআরসির কাছে থাকা আন্দোলনকেন্দ্রিক সব তথ্য-উপাত্ত স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করতে বলেন আদালত। যেন প্রয়োজনের সময় এসব ডকুমেন্ট ও তথ্য-উপাত্ত পেতে কোনো সমস্যা না হয়।
আদালত থেকে বের হওয়ার পর চিফ প্রসিকিউটর বলেন, গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে ঘটনার বিবরণ-উপাত্ত, যা এনটিএমসি ও বিটিআরসিতে সংরক্ষিত থাকে, একটি নির্দিষ্ট সময় পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায়। এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেন আলাদাভাবে সংরক্ষণ করা হয়, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবী বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময়কার এ ধরনের তথ্য-উপাত্ত বিচারিক কাজে প্রয়োজন হতে পারে। তদন্ত বা বিচারের স্বার্থে যেকোনো অফিসের নথিপত্র চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনকে দিতে বাধ্য থাকবে কর্তৃপক্ষ। তাই আদালত এনটিএমসি ও বিটিআরসিকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন।