
ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাপক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধ, পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্যের ওপর থেকে নতুন আরোপ করা বাড়তি ভ্যাট কমানো হচ্ছে। অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, ‘কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট কমানোর বিষয়টি রিভিউ (পর্যালোচনা) করা হচ্ছে। অচিরেই এ বিষয়ে আদেশ জারি করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।’
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
বাড়তি ভ্যাটের কারণে বাজারে পণ্যের দামে এরই মধ্যে প্রভাব পড়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ভ্যাটের কারণে সম্পূর্ণ না। তবে কিছু প্রভাব পড়েছে। আমরা রিভিউ করছি। ভ্যাট বাড়ানোর কারণেই প্রভাব পড়েছে তা পুরোপুরি সত্য নয়। সরবরাহব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) এর জন্য দায়ী।
গত ৯ জানুয়ারি এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে তৈরি পোশাক, ওষুধ, মিষ্টি, মোবাইলসহ শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো হয়। এর ফলে সারা দেশে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ দেশের প্রভাবশালী চেম্বার বিষয়টি সম্পর্কে গভীর উদ্ধেগ প্রকাশ করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানায়।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, তৈরি পোশাক ও মিষ্টির ওপর ভ্যাটের হার ১৫ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হবে।
অর্থ উপদেষ্টা সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভ্যাটের হার বাড়ানো হয়েছে কয়েকটি জিনিসের। বিদেশি ফলের জুস কয়টা মানুষ কেনে। এই পণ্যের দাম বাড়লেও সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব পড়ার কথা নয়। তার পরও আমরা বেশ কয়টি পণ্যের বিষয়ে রিভিউ করছি। কোন কোন পণ্যের ভ্যাট কমানো হচ্ছে তা পরে জানানো হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ওষুধ, পোশাকসহ অত্যাবশ্যকীয় যেসব পণ্য সাধারণ লোকজনের ওপর প্রভাব ফেলে সেগুলো রিভিউ করা হচ্ছে। আমদানি করা ফলের জুস- এগুলো আমি কেন কমাব?’
সৌদি আরবে ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সম্মেলনে অংশগ্রহণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আইডিবি সাধারণত আমাদের বিরাট একটা অঙ্ক দেয় গ্যাস এবং পেট্রোলিয়াম ক্রয়ের জন্য। আমি এবার অনুরোধ করেছি সারের জন্য অর্থ দিতে। তারা রাজি হয়েছে।’