
চাষিদের স্বার্থ রক্ষা করে লবণ শিল্পের উন্নয়ন ও উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে লবণ শিল্পের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং পরে সদর উপজেলার চৌফলদন্ডীতে লবণ মাঠ এবং প্রস্তাবিত লবণ গবেষণা ইন্সটিটিউটের জায়গা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এ সময় চৌফলদন্ডীতে স্থানীয় চাষিদের কাছে তাদের সমস্যার কথা শুনতে চান উপদেষ্টা।
পরে চাষিরা বর্তমানে লবণের নায্যমূল্য না পাওয়া, দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য, চাষের জন্য খাস জমি বন্দোবস্ত না পাওয়াসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
এ সময় আদিলুর রহমান বলেন, ‘লবণ উৎপাদন ও গুণগতমান বাড়ানের জন্য সরকার পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। চৌফলদন্ডীতে লবণ গবেষণা ইন্সটিটিউট হচ্ছে।’
এ ছাড়া চাষিরা যেন লবণের ন্যায্যমূল্য পান সেই লক্ষ্যে নীতিমালার আলোকেই লবণবোর্ড গঠনসহ নানা বিষয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বিগত ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যক লবণ উৎপাদনের তথ্য দিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘পাইলটিং প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে লবণ উৎপাদন ও গুণগতমান যেমন বাড়বে তেমন চাষিরাও যেন ন্যায্যমূল্য পান এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।’
এ সময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ ও বিসিকের কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবালসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিসিকের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চৌফলদন্ডীতে ৩০ একর জায়গায় লবণ গবেষণা ইন্সটিটিউট নির্মাণ করা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৫৪ কোটি টাকা। প্রকল্প প্রস্তাবটি বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আছে। এ ছাড়া উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে চৌফলদন্ডীতে ভারত, চীন ও জাপানের চাষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়।
মুহিববুল্লাহ/পপি/