
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, স্বৈরাচারী সরকারের সময় যে যা খুশি তা করেছে, এখন আর সেই সময় নেই। সেটা যেন আর না হয়। ভবিষ্যতে যারা সরকারে আসবেন আশা করি তারা অতীত থেকে শিক্ষা নিবেন যে কী করলে কী হয়। আমরা যত দিন আছি ততোদিন আর অরাজকতা সৃষ্টি হবে না।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভোলার দৌলতখানে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাট পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আধুনিক লঞ্চ ঘাট ও জেটি প্রকল্পের স্থান পরিদর্শনে তিনি ২ দিনের সফরে ভোলায় অবস্থান করছেন।
লঞ্চঘাট গুলোতে যে অরাজকতা হয় তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, 'ঘাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৫ টাকার টিকেট ১০ টাকা নেওয়ার এখন আর সুযোগ নেই, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সকলকে এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'নৌ পথের নিরাপত্তা ও ঘাটের চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করবে।'
চারপাশ নদীবেষ্টিত দ্বীপজেলা ভোলায় যে ঘাটগুলো রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয় এবং উন্নত সুযোগ সুবিধা নেই। এই পরিপেক্ষিতে ভোলাতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বেশ কিছু ঘাট পূর্ননির্মিত হচ্ছে জানিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, 'নতুন ঘাটগুলো ভোলা সদরের ইলিশা, দৌলতখান, তজুমউদ্দিন, ও মনপুরায় নির্মিতি হবে। এ ছাড়াও দক্ষিনাঞ্চল নৌ পথ সচল রাখতে ড্রেজিং কার্যক্রম এবং ভোলা-মনপুরাসহ সুবিধাজনক পয়েন্টে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে।'
ঘাটগুলো নির্মানে স্থানীয় বাসিন্দা ও সাধারণ মানুষের সাময়িক অসুবিধা হলেও উন্নয়নের স্বার্থে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
ইমতিয়াজ/সিফাত/