ঢাকা ২৬ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১

আগে যা খুশি করেছেন, এখন আর সেই সময় নেই: এম সাখাওয়াত

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম
আগে যা খুশি করেছেন, এখন আর সেই সময় নেই: এম সাখাওয়াত
ভোলায় লঞ্চঘাট পরিদর্শনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা। ছবি: খবরের কাগজ

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, স্বৈরাচারী সরকারের সময় যে যা খুশি তা করেছে, এখন আর সেই সময় নেই। সেটা যেন আর না হয়। ভবিষ্যতে যারা সরকারে আসবেন আশা করি তারা অতীত থেকে শিক্ষা নিবেন যে কী করলে কী হয়। আমরা যত দিন আছি ততোদিন আর অরাজকতা সৃষ্টি হবে না।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভোলার দৌলতখানে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাট পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আধুনিক লঞ্চ ঘাট ও জেটি প্রকল্পের স্থান পরিদর্শনে তিনি ২ দিনের সফরে ভোলায় অবস্থান করছেন।

লঞ্চঘাট গুলোতে যে অরাজকতা হয় তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, 'ঘাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৫ টাকার টিকেট ১০ টাকা নেওয়ার এখন আর সুযোগ নেই, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সকলকে এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'নৌ পথের নিরাপত্তা ও ঘাটের চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করবে।'

চারপাশ নদীবেষ্টিত দ্বীপজেলা ভোলায় যে ঘাটগুলো রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয় এবং উন্নত সুযোগ সুবিধা নেই। এই পরিপেক্ষিতে ভোলাতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বেশ কিছু ঘাট পূর্ননির্মিত হচ্ছে জানিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, 'নতুন ঘাটগুলো ভোলা সদরের ইলিশা, দৌলতখান, তজুমউদ্দিন, ও মনপুরায় নির্মিতি হবে। এ ছাড়াও দক্ষিনাঞ্চল নৌ পথ সচল রাখতে ড্রেজিং কার্যক্রম এবং ভোলা-মনপুরাসহ সুবিধাজনক পয়েন্টে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে।'

ঘাটগুলো নির্মানে স্থানীয় বাসিন্দা ও সাধারণ মানুষের সাময়িক অসুবিধা হলেও উন্নয়নের স্বার্থে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

ইমতিয়াজ/সিফাত/

দূষিত বাতাসের শহরে ঢাকা আজ তৃতীয়

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম
দূষিত বাতাসের শহরে ঢাকা আজ তৃতীয়
ছবি: খবরের কাগজ

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) স্কোরে সারা বিশ্বের মধ্যে দূষিত বাতাসের শহরে ঢাকা আজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে।  

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার বাতাসকে ১৯৭ একিউআই স্কোর দিয়েছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।

তাই ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর।

একই সময়ে ভারতের দিল্লি ২১৭ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম এবং পাকিস্তানের লাহোর ২১৬ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে।

যখন কণাদূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘসময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

একিউআই মান ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

সুমন/

চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা পুনর্বহাল হচ্ছেন

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৯ এএম
চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা পুনর্বহাল হচ্ছেন

আপিল ট্রাইব্যুনালে জয়ী চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের পুনর্বহালের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গতকাল শনিবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর জানান, বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল সংক্রান্ত ১ হাজার ৫২২টি আবেদন পুলিশ সদর দপ্তর গ্রহণ করে। এর মধ্যে কনস্টেবল ১০২৫ জন, নায়েক ৭৯ জন, এএসআই/এটিএসআই ১৮০ জন, এসআই/সার্জেন্ট/টিএসআই ২০০ জন, ইন্সপেক্টর ১০ জন এবং নন-পুলিশ সদস্য ২৮ জন। এসব আবেদনকারীর চাকরিতে পুনর্বহাল সংক্রান্ত বিষয় পর্যালোচনার জন্য গত বছরের আগস্ট মাসে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ইতোমধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

এআইজি ইনামুল হক বলেন, যারা আপিল ট্রাইব্যুনালে জয়ী হয়েছেন তাদেরকে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া যারা বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আপিল করেননি তাদের বিষয়ে আইনি বাধা থাকায় তাদের পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা যায়নি। পাশাপাশি যারা বরখাস্ত, অপসারণ আদেশের বিরুদ্ধে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেননি, তাদের পুনর্বহালের বিষয়ে আইনগত কারণে বিবেচনা করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে যাদের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন, আর্থিক দুর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগে ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাদের বিষয়েও বিবেচনা করা সম্ভব হয়নি।

এনামুল হক আরও বলেন, চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা যাতে ন্যায়বিচার পান সেজন্য পুলিশ সদর দপ্তর আন্তরিকভাবে কাজ করছে। তাই চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদেরকে শৃঙ্খলা পরিপন্থি আচরণ না করার জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হলো।

গাজীপুরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম
গাজীপুরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
গাজীপুরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী।

এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে এই যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হবে।

শুক্রবার  (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় যেখানে বেশ কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর ব্যাপারে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

এমএ/

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে ফের অবনতি, পাল্টাপাল্টি তলব

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:১৫ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫০ পিএম
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে ফের অবনতি, পাল্টাপাল্টি তলব
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ও দিল্লিতে উভয় দেশের হাইকমিশনারকে পাল্টাপাল্টি তলবের ঘটনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ফের অবনতির দিকে যাচ্ছে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর এক দিন পরেই দিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে পাল্টা তলব করে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

দিল্লিতে অবস্থান করে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যে উসকানি ছিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের ঘটনাকে ছাত্রদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা অবিরাম উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন, যা থেকে নিবৃত্ত করতে ভারতকে বারবার বলার পরও তারা সেটা করেনি। এর ফলে ঘটনাগুলো ঘটছে বলে আমাদের বিশ্বাস।’ তিনি বলেন, ভারতকে বারবার বলার পরও বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে শেখ হাসিনার বক্তব্য থামছে না। এ বিষয়ে ভারত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এদিকে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, সেগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং এতে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নূরুল ইসলামকে তলব করে এ কথা জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তলবের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের বিষয়ে দিল্লি জানায়, তিনি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এটা করছেন এবং এই বিষয়টি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না। তার বক্তব্যের বিষয়টিকে পাশ কাটিয়েও সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। এটাকে ভারত সরকারের অবস্থানের সঙ্গে মিশিয়ে ফেললে তাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ইতিবাচক কিছু আসবে না। মুখপাত্র জয়সওয়াল বলেন, নূরুল ইসলামকে বলা হয়েছে যে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক, গঠনমূলক ও পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক চায়। তিনি আরও বলেন, ‘ভারত সরকার যখন পারস্পরিক স্বার্থের সহায়ক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে, তখন আমাদের প্রত্যাশা থাকবে যে বাংলাদেশও পরিবেশের অবনতি না হয়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থেকে সম্পর্কের স্বার্থে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ খবরের কাগজকে বলেন, ‘এক পক্ষ দোষ করলে অন্য পক্ষের ঘাড়ে দায় চাপানোর অভ্যাস উভয় দেশের রাজনীতিতেই আছে। এতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব কিছুটা পড়ে, আবার সময়ের ব্যবধানে সেটা ঠিকও হয়ে যায়। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা আগে ঠিক করতে হবে, যাতে কোনো কিছু ক্ষতি হওয়ার আগে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এটা না করায় মনে হওয়া স্বাভাবিক যে এতে কর্তৃপক্ষের সায় আছে। তবে এ ধরনের ভাঙচুরের ঘটনাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।’

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এ বিষয়ে খবরের কাগজকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গত ৫ আগস্ট থেকে একটি নেতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত আছে এবং সম্প্রতি সেটা স্বাভাবিক করা চেষ্টা চলছে। তবে কোনো বিষয়ে দুই দেশের হাইকমিশনারকে তলবের ঘটনা স্বাভাবিক সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে না।’ তিনি বলেন, ‘বৌদ্ধ ধর্মগুরু দালাইলামাও ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। তিনি ভারতে অবস্থান করে একটি আশ্রমও চালান, আবার বিভিন্ন বিদেশি নেতার সঙ্গে বৈঠকও করেন। এরপরও ভারত ও চীনের মধ্যে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়ে না। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়া থেকে নিবৃত্ত করার যে কথা বলা হয়, সেটা ভারত করবে বলে মনে হয় না। এটা দালাইলামার ক্ষেত্রেও করেনি।’

ডিআইজি মোল্যা নজরুল ডিবি হেফাজতে

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম
ডিআইজি মোল্যা নজরুল ডিবি হেফাজতে
পুলিশের ডিআইজি মোল‍্যা নজরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের ডিআইজি মোল‍্যা নজরুল ইসলামকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাকাডেমিতে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় এই কর্মকর্তাকে আটক করা হয়।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে ডিবি হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

তবে তাকে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগে এবং কোথা থেকে আটক করা হয়েছে— এ বিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি।

সরকার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে বল প্রয়োগ করে সবচেয়ে বেশি আলোচিত পুলিশের অনেক সদস্যদের বিরুদ্ধে সারা দেশে হত্যা মামলা হয়েছে।

এরমধ্যে এসব মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও শহীদুল হকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত ২৮ সদস্য গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এরমধ্যে ডিআইজি মোল্যা নজরুলকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য দিল পুলিশ।

গণআন্দোলনের মুখে পতন হওয়া বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোল্যা নজরুল সর্বশেষ সিআইডিতে কর্মরত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশে বদলি, পদোন্নতি, বাধ্যতামূলক অবসর ও চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৭ অক্টোবর ডিআইজি মোল্যা নজরুলকে সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমিতে সংযুক্ত করা হয়।

এর আগে তিনি গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ডিআইজি, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশসহ (ডিবি) পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন।

এমএ/