ঢাকা ২৬ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণের পেছনে ছিল গোয়েন্দা সংস্থা: প্রেস সচিব

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণের পেছনে ছিল গোয়েন্দা সংস্থা: প্রেস সচিব
ডিআরইউ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করার পেছনে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অন্যতম বড় ভূমিকা ছিল। সেই জায়গা থেকে সরে আসতে হবে। ভবিষ্যতে গণমাধ্যমে যাতে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হস্তক্ষেপ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণমাধ্যম চাই’ এর ব্যানারে ‘গণমাধ্যম সংস্কার প্রস্তাব: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, গণমাধ্যমের সংস্কার আমরা করতে যাচ্ছি কারণ গণমাধ্যমকে গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকার ব্যবহার করেছে। আইসিটি নামে যেটা ছিল সেটা ন্যায়বিচার ছিল না। সেটা ভয়াবহ অন্যায় বিচার ছিল।

আমাদের দেশে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট খুবই জরুরি মন্তব্য করে শফিকুল আলম বলেন, এ বিষয়ে সব সাংবাদিকদের জোরালভাবে কথা বলতে হবে। আপনি দুই মাস খেটে একটা নিউজ করলেন, সেটা অন্য কোনো নিউজ পোর্টাল এক সেকেন্ডে কপি করে ফেলল। আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর একটা ছবি তুললেন, সেটা একটা বড় পত্রিকায় আপনার অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করে ফেলল। আপনাকে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট দিতে হবে। কারণ এটি আপনার আয়ের উৎস।

তিনি আরও বলেন, যারা চুরি করে তাদের বন্ধ করে দেওয়া উচিত। প্রেস কাউন্সিল অনেক কথা বলে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অনেক কথা বলে, নোয়াব অনেক কথা বলে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো উচিত যারা এরকম চুরি করছে, তাদের বন্ধ করে দেওয়া। 

আলোচনা সভা থেকে ১৩টি প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে— গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, গণমাধ্যমে নৈতিকতা ও পেশাদারত্ব প্রতিষ্ঠা, সরকারি নিয়ন্ত্রণ রোধে স্বতন্ত্র গণমাধ্যম কমিশন গঠন, মালিকানা ও অর্থায়নের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, সাংবাদিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও চাকরির নিরাপত্তা, বেতন কাঠামোর সংস্কার, সাইবার নিরাপত্তা আইনের সংস্কার, সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন, বাজেটে গণমাধ্যমের জন্য বরাদ্দ রাখা, গণমাধ্যম নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজিকরণ, আঞ্চলিক ও বিকল্প গণমাধ্যমের উন্নয়ন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণ এবং জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন- ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই এর মুখপাত্র প্লাবন তারিক, আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন শিশির, সাইবার অ্যাক্টিভিস্ট আব্বাস উদ্দিন নয়ন, আইনজীবী মোল্লা ফারুক এহসান এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রভাষক মাহবুব আলম প্রমুখ।

এমএ/

গাজীপুরে হামলাকারীদের অনেকেই আটক হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ পিএম
গাজীপুরে হামলাকারীদের অনেকেই আটক হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত অনেকেই আটক হয়েছে এবং বাকিদেরও গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়িতে মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, যারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ তাদেরই গ্রেপ্তার করা হবে। 

যতদিন পর্যন্ত দেশ থেকে ডেভিল শেষ না হবে, ততদিন এই অপারেশন চলবে বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

সুমন/

সাবেক সিইসি ও বিচারপতি আবদুর রউফ আর নেই

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪০ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৫ এএম
সাবেক সিইসি ও বিচারপতি আবদুর রউফ আর নেই
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিচারপতি আব্দুর রউফ। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিচারপতি আব্দুর রউফ (৯২) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ইনসাফ বারাকা কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

তার একান্ত সহকারী তাওহিদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফের বাবা বিচারপতি আব্দুর রউফ দুই মাস যাবত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। 

পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো তিন সদস্যের সিইসি পায় বাংলাদেশ। বিচারপতি সুলতান হোসেন খান সরে যাওয়ার পরদিন সিইসি হিসেবে যোগ দেন বিচারপতি মো. আব্দুর রউফ।

মেহেদী/

চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতীকী গায়েবানা জানাজা

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৯ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতীকী গায়েবানা জানাজা
চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রতীকী গায়েবানা জানাজা ও বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর গায়েবানা জানাজা পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এর পর তার প্রতীকী কফিন নিয়ে শিক্ষার্থীরা টানাহেঁচড়া শুরু করেন। কেউ কেউ তাতে কিল-ঘুষি ও জুতা দিয়ে মারতে থাকেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থী ও ছাত্র-জনতার একটি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নানা ঠাট্টা, হাসি, মশকরা করতে থাকেন।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীদের একজন রায়হান বলেন, ‘যে জোরে কথা বলতে পারেন না, যখন বিভিন্ন দায় নিয়ে এবং ভবন ঘেরাও নিয়ে তাকে যখন প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি মেয়েদের মতো উত্তর দেন যে, বিচারিক কাজ চলমান। আমরা এই নির্লজ্জ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বেহায়াপনার জন্য তার গায়েবানা জানাজা আদায় করেছি।’

শিক্ষার্থীরা এ সময় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে তারা গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। সারা দেশে আওয়ামী লীগের যারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতীকী জানাজায় ইমামতি করা মাদ্রাসা শিক্ষক ওসমান গণি বলেন, ‘আমি আন্দোলনে গুলি খেয়েছি। অনেক ছাত্র আহত ও শহিদ হয়েছেন। এত এত রক্ত ঝরেছে। এখন আবারও আওয়ামী লীগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। কোনোভাবেই এটা বরদাশত করা হবে না। আমরা প্রয়োজনে আবার মাঠে নামব, আন্দোলন করব, গুলি খাব এবং শহিদ হব। কিন্তু আর কোনো ফ্যাসিবাদকে ফিরে আসতে দেওয়া হবে না।’

এ সময় অনেককে বিভিন্ন হাসির অভিনয় করতে দেখা যায়। একদল শিক্ষার্থী গোল হয়ে দাঁড়ান আর মাঝখানে একজন মাইকে উচ্চস্বরে বলেন, ‘আল্লাহ... তোমার কাছে বিচার দিলাম। আমাদের যে ভাইয়েরা শহিদ হয়েছেন তাদের বিচার করার তৌফিক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দাও..., এই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে যারা বেইমানী করছে, তাদেরকে তুমি তুইলা নাও..., যারা আমাদের ভাইদের খুনিদের সঙ্গে আপস করতেছে, তাদেরকেও তুমি তুইলা নাও.... ইত্যাদি।’ 

এ সময় অন্যরা তার সঙ্গে সুর মেলান। একই সঙ্গে তারা উল্লাস ও কান্নার অভিনয় করেন। 

এর আগে নগরের জামালখান, চেরাগী পাহাড় ও আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। তারা আওয়ামী লীগের মাথাচাড়া দেওয়ার জন্য সরকারের নীরবতাকে দায়ী করেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহম্মেদ বলেন, ‘এই যে সারা দেশে আওয়ামী লীগ দৃষ্টতা দেখাচ্ছে, সেসব হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার কারণে। এই সরকারের আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাদের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা বোঝাতে চাচ্ছি সরকার ব্যর্থতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাদেরকে এখনই পুরো উদ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং শক্ত হাতে এসব মোকাবিলা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছয় মাসেও সরকার কিছু করতে পারেনি। দৃশ্যমান কোনো বিচারিক অগ্রগতি নেই। কেন আমরা জীবন দিলাম। কেন স্বৈরাচার বিদায় করলাম। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গুণ্ডারা এখন রাস্তায় নামে আর পুলিশ অথর্বের ভূমিকায় আছে। কোনো কাজ করতেছে না।’

এ সময় সমাবেশে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জীবিত অবস্থায় জিন্দা লাশ। সে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বিচারকাজ করার চিন্তা-ভাবনা করতেছে। কিন্তু সে পারতেছে না। সে ব্যর্থ, আমরা তার পদত্যাগ চাই।’

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘যখন সাখাওয়াত আওয়ামী লীগের পক্ষে বক্তব্য দেয় তখন তাকে বাদ দিয়ে জাহাঙ্গীরকে স্বরাস্ট্র উপদেষ্টা করা হয়। কিন্তু আমরা শুনেছি সে একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল, অথচ কথা শুনলে মনে হয় সে একজন হাবিলদার বা  কনস্টেবল। সে জোরে কথা বলতে পারে না।’

এ সময় সমন্বয়ক রিদোয়ান সিদ্দিকী, তানভীর শরীফ, আরিফ মঈনুদ্দিন, আশরিফা আক্তার মুনীরা, সাদিয়া আফরিন, জোবায়েরুল মানিক, নাছির উদ্দিন, রাফহান রাফি, নাঈম ও খলিলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সুমন/

অপারেশন ডেভিল হান্ট: গাজীপুরে আটক ৮২

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৭ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫০ এএম
অপারেশন ডেভিল হান্ট: গাজীপুরে আটক ৮২
ছবি : খবরের কাগজ

গাজীপুরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ মোট ৮২ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলার পাঁচ থানায় ৪০ জন ও মহানগরের আট থানায় ৪২ জন।

আটকদের সবাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাড়ে ৯টায় গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক এই তথ্য জানান।

জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় এখনও অভিযান চলমান রয়েছে।

তিনি জানান, গতকাল শনিবার থেকে শুরু হওয়া অপারেশন ডেভিল হান্টে এখন পর্যন্ত (সকাল ৯টা) ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকরা বিভিন্ন ভাবে ফ্যাসিস্ট সরকারের লোকজন।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাতভর অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করেছে।

গাজীপুর মহানগরের আটটি থানায় মোট ৪২ জনকে আটক করে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এর মধ্যে মহানগরের পূবাইল থানায় দুইজন, মেট্রো সদর থানায় ১৬ জন, বাসন থানায় সাতজন, টঙ্গী পূর্ব থানায় সাতজন, গাছা থানায় পাঁচজন, কোনাবাড়ি থানায় দুইজন ও কাশিমপুর থানায় তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশন মো. জাহিদুল হাসান জানান, গাজীপুর মহানগর বিভিন্ন থানা এলাকায় গত দুই দিন যাবৎ অভিযান পরিচালনা করছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। অভিযান চলমান রয়েছে।

পলাশ প্রধান/অমিয়/

বঙ্গবন্ধুর নাম ফেলে বিএসএমএমইউতে নতুন ব্যানার

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৩ এএম
বঙ্গবন্ধুর নাম ফেলে বিএসএমএমইউতে নতুন ব্যানার
ছবি: সংগৃহীত

এবার পাল্টে গেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নাম। এর নতুন নাম দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির দেয়ালে এই নামে ব্যানার দেখা যায়।

গত বুধবার রাত ১২টার দিকে বিএসএমএমইউর ‘সি’ ব্লক ভবনে টাঙানো সাইনবোর্ড খুলে ফেলা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একাধিক স্থান থেকে খুলে ফেলা হয় বঙ্গবন্ধুর নামসংবলিত সাইনবোর্ড।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বিএসএমএমইউয়ে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নতুন নামের এই ব্যানার টাঙিয়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, নাম পরিবর্তন নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আগামী দুই থেকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে এ নিয়ে দাপ্তরিক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘অনেক নাম আমাদের প্রস্তাবে রয়েছে। ছাত্রদের দেওয়া নামের সঙ্গে আমাদের দ্বিমত নেই। তবে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দ্রুত নতুন প্রজ্ঞাপন আসবে।’
অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। ওই ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের নামে থাকা প্রতিষ্ঠান ও হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও বদলে গেল।