ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১০ স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে আগের নামকরণ করার সুপারিশ করেছে পরিচালনা কমিটি। কমিটির চতুর্থ করপোরেশন সভায় এই সুপারিশ করা হয়।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া কয়েকটি স্থাপনা/প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট স্থানের নামে নামকরণের সুপারিশ করা হয়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তারা এই স্থাপনাগুলোর নাম পরিবর্তন করে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের নামে নামকরণ করে। ১০টি স্থাপনার মধ্যে রয়েছে তিনটি সড়ক, চারটি পার্ক, একটি সেতু ও দুইটি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র।
‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি সরণির নাম পরিবর্তন করে পূর্বের নাম ‘ইনার রিং সড়ক’, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সরণির নাম পরিবর্তন করে পূর্বের ‘ঝাউচর প্রধান সড়ক’, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম সরণির নাম পরিবর্তন করে পূর্বের ‘কামরাঙ্গীরচর লোহারপুল- বুড়িগঙ্গা সড়ক’, কলাবাগানের ‘শহিদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক’ এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের ‘কলাবাগান শিশু পার্ক’, যাত্রাবাড়ির ‘শহিদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক’ এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের ‘যাত্রাবাড়ী শিশু পার্ক’, ‘মেয়র শেখ তাপস সেতুর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের ‘কামরাঙ্গীরচর ব্রিজ’, ‘হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী শিশু পার্ক’ এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের ‘শহিদ জিয়া শিশু পার্ক’, ‘মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’, এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের ‘গেন্ডারিয়া সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’, ‘মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পার্ক’, এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের ‘সরাফতগঞ্জ পার্ক’, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’ এর নাম পরিবর্তন করে পূর্বের ‘কামরাঙ্গীরচর সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’ করার সুপারিশ করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রাসেল রহমান জানান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারে সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের নামে নামকরণকৃত এসব স্থাপনার আগের নামে নামকরণ করার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া নাগরিকদের চলাচল নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে পবিত্র রমজান মাসের আগে বিভিন্ন রাস্তায় সৃষ্ট পিটহোলগুলো মেরামতের নির্দেশনা দেওয়া করা হয়।
ডিএসসিসি প্রশাসক মো: শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচালনা কমিটির ২৫ জন সদস্য সভায় অংশ নেন।
এছাড়া সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁঞাসহ সকল বিভাগীয় প্রধান এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন জনপ্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে। সীমিত সম্পদ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে ব্যবহারের মাধ্যমে এই জনপ্রত্যাশা পূরণে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আরিফ সাওন/এমএ/