ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

ইসির ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৫ এএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৪২ পিএম
ইসির ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু
ছবি: সংগৃহীত

এক দশমিক ৫২ শতাংশ নাগরিককে ভোটার তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) থেকে সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন চার নির্বাচন কমিশনার, এনআইডি মহাপরিচালকসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ইসির নির্বাচন প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হলো ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ। ইতোমধ্যে এই কাজ পুরোদমে শুরু করেছে সংস্থাটি। টানা দুই সপ্তাহ (৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) চলবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের এই কার্যক্রম। এবার যাদের জন্ম ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে তাদের তথ্যসংগ্রহ করা হবে। নিবন্ধন কেন্দ্রেই নাগরিকদের বায়োমেট্রিক গ্রহণের কাজ সম্পন্ন করা হবে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন গ্রহণ, মৃত ভোটারদের নাম কর্তনের তথ্যাদি এবং নতুন ভোটারের তথ্য সফটওয়ারের সাহায্যে ডাটাএন্ট্রি ও ডাটা আপলোড করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত।

আইন অনুযায়ী, এসব নতুন ভোটারের তথ্য আগামী ২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি তালিকায় যুক্ত হবে। এরপর দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আগামী বছরের ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবে ইসি। এর আগে গত ২ জানুয়ারি চলতি বছরের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। তাতে যুক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ নতুন ভোটার। সবমিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছেন ওই তালিকায় তাদের যুক্ত করা হয়েছে।

এই কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন  জানিয়েছেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম তারা শেষ করতে চান। পুরো কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত করা হয়েছে প্রশিক্ষিত ৬৫ হাজার লোকবল। তারা ১ দশমিক ৫২ শতাংশ নাগরিককে ভোটার তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করবেন।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, ৪০ থেকে ৪৫ লাখ ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তালিকায় দ্বৈত ভোটার যেন না থাকে, মৃত ভোটার যেন বাদ যায় এবং নতুনদের অন্তর্ভুক্ত করে নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্যই বাড়ি বাড়ি তথ্য হালনাগাদ করতে ইসির এই উদ্যোগ।

হালনাগাদ ভোটার তালিকা নতুন ভোটার হতে আগ্রহীদের যেসব কাগজপত্র তথ্য সংগ্রহকারীদের দিতে হবে- ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি; জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি; নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি (বাবা-মা, ভাই-বোন প্রভৃতি); এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি)।

ভোটার হওয়ার সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি- নিজের নাম, বাবা-মা এর নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সাথে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে; জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে; স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে; কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দু'বার ভোটার হওয়া যাবে না। এ বিষয়ে গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানিয়েছে, একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত তিন বছর পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। সবশেষ ২০২২ সালে নেওয়া ৩ বছরের তথ্যের শেষ ধাপের হালনাগাদ কার্যক্রম চলে গেলো ডিসেম্বর পর্যন্ত। সর্বশেষ গত ২ জানুয়ারি চলতি বছরের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়। তাতে যুক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ নতুন ভোটার। সবমিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন।  ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এর আগে ভোটার তালিকা হালানাগাদ করা হয়েছে ছয় বার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল, ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২০২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।

এলিস/এমএ/

মাদ্রাসাশিক্ষায় সম্পৃক্তদের কর্মক্ষম করার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:০৫ পিএম
মাদ্রাসাশিক্ষায় সম্পৃক্তদের কর্মক্ষম করার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে মাদ্রাসাশিক্ষার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার। ছবি: সংগৃহীত

মাদ্রাসাশিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার।

বুধবার (১৯ মার্চ) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে মাদ্রাসাশিক্ষার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দায়িত্ব কীভাবে পালন করলে ছাত্রছাত্রীদের চাহিদানুযায়ী মাদ্রাসাশিক্ষাকে ঢেলে সাজানো যায়? তার জন্য রাষ্ট্র কী করতে পারে? এ ক্ষেত্রে নাগরিক সমাজের ভূমিকা কী? এসব নিয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে।’

সেমিনারে কারিগরি ও মাদ্রাসাশিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান নিজামী প্রমুখ।

ইউজিসিতে মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকের ওপর হামলাচেষ্টা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
ইউজিসিতে মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকের ওপর হামলাচেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

সংবাদপ্রকাশের জেরে মব সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) সাংবাদিকের ওপর হামলা চেষ্টা হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) ইউজিসি ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম শিহাব উদ্দীন। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি ক্যাম্পাসের সিনিয়র রিপোর্টার। অভিযুক্তরা হলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অফিসে দায়িত্ব পালন করা সিনিয়র সহকারী সচিব মোহা. মামুনুর রশিদ খান ও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অফিস সহায়ক খোকন খান।

ভুক্তভোগী জানান, ইউজিসি সচিব ড. ফখরুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীদের অবস্থান নেওয়ার খবর সংগ্রহ করতে বুধবার দুপুরে ইউজিসি কার্যালয়ে যান শিহাব। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইউজিসির অফিস সহায়ক খোকন খান তাকে জেরা করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে মব সৃষ্টি করে তার ওপর হামলার চেষ্টা চালান। এসময় কর্মকর্তা মামুনসহ ১০ থেকে ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে মামুনুর রশিদ খবরের কাগজকে বলেন, আমি হামলার চেষ্টা করিনি। তাকে তর্ক-বির্তক থেকে চেয়ারম্যানের রুমে নিয়ে যাই।

খোকন খান বলেন, আমাকে নিয়ে করা নিউজ নিয়ে জানতে চেয়েছি কে তথ্য দিয়েছে। তখন একটু উত্তেজনায় কথা হয়েছে।

কবির/এমএ/

ফিলিস্তিনিদের ওপর ফের ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:১০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:১০ পিএম
ফিলিস্তিনিদের ওপর ফের ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর পুনরায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বুধবার (১৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশু ও নারীসহ নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে এবং এই অঞ্চলে ইতোমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। সহিংসতার এই নতুন চক্র আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি গুরুতর অবজ্ঞা। বাংলাদেশ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় বিমান হামলার নিন্দা জানাচ্ছে, যা মানবিক দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ করে সর্বাধিক সংযম প্রদর্শন করার এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তার বাধ্যবাধকতাগুলোকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘকে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে, বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষা করতে এবং গাজার অবরুদ্ধ জনগণের কাছে মানবিক সহায়তা নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছে দিতে জরুরি ও সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে। ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার বিষয়ে নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকারের প্রতি অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে, যার মধ্যে রয়েছে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্ত বরাবর একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে একটি ব্যাপক, ন্যায়সংগত এবং স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে সংলাপ পুনরায় শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেয়, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য একটি ভিত্তিপ্রস্তর। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর অব্যাহতভাবে আক্রমণ, সহিংসতা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতির পথ এবং শান্তিপূর্ণ উপায়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক আইনের নীতিমালা, জাতিসংঘের প্রস্তাবনা এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য একটি টেকসই সমাধান অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্রে গোলাপের ৯ বাড়ি-ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে গোলাপের ৯ বাড়ি-ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক
ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান মিয়ার (আবদুস সোবহান গোলাপ) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া তার নামে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৯টি বাড়ি ও ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক, যার বাজারমূল্য অন্তত ৩২ কোটি টাকা। দেশে থেকে টাকা পাচার করে তিনি বিদেশে ওই সব সম্পদ কিনেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া ওরফে গোলাপ ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তার নিজের ৫১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯৭ কোটি ৬৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। তার নামে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্সে ৯টি ফ্ল্যাট ও বাড়ি রয়েছে। বিদেশে থাকা ফ্ল্যাট ও বাড়ির বাজারমূল্য অন্তত ৩২ কোটি টাকা। তিনি অবৈধ উপায়ে অর্জিত এসব অর্থসম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন; যা ২০০৪ সালের ৫(২) ধারায় ফৌজদারি অসদাচরণ এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অর্থ পাচারসংক্রান্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার (১৯ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন। নির্বাচনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বে প্রশাসক নিয়োগের প্রশ্ন অবান্তর।

জনগণের প্রাত্যহিক নানা সেবার প্রয়োজনে স্থানীয় সরকারের ওপর নির্ভরশীল। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি ও পৌর ওয়ার্ডগুলোতে জনপ্রতিনিধি না থাকায় এসব সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাই জনগণের প্রাত্যহিক দুর্ভোগ নিরসনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে বারবার বলছি। তবে এ বিষয়ে সরকারের চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধি দিয়ে স্থানীয় সরকার পরিচালনাই সর্বোত্তম।’ 

মাহফুজ