ঢাকা ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এমবিবিএসে ১৯৩ কোটাধারীর ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম
এমবিবিএসে ১৯৩ কোটাধারীর ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

৪০ থেকে ৭৩-এর মধ্যে নম্বর পেয়ে মেডিকেলে ভর্তির জন্য বিবেচিত হয়েছেন ১৯৩ জন। যারা মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা কোটায় আবেদন করেছিলেন। তারা মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তান নাকি নাতি-নাতনি তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। এ বিষয়টি নিশ্চিত হতে আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে। সেই পর্যন্ত স্থগিত থাকবে এই ১৯৩ জনের ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ সালের এমবিবিএস ভর্তি কার্যক্রমে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিদ্যমান বিধি অনুসারে শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য হবে, তাদের নাতি- নাতনি বা অন্য কারও জন্য প্রযোজ্য হবে না। 

এই কোটার অধীনে সংরক্ষিত ২৬৯টি আসনের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জন প্রার্থী পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট ৭৬টি আসন ইতোমধ্যেই মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হয়েছে। এই কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯৩ জনের বাবা/মায়ের মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র, নিজের জন্মনিবন্ধন সনদসহ যাবতীয় প্রমাণাদি ও একাডেমিক সার্টিফিকেট নিয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরাতন ভবনের দোতালায় অবস্থিত মেডিকেল এডুকেশন শাখায় উপস্থিত হয়ে যাচাই-বাছাই করাতে হবে। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল বা অসত্য তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর ভর্তি বাতিল হবে এবং মেধা তালিকা থেকে সেই শূন্য আসন পূর্ণ করা হবে। 

এই যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই ১৯৩ জনের ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। অবশিষ্টদের ভর্তিসহ মেডিকেল কলেজের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।

আরিফ সাওন/সালমান/ 

সারা দেশে ৭ দিনে গ্রেপ্তার ২৭১

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
আপডেট: ১২ জুন ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
সারা দেশে ৭ দিনে গ্রেপ্তার ২৭১
ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে গত ৭ দিনে অভিযান চালিয়ে ২৭১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। 

৫ জুন থেকে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) পর্যন্ত সেনা ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযানে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, চোরাকারবারি, কিশোর গ্যাং সদস্য, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ মোট ২৭১ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১৫টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৯১টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, ২১ রাউন্ড খালি কার্তুজ, ৩৮টি ককটেল বোমা, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আইএসপিআর আরও জানায়, সেনাবাহিনী পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসা অস্থায়ী পশুর হাটে সার্বক্ষণিক নজরদারি, নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি ঈদ যাত্রাকে সহজ করতে নির্বিঘ্নে সড়কে যান চলাচল নিশ্চিতকরণ ও টিকিট কালোবাজারি রোধকল্পে সেনাবাহিনী বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।

কারও নিন্দা করার আগে একটু জেনে নিন: আসিফ নজরুল

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৯:৫০ পিএম
কারও নিন্দা করার আগে একটু জেনে নিন: আসিফ নজরুল
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল কারও নিন্দা করার আগে একটু জেনে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। 

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘কয়েক দিন আগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞায়নবিষয়ক ভুল সংবাদের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এই ঝড়ের অন্যতম শিকার হয় আমার পরিবারের সদস্যরা। দু-একজন তাদের ধিক্কার দিতে থাকে, কীভাবে এই আইন করলাম আমি! তারা বলে: এটা তো মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় করেছে! কিন্তু সমালোচকরা নাছোড়বান্দা! না, আইনটিতে তো লেখা আছে আইন মন্ত্রণালয়ের নাম।’

বুধবার(১১ জুন) রাতে দেওয়া এই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘আমি জানি, এরকম বহু শিক্ষিত মানুষ আছে সমাজে। তাদের কাছে সবিনয়ে বলি, অন্য যেকোনো মন্ত্রণালয় যে অধ্যাদেশই করুক না কেন, তা জারি করতে হয় আইন মন্ত্রণালয়কে। আমাদের রুলস অব বিজনেস অনুসারে এটাই বিধান। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে এটাই হয়। বাংলাদেশে এনবিআর নিয়ে যে আইনটা (অধ্যাদেশ) হয়েছে, তা করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হওয়ার পর এটা জারি করতে হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়কে। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা নিয়ে যে আইন, তাও করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু এটা জারি করতে হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়কে। 

অধ্যাদেশ আকারে যত আইন অতীতে হয়েছে সেগুলো আইন মন্ত্রণালয় জারি করেছে। ভবিষ্যতে যেসব অধ্যাদেশ হবে সেগুলোও আইন মন্ত্রণালয়কে জারি করতে হবে। এ জন্য গেজেটের প্রথম পাতায় আইন মন্ত্রণালয়ের নামই থাকবে। কিন্তু তার মানে এটি নয়, যে আইন মন্ত্রণালয় আইনগুলো করেছে বা এটি আইনগুলোর প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়।

আইন মন্ত্রণালয় নিজস্ব উদ্যোগে আইন করেছে কেবল এ মন্ত্রণালয়ের কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়ে। যেমন, দেওয়ানি কার্যবিধির সংশোধনী আইন বা উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগসংক্রান্ত আইনটি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। কিন্তু অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ের কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়ে আইন প্রণয়নের কোনো ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয়ের নেই। আছে শুধু জারি করার দায়িত্ব। এটি স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা। 
২. 
আইন তো তবু কিছুটা খটমটে বিষয়। কিন্তু সাদামাটা, সহজবোধ্য যেকোনো বিষয়েও আমাকে নিন্দা করার প্রবণতা আছে সমাজের কিছু মানুষের মধ্যে। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের যেকোনো কাজের সমালোচনা যদি আমাকে করা হয়, তাহলে যেকোনো ভালো কাজের প্রশংসাও আমাকে কেন করা হয় না? 

সাবেক রাষ্ট্রপতি কীভাবে বিদেশে গেলেন এই দায় যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে না দিয়ে আমাকে দেওয়া হয়, তাহলে দ্রব্যমূল্য যে স্থির রয়েছে এই প্রশংসাও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না দিয়ে আমাকে দিতে হবে। কিন্তু এর কোনোটিই আসলে করা ঠিক নয়। 
আমার কাজের জন্য নিন্দা/প্রশংসা আমাকে করবেন, অন্যের কাজের জন্য অন্যকে। যেকোনো কাজের সামগ্রিক দায়-দায়িত্ব আমাদের গোটা সরকারের। কিন্তু যদি নির্দিষ্টভাবে একজন উপদেষ্টাকে দায়ী করা হয়, তাহলে সেটি শুধু তার মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত বিষয়ে করা উচিত। 
৩.
যারা নিন্দা করেন, কুৎসা রটান, এর মধ্যে হয়তো কোনো আনন্দ খুঁজে পান। কিন্তু এটা অন্য কাউকে এমন কষ্ট দিতে পারে, যা আপনি নিজে কখনো বহন করতে চাইবেন না। এটি মনে রাখা ভালো। 

আমি জানি ‘অপরের মুখ ম্লান করে দেওয়া ছাড়া প্রিয় সাধ নেই’- এমন মানুষ আছে সমাজে। যারা এমন না, তাদের কাছে অনুরোধ, কারও নিন্দা করার আগে একটু জেনে নিন।

আল্লাহ আছেন, আমাদের সবাইকে একদিন জবাব দিতে হবে।”
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘নিন্দা’ শিরোনামে এই পোস্ট দেন। 

ভারতে বিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানির ঘটনায় তারেক রহমানের শোক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম
ভারতে বিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানির ঘটনায় তারেক রহমানের শোক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গুজরাট রাজ্যের রাজধানী আহমেদাবাদে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানির ঘটনায় শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের ২৪২ জন আরোহী নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করা একটি বিমান ভারতের আকাশে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক।’

তিনি বলেন, ‘যারা এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তারেক রহমান বলেন, ‘এই শোকের সময়ে আমরা সবাই যেন তাদের পাশে দাঁড়াই এবং তাদের প্রতি আমাদের আন্তরিক প্রার্থনা ও সহানুভূতি নিবেদন করি।’

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার ২৪০ জনেরও বেশি আরোহী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের সব আরোহী নিহত হন। সূত্র: বাসস

সুমন/

সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে রাজা চার্লসকে অবহিত করলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
আপডেট: ১২ জুন ২০২৫, ০৯:৩২ পিএম
সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে রাজা চার্লসকে অবহিত করলেন প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্য সফররত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার (১২ জুন) লন্ডনে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন। সেখানে তাঁরা বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ সকাল ১১:২০ মিনিটে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়, যা ছিল একেবারে ব্যক্তিগত।’

বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা তার সরকার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে রাজা চার্লসকে অবহিত করেন।

তিনি আরও জানান, প্রায় ৩০ মিনিটের এ বৈঠক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। যেহেতু রাজা চার্লস বহুদিন ধরে অধ্যাপক ইউনূসকে চেনেন, সেহেতু নানা বিষয় নিয়ে তাদের আলোচনা হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, ‘এই পুরো সফরের মধ্যে আমি বলব, এটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।’

একান্ত সাক্ষাতের পর, রাজা ও রাণীর স্বাক্ষরযুক্ত একটি ছবি উপহার হিসেবে অধ্যাপক ইউনূসকে দেওয়া হয়, যা প্রধান উপদেষ্টার জন্য একটি বড় সম্মানের ছিল বলে জানান প্রেস সচিব।

বাকিংহাম প্যালেসে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের জন্য স্বাগত জানান রাজা চার্লস।

নিয়মিত কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সাক্ষাতের পাশাপাশি রাজা চার্লস এমন ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ দেন, যারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন- বিশেষ করে যারা রাজকীয় নিয়োগ পেয়ে থাকেন বা তাদের নামে প্রদত্ত পুরস্কার গ্রহণ করছেন।

ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করে বা ‘অডিয়েন্স’ দিয়ে রাজা চার্লস নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও তাদের কাজের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেন এবং তাদের সম্পর্কে আরও জানার পাশাপাশি রাজকীয় অভিজ্ঞতা উপভোগ করার সুযোগ করে দেন। ‘অডিয়েন্স’ মানে হলো রাজা ও কাউকে একান্তভাবে সাক্ষাৎ দেওয়া। সূত্র: বাসস

সুমন/

যান্ত্রিক ত্রুটিতে শাহজালালে ১৯ ঘণ্টা ফ্লাইট বিলম্ব

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
আপডেট: ১২ জুন ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম
যান্ত্রিক ত্রুটিতে শাহজালালে ১৯ ঘণ্টা ফ্লাইট বিলম্ব
ছবি: সংগৃহীত

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১৯ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে ব্যাংককগামী থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট (টিজি-৩৪০)।

বুধবার (১১ জুন) রাতে ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এটি বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকা ছাড়ে। ফলে দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরে বসে ভোগান্তিতে পড়েন ফ্লাইটের যাত্রীরা। এসব যাত্রীর মধ্যে ছিলেন রোগী ও তাদের স্বজন। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক রাগিব সামাদ খবরের কাগজকে জানান, বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করে।

এর আগে ফ্লাইটের যাত্রীরা জানান, ফ্লাইটটি বুধবার (১১ জুন) মধ্যরাত ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে উড্ডয়নের কথা ছিল। এ জন্য তারা রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে বিমানবন্দরে এসে উপস্থিত হন। এরপর ইমিগ্রেশন শেষ করে ফ্লাইটটিতে ওঠার আগে তারা জানতে পারেন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেটি আপাতত ছাড়ছে না। প্রায় ১৮-১৯ ঘণ্টা ধরে সবাই ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করেন। চিকিৎসার জন্য তাদের অনেকেই ব্যাংকক যাচ্ছিলেন। দীর্ঘ অপেক্ষা ও অনিশ্চয়তা তাদের মানসিক এবং শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে বলেও জানান তারা।