ছবি: সংগৃহীত
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তারুণ্যের শক্তিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে। যে তরুণরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে সেই তরুণদের প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ইনস্টিটিউটবাংলাদেশে (পিআইবি) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসবের সমাপনি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণ সমাজের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তরুণদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে তারুণ্যের উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবের আদলে তরুণদের জন্য ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ধরনের উৎসবের আয়োজন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে তরুণ প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, আগামী অন্তত দুই দশক তারা বাংলাদেশকে প্রভাবিত করবে। আগামীর বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে, তা অনেকটাই তরুণদের ওপর নির্ভর করবে। যে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দল তরুণদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করবে, তারাই সফলতা পাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশিশক্তিনির্ভর ছাত্ররাজনীতির অবসান হওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্রদের দেশের কল্যাণে ইতিবাচক রাজনীতি করতে হবে এবং দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীসরকার তরুণদের নানামুখী কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তরুণদেরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে। বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনেরসঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন এবং জনগণের বিপক্ষে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিরবক্তৃতা করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। আলোচনা পর্ব শেষে তারুণ্যের উৎসবের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য নাজমুল আমীনের লেখা ‘জুলাই ম্যাসাকার’ কবিতার আবৃত্তির ভিডিও প্রদর্শিত হয়। এরপর তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ দেখানো হয়।
তিথি/এমএ/