ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

পাকিস্তানি নম্বর থেকে বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম
পাকিস্তানি নম্বর থেকে বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি
ছবি: সংগৃহীত

‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের রোমফেরত একটি উড়োজাহাজে বোমা বা বিস্ফোরক দ্রব্য আছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণের পর এগুলো বিস্ফোরণ ঘটানো হবে।’ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কন্ট্রোল রুমে পাকিস্তানি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে এই মেসেজ দেওয়া হয়। তবে অবতরণের পর অভিযান চালিয়ে শঙ্কাজনক কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিস্ফোরক থাকার তথ্য প্রথম আসে এপিবিএনের কাছে। বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আমরা এ খবর পাই। সেখান থেকে অপারেশন কন্ট্রোল রুমে জানানো হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করি। আমি এয়ার চিফকে বিষয়টি জানানোর পর পরই সেখান থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছি। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিমানটিকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে আমরা যাত্রীদের কোনো প্রকার লাগেজ বা হ্যান্ডব্যাগ ছাড়াই বিমান থেকে নামিয়ে নিয়ে আসি। পরে তল্লাশি চালানোসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরে যখন আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি যে কিছুই নেই, তখন যাত্রীদের তাদের ব্যাগ ও লাগেজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক যাত্রী সহযোগিতা করেছেন। তাদের কোনো কিছু খোয়া যায়নি। খুব সুন্দরভাবে এই কার্যক্রম আমরা পরিচালনা করেছি।’

তিনি বলেন, এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সসহ বিমানবন্দরে কর্মরত অন্য সব সংস্থা অত্যন্ত আন্তরিকতা ও সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটিকে আমরা হুমকি বলছি না। আমাদের কাছে তথ্য এসেছিল। এপিবিএনের কন্ট্রোল রুমে পাকিস্তানি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে এই মেসেজ দেওয়া হয়। সম্ভাব্য লাগেজের ছবিও পাঠায় ওই নম্বর থেকে। আমাদের সঙ্গে খুদে বার্তায় কথা হয়, তবে কল দিলে অপর প্রান্ত থেকে কল রিসিভ করা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের তথ্য দিয়ে আমাদের একদিকে ব্যস্ত রেখে অন্যদিকে কেউ যেন কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে, সে কারণে বিমানবন্দরজুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি ছিল। এ সময় ইমিগ্রেশন-কাস্টম সবকিছুই সচল ছিল। বিমান ওঠানামাও স্বাভাবিক ছিল। আমরা আমাদের এই বিমানবন্দরকে নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিকিউরিটি প্রসিডিউর অনুযায়ী উড়োজাহাজটি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর পরই বিমানবন্দরে নিয়োজিত নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে ফ্লাইটটিকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে নেওয়া হয়। যাত্রীদের নিরাপদে নামানো হয় এবং সব যাত্রী ও ব্যাগেজসহ এয়ারক্রাফট তল্লাশি করা হয়। নিরাপত্তা তল্লাশিতে কোনো কিছু না পাওয়ায় ‘সিকিউরিটি থ্রেট ক্লিয়ার’ ঘোষণা করা হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। এরপর যথাযথ নিরাপত্তা তল্লাশি শেষে বেলা দেড়টার মধ্যে সব যাত্রী নিরাপদে বিমানবন্দর ছাড়েন। বিমানবন্দরে অবস্থানের সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে যাত্রীদের দুপুরের খাবারসহ সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার উদ্দেশে ইতালির রোম থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশি এক ফ্লাইটে বিস্ফোরক দ্রব্য আছে বলে বুধবার সকালে তথ্য আসে। পরে ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিমানবন্দরে কর্মরত নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তারা যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনেন। সেই সঙ্গে বিমানে তল্লাশি চালানো হয়। প্রায় ৬ ঘণ্টা এই অভিযান চললেও কিছু পাওয়া যায়নি।

অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৩৪৭

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫১ পিএম
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৩৪৭
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

অপারেশন ডেভিল হান্টে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক হাজার ৩৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, গত একদিনে অপারেশন ডেভিল হান্টে ৪৭৭ জন এবং অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্ট মিলে ৮৭০ জনসহ মোট ১ হাজার ৩৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ২০ রাউন্ড গুলি ও একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, তিনটি ছুরি, দুটি রামদা ও তিনটি হাতুড়ি জব্দ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গাজীপুরসহ সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন এই বিশেষ  অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে সরকার।

মেহেদী/

সংলাপের মাধ্যমে সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরু: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম
সংলাপের মাধ্যমে সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরু: প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

সংলাপের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরু হয়েছে, আর এই পথচলায় বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন আছে। আগামী ৬ মাস অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের চালানো নৃশংসতার তথ্যও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।

পরে প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি, তার সঙ্গে পুরো বিশ্ব এবং দেশের মানুষ আছেন। আজ একটি মহৎ উদ্যোগ শুরু হলো। আজকের দ্বিতীয় যাত্রার মধ্যদিয়ে আমরা কীরকম বাংলাদেশ চাই তা নির্ধারিত হবে।

প্রেস সচিব আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে প্রথম ইনিংস বা প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো।

এর আগে বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারে নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। 

এছাড়া বৈঠকে আরও যেসব রাজনৈতিক দলের নেতারা রয়েছেন- লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হালদার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণ ফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতারা।

গত বুধবার সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। যার সভাপতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।

এমএ/


 

বদলে গেল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৫ পিএম
বদলে গেল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম
ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম বদলে নতুন নামকরণ হয়েছে জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা। এই প্রথম কোনো জাতীয় পর্যায়ের স্টেডিয়ামের নাম বদল করল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে  এ তথ্য জানানো হয়েছে।

১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্টেডিয়াম দীর্ঘদিন ঢাকা স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার পর ১৯৯৮ সালে স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামে হয়েছে ক্রিকেট-ফুটবলসহ রাষ্ট্রীয় অনেক ক্রীড়া অনুষ্ঠানও। এখানেই হয়েছিল ২০০০ সালের বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ক্রিকেট।

এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পর্যায়ের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ১৫০টি স্টেডিয়ামের নাম বদল করে স্ব স্ব উপজেলার নামে নামকরণ করা হয়েছে।

মেহেদী/

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ২৬ দল ও জোটের শতাধিক নেতার অংশগ্রহণ

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩১ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ২৬ দল ও জোটের শতাধিক নেতার অংশগ্রহণ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে ২৬ দল ও জোটের শতাধিক নেতা অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বেইলী রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হওয়া এ বৈঠকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

এ বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক দিন’ আখ্যায়িত করে শফিকুল আলম বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শুরু হয়েছে। এটা প্রস্তুতিমূলক সভা। আমরা যতগুলো দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি সবাই এসেছেন।

বৈঠকে আমন্ত্রিত দল ও জোটের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক কমিটি, এলডিপি, এবি পার্টি, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ডেমোক্রেটিক লেফট ইউনিটি, লেবার পার্টি, বাংলাদেশে জাসদ, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-(জেএসডি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, গণফোরাম, আমজনতার দল, লেফট ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বৈঠকে অংশ নেন।

শনিবার বিকাল ৩টায় শুরু হওয়া এ বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য দেন। এর আগে বৈঠকে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা ২টার পর থেকে সভায় আসতে শুরু করেন।

গত বুধবার সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। যার সভাপতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বৈঠকে কমিশন আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো বিবেচনা করবে। এছাড়া কমিশন জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

 

জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচনের তারিখ: প্রেস সচিব

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচনের তারিখ: প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে তা নির্ভর করছে ‘জুলাই চার্টারের’ ওপর  বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করবে আমাদের নির্বাচনটা কবে হবে।’

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরুর আগে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

‘জুলাই চার্টার’ কী, ব্যাখ্যা করে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ছয়টি সংস্কার কমিশন যে রিপোর্টগুলো দিয়েছে; সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খুভাবে পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে এই কমিশনের আলাপ হবে। আলাপের পর সব পলিটিক্যাল পার্টির ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা সবাই অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলো সাইন বা সই করবে। সেই সাইনড ডকুমেন্টটা হবে জুলাই চাটার্ড।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে পুনর্গঠন এবং তার পরে আমরা যে রাজনৈতিক সমাধানে যাচ্ছি; কীভাবে আমাদের ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনটা হবে, সেটার জন্যই আজকের রাজনৈতিক সংলাপের সূচনা বলেও জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে, মোস্ট লাইকলি ইলেকশনটা হবে ডিসেম্বরের মধ্যে। সে ক্ষেত্রে আমরা হয়তো কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারব। আর পরে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে তারা বাকিগুলো বাস্তবায়ন করবে।

এমএ/