ঢাকা ২৯ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা আজ পঞ্চম

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৭ এএম
আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৫ এএম
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা আজ পঞ্চম
ছবি: খবরের কাগজ

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) স্কোর অনুযায়ী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ পঞ্চম স্থানে রয়েছে ঢাকা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ঢাকার বাতাসে একিউআই স্কোর ছিল ২১৭। তাই ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর।

একই সময়ে চীনের উহান ২৭৯ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, চেংদু ২৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং ভারতের দিল্লি ২২৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

যখন কণাদূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘসময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

একিউআই মান ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

সুমন/

ইউনানি চিকিৎসার উন্নয়নে সরকারকে আরও উদ্যোগ নিতে হবে: উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যাল ভিসি

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
ইউনানি চিকিৎসার উন্নয়নে সরকারকে আরও উদ্যোগ নিতে হবে: উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যাল ভিসি
রাজধানীর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে ‘বিশ্ব ইউনানি দিবস-২০২৫’ উদযাপন ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

ইউনানি হলো বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর মাধ্যমে প্রতিবছর বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশেরে কোটি মানুষ বিভিন্ন রোগ থেকে শেফা লাভ করছে। এ চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারকে আরও উদ্যোগ নিতে হবে। উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম মঙ্গলবার বাংলাদেশে ‘বিশ্ব ইউনানি দিবস-২০২৫’ উদযাপন এবং প্রথমবারের মতো ১১ জন চিকিৎসককে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ‘বিশ্ব ইউনানি দিবস-২০২৫’ উদযাপন এবং সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রাচীন ও চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থায় অগ্রগামী জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘প্রাচি’ এর আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাচি’র স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শফিকুর রহমান এবং  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা. মুনাওয়ার হুসাইন কাজমী, একাডেমিক চেয়ার (গভ. অব ইন্ডিয়া স্পন্সরড), হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। আরও উপস্থিত ছিলেন- ডাক্তার নাদিরা এমএইচ কাজমী, বিইউএমএস (মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়), ইন্ডিয়া। 

উপস্থিত ছিলেন প্রাচি’র সভাপতি হাকীম ও কবিরাজ মোাম্মদ আব্দুর রহমান, প্রাচি’র সাধারণ সম্পাদক হাকীম মো. কামরুজ্জামান, প্রাচি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মুখপাত্র কবিরাজ মোখলেসুর রহমান, প্রাচি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাকীম মোহাম্মদ শামীম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ৯ জন দেশবরেণ্য ইউনানি চিকিৎসক ও ২ জন আয়ুষ (ভারত) এর প্রতিনিধি ইউনানি চিকিৎসককে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

চিকিৎসকরা হলেন- ১. শেফাউল মুলক হাকীম হাবিবুর রহমান-(ইউনানি চিকিৎসা বিজ্ঞানের সম্প্রসারণে বিশেষ অবদান রাখায় মরণোত্তর সম্মাননা)। ২. রঈসুল-আতিব্বা হাকীম মাওঃ মোঃ সিরাজুদ্দিন-(ইউনানি চিকিৎসা সেবা দানে বিশেষ অবদান রাখায় মরণোত্তর সম্মাননা)। ৩. শাইখুল-আতিব্বা হাকীম হাফেজ আজীজুল ইসলাম-(ইউনানি চিকিৎসা বিজ্ঞানে মৌলিক গ্রন্থ রচনা ও সম্প্রসারণে অবদান রাখায় মরণোত্তর সম্মাননা)। ৪. হাকীম সৈয়দ আজীজুল হক-(ইউনানি চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষকতায় বিশেষ অবদান রাখায় মরণোত্তর সম্মাননা)। ৫. হাকীম মোহাম্মদ ইব্রাহীম-(ইউনানি চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ উদ্ভাবনে বিশেষ অবদান রাখায় মরণোত্তর সম্মাননা)। ৬. বাবায়ে তিব্ব হাকীম সাইয়্যেদ আহছান উল্লাহ-(ইউনানি চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষকতা ও লেখক হিসেবে অবদান রাখায় মরণোত্তর সম্মাননা)। ৭. হাকীম ফয়জুল ইসলাম নাবাতাতী-(ইউনানি চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষকতায় বিশেষ অবদান রাখায় মরণোত্তর সম্মাননা)। ৮. হাকীম এম এ করিম সিদ্দিকী-(ইউনানি চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষকতায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা)। ৯. হাকীম এম এ কালাম পাটোয়ারি-(ইউনানি চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থ রচনায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা)। ১০. প্রফেসর ডা. মুনাওয়ার হুসাইন কাজমী- (ইউনানি চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিক্ষকতা ও রিসার্চ এ বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা)। ১১. ডা. নাদিরা এমএইচ কাজমী- (ইউনানি চিকিৎসা বিজ্ঞান ইন্টিগ্রেটিভ হেল্থ সলুসান এর জন্য সম্মাননা)।

বিজ্ঞপ্তি/এমএ

কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা প্রাথমিকের নিয়োগ বাতিল হওয়া শিক্ষকদের

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৫ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা প্রাথমিকের নিয়োগ বাতিল হওয়া শিক্ষকদের
জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রাথমিকের নিয়োগ বাতিল হওয়া শিক্ষকদের অবস্থান। ছবি: খবরের কাগজ

প্রাথমিকের নিয়োগ বাতিল হওয়া সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কথা জানান আন্দোলনকারীরা। 

এর আগে বিকেলে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোহাম্মদ মাসুদ আলমের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তারা। আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় তারা তাদের কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন।

আন্দোলনকারী জান্নাতুল নাঈম বলেন, ‘আগে আমাদের যেভাবে আশ্বস্ত করা হয়েছিল, এবারও সেই একইভাবে আশ্বস্ত করে বলা হয় যে, এটা আদালতের রায়, এর এখতিয়ার হচ্ছে বিচারকের। সরকারের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে বলেছেন আমাদের। আমরা যতদিন দাবি আদায় হবে না ততদিন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

শিক্ষকদের প্রতিনিধি তালুকদার পিয়াস বলেন, ‘আদালতের রায় আসার আগ পর্যন্ত স্বাভাবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ হাইকোর্ট বাতিল ঘোষণা করেন। এরপর থেকে সুপারিশপ্রাপ্তরা কর্মসূচি পালন করছেন। রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। সর্বশেষ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে।

 

রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের শত শত অভিযোগ, দ্রুত ব্যবস্থা নিন: হাসনাত আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৯ পিএম
রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের শত শত অভিযোগ, দ্রুত ব্যবস্থা নিন: হাসনাত আবদুল্লাহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘প্রতিদিন শত শত রেমিট্যান্সযোদ্ধা আমাদের ইনবক্সে তাদের দুঃখ-কষ্টের কথা জানান। অসংখ্য ভাই নিচের মেসেজটি বারবার করে পাঠাচ্ছেন। প্রবাসীদের বিষয়গুলো দ্রুত সময়ে অ্যাড্রেস করুন।’

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনি এ স্ট্যাটাস দেন।

একই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘প্রবাসীদের নিয়ে কয়েকটি এজেন্সির সিন্ডিকেট দ্বারা ভয়াবহ জালিয়াতি।’

এরপর হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরছি: 

১. সৌদি রুটে গ্রুপ টিকিটের দাম বেড়েছে: আগে যেখানে গ্রুপ টিকিটের মূল্য ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা ছিল। এখন সিন্ডিকেট করে প্রতিটি টিকিট ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

২. ফ্লাইট সংখ্যা হ্রাস: আগে প্রতি সপ্তাহে ৯৮টি ফ্লাইট চলত। কিন্তু এখন তা কমিয়ে মাত্র ৪৪টি করা হয়েছে।

৩. সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি: কিছু এজেন্সি আগাম বিনিয়োগ করে ৪ থেকে ৫টি এজেন্সির মাধ্যমে গ্রুপ টিকিটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রেখেছে। দ্রুত এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া জরুরি।

৪. ব্ল্যাঙ্ক সিট বুকিং দেখিয়ে সংকট আরও বৃদ্ধি: ফ্লাইটগুলোতে খালি সিট থাকা সত্ত্বেও ব্ল্যাঙ্ক সিট বুকিং দেখিয়ে সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে।

৫. এয়ারপোর্টে যাত্রী হয়রানি: বিভিন্ন অজুহাতে যাত্রীদের হয়রানি করে তাদের ফ্লাইট মিস করানো হচ্ছে। এরপর যাত্রীদের অন্য ফ্লাইটে কন্ট্রাক্টে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রতি কন্ট্রাক্ট ১ থেকে ১.২০ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ নেওয়া হচ্ছে।

৬. ম্যানপাওয়ার ভিসাসংক্রান্ত দুর্নীতি: ম্যানপাওয়ার ভিসা অ্যাটাস্টেডের নামে BMET বন্ধ রেখেছে, অথচ সৌদি-বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে কনস্যুলার জানান, তারা এ বিষয়ে অবগত নন।

৭. অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে: কিছু এজেন্সি এবং BMET-এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা যোগসাজশে প্রতিটি ম্যানপাওয়ার ভিসার জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেশি নিচ্ছে। এই চক্র প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।’

এরপর হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘প্রবাসীদের স্বার্থে দ্রুততম সময়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’

গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহায়তা চান ড. ইউনূস

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম
গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহায়তা চান ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসন সাক্ষাৎ করেন। ছবি: পিআইডি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেছেন। 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসনের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এই সহায়তা চেয়েছেন।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং বিশ্বব্যাপী ইউএসএআইডির কাজ স্থগিত করার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডা, রোহিঙ্গা সংকট, অভিবাসন এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। খবর বাসসের

অধ্যাপক ইউনূস একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন এবং এর তত্ত্বাবধানে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করার জন্য তার সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘সংস্কারগুলোর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর রাজনৈতিক দলগুলো সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য ‘জুলাই সনদে’ স্বাক্ষর করবে।’

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জ্যাকবসন জোর দিয়ে বলেছেন, নতুন সরকারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া উচিত। তিনি সম্প্রতি দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে জিজ্ঞাসা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বাংলাদেশি সমাজে পুনর্মিলনের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিশোধের চক্র ভেঙে দেশে শান্তি ও সম্প্রীতির ভিত্তি তৈরি করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই এই দেশের সন্তান। তাই আমাদের মাঝে প্রতিশোধের কোনো স্থান থাকা উচিত নয়।’ তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে তাদের অভিযানের সময় যেকোনো মূল্যে মানবাধিকার বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য মার্কিন প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মার্কিন সহায়তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবির জীবন রক্ষাকারী প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে সহায়তা স্থগিত করার মার্কিন সিদ্ধান্তের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তিনি বাংলাদেশ এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের হাইতির মতো দেশগুলোতে ডায়রিয়া ও কলেরাজনিত মৃত্যু প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে আইসিডিডিআরবিএর ভূমিকা তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ইউএসএআইডির ক্ষেত্রে যাই ঘটুক না কেন, পুনর্গঠন, সংস্কার এবং পুনর্নির্মাণের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের মার্কিন সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এটা এখন বন্ধ করার সময় নয়।’



সংস্কার কর্মসূচির প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০০ পিএম
সংস্কার কর্মসূচির প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার। ছবি: পিআইডি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত চলমান সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বিশ্বব্যাংক।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় মার্টিন রেইজার বাংলাদেশে চলমান সংস্কার কর্মসূচির প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে উভয়ে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কর ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতি চালু এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুশাসন ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে সুশাসন ও জবাবদিহিতার উন্নয়নে জরুরি সংস্কারে সহায়তা করছে, যার মধ্যে কর নীতি ও প্রশাসন, সরকারি ক্রয় এবং পরিসংখ্যান সংক্রান্ত সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

রেইজার বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, ভবিষ্যৎ সরকার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য এই সংস্কারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ‘এই সংস্কারগুলো জনগণ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সুশাসন ও জবাবদিহিতার প্রতি আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করবে, যা ভবিষ্যতের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপন করবে।’

রেইজার কর প্রশাসন ও কর নীতির পৃথকীকরণের আহ্বান জানান, যাতে রাজস্ব ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। তিনি বলেন, ‘কর রেয়াত ও ছাড় দেওয়ার একমাত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ হওয়া উচিত সংসদ’।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি সম্প্রতি একটি ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করেছেন, যা ছয়টি প্রধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ আয়োজনে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, ‘একবার রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালে, তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক সরকার বাস্তবায়ন করবে।’

রেইজার সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার উন্নতি এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন, যাতে নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যের গুণগত মান উন্নত করা যায়।

বৈঠকে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ শক্তিশালী ডিজিটালাইজেশন কর্মসূচির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়। রেইজার বলেন, বিশ্বব্যাংক ঢাকা শহরকে এমন দেশগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করতে সহায়তা করতে পারে, যাদের শক্তিশালী ডিজিটাল পরিচয় অবকাঠামো রয়েছে।