
আদিবাসী ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম আয়োজিত গণসমাবেশে উপস্থিত বক্তারা। তাদের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই আদিবাসী ইস্যুতে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। আদিবাসীদের অধিকার, স্বীকৃতি ও দাবিদাওয়া নিশ্চিতে এ সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে, না হলে জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে না।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘আত্মমর্যাদা ও আত্মপরিচয়ের স্বীকৃতি আদায়ে আদিবাসীদের অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম জোরদার করুন’ শিরোনামে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি পুনর্বহাল এবং আদিবাসী ছাত্র-জনতার ওপর গত ১৫ জানুয়ারি যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানানো হয়।
গণসমাবেশে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে আদিবাসী পরিচয় উল্লেখ করে তাদের অধিকারের কথা বলেছিলেন। এ সরকারের বেশির ভাগ উপদেষ্টাও কোনো না কোনো সময়ে আদিবাসীদের দাবির প্রতি সম্পূর্ণ সহমত প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি আদিবাসীদের সঙ্গে যেসব ঘটনা ঘটছে, নিশ্চয়ই সেসব তাদের অজানা নয়। কিন্তু এখন কেন তারা আদিবাসীদের বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করছেন না?
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহসভাপতি অজয় এ মৃ। বক্তব্য দেন দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি বিচিত্রা তির্কী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য কে এস মং, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহা তানজীম, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, আদিবাসী যুব ফোরামের সহসভাপতি টনি চিরান, আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃ প্রমুখ।