
২০২৫ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হবে এসব নতুন ভোটারের ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়াসহ নিবন্ধন সম্পন্ন করার কাজ, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। গতকাল ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেসব ভোটারযোগ্য নাগরিক এই কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারেননি, তারা নিজ নিজ এলাকায় ইসির সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশনকেন্দ্রে গিয়ে তথ্য সরবরাহ করে ভোটার হতে, আগের এনআইডি সংশোধন এবং মৃত ভোটারদের বাদ দিতে পারবেন।
ইসির এই হালনাগাদ কর্মসূচি শুরু হয় গত ২০ জানুয়ারি। এবারের অভিযানে যেসব নাগরিকের জন্ম ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এদিকে চলমান ভোটার হালনাগাদে নিবন্ধন কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত রবিবার পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কারণ নিবন্ধন কেন্দ্রগুলোতে ভোটার রেজিস্ট্রেশন কাজে ল্যাপটপ, ক্যামেরা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, আইরিশ স্ক্যানার, ডকুমেন্ট স্ক্যানার, ডকুমেন্ট প্রিন্টারসহ অন্যান্য মূল্যবান যন্ত্রপাতির ব্যবহার হবে। এ জন্য ভোটার রেজিস্ট্রেশনের তারিখগুলোতে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েন চেয়েছে সংস্থাটি।
ইসির তথ্য অনুযায়ী ১ দশমিক ৫২ শতাংশ নাগরিককে ভোটার তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যে এবারের ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে মাঠে রয়েছেন সংস্থাটির ৬৫ হাজার লোক। অন্যদিকে ২০২২ সালে নেওয়া ৩ বছরের তথ্যের শেষ ধাপের হালনাগাদ কার্যক্রমও চলমান। এতে ১৮ লাখের মতো ভোটার আগামী মার্চে যোগ হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসি, যা আগামী ২ মার্চে প্রকাশিতব্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় প্রকাশ করা হবে।
সর্বশেষ হালনাগাদের তথ্য অনুযায়ী দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। আর চলমান হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন ৪০ থেকে ৪৫ লাখ ভোটার। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। ওই তালিকায় নতুন করে যোগ হয় প্রায় ১৯ লাখ নাগরিক। আর এবারের চলমান হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন করে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ ভোটার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।