
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গত ছয় বছরে উল্লেখযোগ্য কোনো কিছুই করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রোডম্যাপ চায়। স্বল্পসংখ্যক বা বড় সংখ্যায় প্রত্যাবাসন হলেও ঠিক কতদিনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হবে তা রোডম্যাপে উল্লেখ থাকতে হবে।’
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো পাইলট প্রকল্প বা টোকেন প্রত্যাবাসন চাই না। মায়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিজভূমিতে নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে ফিরে যেতে একটি রোডম্যাপ চাই। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশেই ঢুকে পড়েছে। ফলে এটি এখন আর শুধু মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়, এটি এখন আন্তর্জাতিক সমস্যা। তাই সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ও আন্তর্জাতিক মহলের সমন্বয়ে এই সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধানে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই সংকট সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে রোহিঙ্গাবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের একজন প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছে বর্তমান সরকার। এ বিষয়ে রোডম্যাপ প্রণয়নে সম্প্রতি থাইল্যান্ডে এক আঞ্চলিক সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে। এই সংকটের একটিই সমাধান, তা হলো রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে অবশ্যই ফিরে যেতে হবে।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মায়ানমারে চীনের বড় স্বার্থ রয়েছে। তাই রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই চীন কাজ করছে। সম্প্রতি চীন সফরের সময়ও সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে আমার। সেখানেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমরা রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা করেছি। এ ছাড়া রাখাইনে ভারতেরও স্বার্থ রয়েছে। ফলে এই সংকটের সমাধানে যৌথ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ।’