
আগামী রবিবার (৯ জানুয়ারি) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাসে রাজধানীর শাহবাগ ছেড়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের স্বজনরা। যার ফলে দীর্ঘ সোয়া ৭ ঘণ্টা পর যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। এরপরও যদি তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয় ফের আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে খবরের কাগজকে এমনটা জানিয়েছেন শহিদ আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারীর ভাই আবদুল্লাহ আল মারুফ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সেই সোয়া এগারোটা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছিলাম। পরে সাড়ে ৬টার দিকে আমরা অবরোধ তুলে নেই। এর আগে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম আমাদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন, আগামী রবিবার তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের নিয়ে যাবেন। এর আগে আমরা আমাদের দাবি ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবো। সব মিলিয়েও যদি আমরা আমাদের দাবির ব্যাপারে কোন ইতিবাচক সাড়া না পাই, ফের আমরা আন্দোলনের নামবো।’
এদিকে বেলা পৌনে পাঁচটার দিকে উপস্থিত হন সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার না করা হলে তা হবে এই সরকারের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা। প্রয়োজনে আবার জীবন দিয়ে হলেও তার বিচার নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি শহিদ পরিবারের সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিরা আলোচনার মাধ্যমে তাদের সকল যৌক্তিক দাবি উপদেষ্টাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।’
উপদেষ্টাদের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কিন্তু প্রতিফলন দেখিননি উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া সবার যৌক্তিক দাবি বুঝিয়ে দিতে হবে।’
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে— প্রতিটি হত্যার বিচারের লক্ষ্যে আসামিদের ১০ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে হবে; শহিদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে; শহিদ পরিবারের দ্রুত পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া শহিদ পরিবারের ন্যায্য সম্মানী শহিদ পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রদান করতে হবে; শহিদ পরিবারের মাসিক সম্মানীর দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে এবং শহিদদের বীরের মর্যাদা দিতে হবে।
আরিফ জাওয়াদ/এমএ/