
পুরোনো লেপ, তোষক, কম্বল, পলিথিন, আসবাবপত্র কোনোভাবেই খালে আসার কথা নয় বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক।
তিনি বলেন, ‘পুরোনো লেপ, তোষক, কম্বল, পলিথিন, আসবাবপত্র কোনোভাবেই খালে আসার কথা নয়। কিন্তু খাল থেকে এসবও পরিষ্কার করতে হচ্ছে। সব দায়িত্ব সিডিএ এবং সিটি করপোরেশনের ঘাড়ে দিয়ে সব আবর্জনা খালে ফেললে সমস্যার সমাধান হবে না। খালপাড়ের বাসিন্দাদের সচেতন হতে হবে।’
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আগ্রাবাদ এলাকায় খাল পরিদর্শনের সময় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
খালে আবর্জনা নিক্ষেপকারীকে প্রয়োজনে আইনের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়ে ফারুক বলেন, ‘এলাকার সব আবর্জনা এক জায়গায় রাখলে সিটি করপোরেশন সেখান থেকে নিয়ে যাবে। সবার সহযোগিতা পেলে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব।’
আগামি বর্ষা মৌসুমে দৃশ্যমান উন্নতি দেখানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা অনেক রকমের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু খালে এমন অনেক আবর্জনা দেখা যাচ্ছে যা কোনভাবেই খালে আসার কথা না। এই সমস্যা থেকে উদ্ধার পেতে হলে, নিজেদেরকেই নিজের কাজ এবং দায়িত্ব পালন করতে হবে। এলাকায় যে কমিটিগুলো আছে তারা ঘরে ঘরে গিয়ে সতর্ক করেন, যেন সবাই এক জায়গায় ময়লা রাখেন। সেখান থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) আবর্জনা সংগ্রহ করবে। এই শহর আমাদের। এখানে বেঁচে থাকার অধিকার আমাদের সবার আছে। একজনের জন্য ১০ জন কষ্ট পাবে তা যেন না হয়।’
তিনি বলেন, ‘খালের মাটি সিটি করপোরেশন, সিডিএ পরিষ্কার করবে। কিন্তু আপনার যারা খালে পলিথিন ফেলছেন, সেটা কেন ফেলবেন। রাষ্ট্রের এই উদ্যোগের সঙ্গে এলাকাবাসীর শতভাগ সহযোগিতা লাগবে। কোথায় সমস্যা আছে আপনারা আমাদেরকে জানান। আমরা সমাধান করব। কিন্তু আপনারা নিজেরাই যদি সমস্যার উৎস হন। তাহলে তা সমাধান করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমসহ প্রশাসন ও চসিকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
পরে উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জলাবদ্ধতা প্রকল্প নিয়ে চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ সময় দুর্যোগ উপদেষ্টা বলেন, ‘খালে যেন আবর্জনা না পড়ে সেই লক্ষ্যে প্রথমে সচেতনতা কর্মসূচি, তার পর সতর্কতা এবং সর্বশেষ ধাপ হলো শাস্তি। কেউ খাল-নালায় আবর্জনা ফেললে তাকে এক-দুদিনের জন্য জেলেও দেওয়া যেতে পারে। প্রকল্পটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে আছে উল্লেখ করে বলেন, এর জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ থাকবে।’
পপি/