ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

ধানমন্ডি ৩২ ও সুধা সদনে শনিবারও চলেছে ভাঙচুর

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৮ পিএম
ধানমন্ডি ৩২ ও সুধা সদনে শনিবারও চলেছে ভাঙচুর
ছবি : খবরের কাগজ

ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটি গত বুধবার রাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া হামলা, ভাঙচুর-লুটপাট চলে গতকাল শনিবারও। ধানমন্ডির ৫ নম্বরে বিধ্বস্ত সুধা সদনেও চলছিল একই অবস্থা। ভাঙচুর ও লুটেরাদের বেশির ভাগই ভাঙারি শ্রমিক, দিনমজুর ও টোকাই। বাড়ি দুটি থেকে রড, বৈদ্যুতিক তার, স্যানিটারি পাইপ, আসবাবপত্র, ইটসহ সবকিছু নিয়ে যান তারা।

ভাঙচুর ও লুটপাটের পাশাপাশি ছিল উৎসুক জনতার ভিড়। মুঠোফোনে ছবি তোলাসহ বিধ্বস্ত বাড়ি দুটি ঘুরে দেখেন তারা। কেউ কেউ ভবন থেকে খুলে রাখা ইট নিয়ে রিকশাযোগে চলে যান গন্তব্যে। গতকাল শনিবার বিকেলে ৩২ নম্বর এবং সুধা সদনে এমন চিত্র দেখা যায়। এদিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা সদরের চৌরাস্তায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রতীক নৌকাসংবলিত স্মৃতিফলক ভেঙে ফেলার খবর পাওয়া গেছে। 

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেওয়া বাড়িটি পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। বাড়িটির সামনের অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও পেছনের কিছু অংশ এখনো দাঁড়িয়ে আছে। তবে অবশিষ্ট অংশটুকু ভাঙার কাজ করছেন ভাঙারি শ্রমিক, দিনমজুর ও টোকাই প্রকৃতির লোকেরা। সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির প্রবেশ ফটক নেই। বাউন্ডারি দেয়াল নেই। রাস্তায় একটি অটোরিকশায় ইট তুলছিলেন এক ব্যক্তি। আরেক ব্যক্তি পূর্ণ ইটগুলো বাছাই করে সড়কের পাশে রাখছিলেন। প্রবেশ গেটের সামনে আরসিসি ঢালাই ভেঙে লোহার রড বের করছিলেন দুই শ্রমিক। উৎসুক জনতা সেখানে ছবি তোলার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

ভবনের ইট দিয়ে কী করবেন জানতে চাইলে টোকাই প্রকৃতির এক লোক বলেন, ‘ইট দিয়া বাড়ি বানামু। তাই নিয়া যাইতাছি।’ কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন- জানতে চাইলে ওই লোক বলেন, ‘যামু মোহাম্মদপুর বছিলায়।’ কয়টা ইট নিচ্ছেন জানতে চাইলে ওই লোক বলেন, ‘আজকেই আইছি, যতগুলা ইট পারি নিয়া যামু। অটোরিকশায় কইরা নিমু।’ কথা বলতে বলতে ইটগুলো তুলছিলেন তিনি। উৎসুক জনতার অনেকেই বাড়ি ভাঙার ছবি তুলছিলেন।

সুধা সদন
গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ধানমন্ডির ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত সুধা সদনে যান এ প্রতিবেদক। তখনো সেখানে ভাঙার কাজ চলছিল। হাতুড়ি ও বাটালের আঘাতের শব্দ দূর থেকে শোনা যাচ্ছিল। তবে সেখানে উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল না। টোকাইদের আনাগোনা বেশি ছিল। আশপাশের বাড়ির প্রতিটি গেটেই সিকিউরিটি গার্ড পাহারায় ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর
ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার বোয়ালমারী উপজেলা সদরের চৌরাস্তায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রতীক নৌকাসংবলিত স্মৃতিফলক ভেঙে দিয়েছেন উত্তেজিত ছাত্র-জনতা। গতকাল সকাল ৮টার দিকে ভেকু দিয়ে ভাঙার কাজ শুরু করেন ছাত্র-জনতা। খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক আব্দুস সবুরের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা ভাঙার কাজ চালিয়ে যান। বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের ওপর চরম ক্ষুদ্ধ হয়ে এ সময় স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তায় ‘তিনকোনা’ নামে পরিচিত চত্বরটি দখল করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’সংবলিত স্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হাসান চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে ঘটনাস্থলে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম রসুল কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

ঢাকা-ইসলামাবাদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০০ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৮ পিএম
ঢাকা-ইসলামাবাদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘ ১৫ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক (এফওসি)। সর্বশেষ এ বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে। বৈঠকে অংশ নিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের প্রধান ইশরাত জাহান।

জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন এবং পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন আমনা বালুচ। বৈঠকে বাংলাদেশ পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে সব বিষয়ে আলোচনা করবেন তারা।

এফওসি বৈঠক শেষে আগামী ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। পরদিন দুদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ বিষয়ে খবরের কাগজকে বলেন, ‘বাংলাদেশ অতীতের টানাপোড়েন পেছনে ফেলে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায়, তবে মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্ন বাদ দিয়ে নয়।’ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার দায়ে পাকিস্তানের ক্ষমা প্রার্থনার প্রসঙ্গ, আটকে থাকা সম্পত্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবি এখনো আলোচনায় আছে। এ বিষয়ে তৌহিদ হোসেন সাফ জানিয়ে দেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে একাত্তরকে উপেক্ষা করা হবে না। সৌজন্য সাক্ষাতে কঠিন প্রসঙ্গ না তুললেও আনুষ্ঠানিক আলোচনায় এসব বিষয় তুলে ধরা হবে।’

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বৈঠকে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়েও ঐকমত্য হয়। আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক বাস্তবতায় ইসলামাবাদ ও ঢাকার সম্পর্কে ছিল টানাপোড়েন। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে আসা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্ক স্বাভাবিক ও গভীর করার পথে অগ্রসর হন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

পল্লবীতে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু হত্যা, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪০ পিএম
পল্লবীতে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু হত্যা, গ্রেপ্তার ১
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্লবীতে একটি মোটর সার্ভিসিংয়ের দোকানে গাড়িতে হাওয়া দেওয়া মেশিনের (কমপ্রেশার) সাহায্যে পেটে বাতাস গ্যাস ঢুকিয়ে চার বছরের শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত শিশুর নাম আবু বকর সিদ্দিক। এ ঘটনায় আকাশ নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের বাউনিয়াবাদ এলাকার একটি মোটর সার্ভিসিংয়ের গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে। 

পায়ুপথে বাতাস প্রবেশ করানোর কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজন অজ্ঞাতনামাসহ চারজনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেছেন শিশুটির মা আয়শা। আসামিদের একজন কিশোর হওয়ায় শিশু আইন ২০১৩ অনুসারে তার নাম উল্লেখ করা হলো না। বাকি দুই আসামি রাজু (২০) ও মো. সুজন খান (৩৬)।

তিনি বলেন, আকাশ নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খেলার ছলে ঘটনাটি ঘটেছে দাবি করেছে ওই কিশোর। তবে চরম অমানবিক হত্যাকাণ্ড। অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

স্থানীয়রা জানায়, গত মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় স্কুলে ক্লাস শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবু বক্কর বাসায় ফিরে যায়। তার মা একজন গার্মেন্টস কর্মী। আবু বক্করের বড় ভাই জিহাদ (১১ বছর) স্থানীয় একটি মোটর গ্যারেজে কাজ করে। এরপর বেলা ৩টার দিকে আবু বক্কর গ্যারেজে বড়ভাই জিহাদের কাছে গেলে ওই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। উপস্থিত কয়েকজন কিশোর বক্করের বড়ভাই জিহাদকে কলা-রুটি কিনে আনতে পাঠায়। এ সময় অন্য কিশোররা আবু বক্করের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করে। গাড়ির হাওয়া দেওয়ার পাইপ শিশুটির পায়ুপথে ঢুকিয়ে হাওয়া দেয়। এ সময় অতিরিক্ত চাপে শিশুটির পেট ফুলে যায়। আবু বক্কর বমি করে। তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে।

এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত শিশুটিকে প্রথমে রাবেয়া ক্লিনিকে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর আবু বক্করের পরিবার পল্লবী থানায় মামলা করেছেন।

 

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৫ পিএম
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তদন্ত কমিশনের সদস্যরা। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে জানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশন। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তদন্ত কমিশনের সদস্যরা তাকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। খবর বাসসের।

কমিশনপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আলম ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যেহেতু ১৬ বছর আগের ঘটনা, তাই অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। অভিযুক্ত অনেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কারাগারে থাকা কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তদন্তের জন্য যোগাযোগ করা প্রয়োজন এমন ২৩ জন বিদেশে অবস্থান করছেন। তার মধ্যে ৮ জন সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেছেন।’

কমিশনপ্রধান আরও বলেন, ‘আমরা হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের প্যাটার্নটা নিয়ে তদন্ত করছি। ডিজিকে হত্যার পর বাকিদের হত্যা করা হয়েছিল। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পরিকল্পনা ছাড়া এমন হত্যাকাণ্ড হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘এটা যেন একটা পলাশীর পুনরাবৃত্তি। এটার শিকড় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’

কমিশনের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, ‘এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজন কর্মকর্তা/কর্মচারীকেও সরানো হয়নি। কাউকে দায়ী করা হয়নি। এটি গোয়েন্দা সংস্থা, সামরিক বাহিনী এবং রাজনৈতিক ব্যর্থতা।’

তদন্ত কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নৃশংসভাবে নিজেদের অফিসারদেরই তারা মেরেছিল। মসৃণভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’

পুরো জাতি তদন্ত কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সবাই উত্তর খুঁজছি। কমিশনকে এ ঘটনা তদন্তে সফল হতেই হবে। এ রহস্য উদঘাটন করতেই হবে।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান, মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, ড. এম আকবর আলী, মো. শরীফুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ খান চন্দন, এ টি কে এম ইকবাল।

 

অচিরেই বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় হবে: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৬ পিএম
অচিরেই বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

শক্তিশালী বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় শিগগিরই বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় বাস্তবায়ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের (এসআরএফ) কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বুধবার প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের চলমান উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। একপর্যায়ে  তিনি সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে আসেন।
 
এসআরএফের সভাপতি মাসউদুর রহমান, সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম মল্লিক ও যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান ডালিম এ সময় প্রধান বিচারপতিকে স্বাগত জানান।

প্রধান বিচারপতি তার ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘শক্তিশালী বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় অচিরেই বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় বাস্তবায়ন হবে। আইনজীবীদের বিশেষ করে নারী আইনজীবীদের যে অবকাঠামোগত অসুবিধা রয়েছে, তা অচিরেই দূর করা হবে। স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন প্রধান বিচারপতি।

এসআরএফের কার্যালয় পরিদর্শনের আগে প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবন এবং এনেক্স ভবনে নতুনভাবে সংস্কার করা স্বাস্থ্যসম্মত এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিবান্ধব টয়লেট প্রকল্প পরিদর্শন করেন। সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদনক্রমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। 

ব্র্যাকের প্রধান নির্বাহী আসিফ সালেহ, সুপ্রিম কোটের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহা. হাসানুজ্জামান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরিফুল আলম ভূঞা ও স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

 

কবি রফিক আজাদের বাড়ি দখলের ষড়যন্ত্র!

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১১ পিএম
কবি রফিক আজাদের বাড়ি দখলের ষড়যন্ত্র!
কবি রফিক আজাদের ভেঙে ফেলা বাড়ি। ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ১ নম্বর সড়কে প্রয়াত কবি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক আজাদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী কবি-শিক্ষাবিদ দিলারা হাফিজ। তার ভাষ্য, বাড়িটি দখল করে হাউজিং কমপ্লেক্স তৈরির ষড়যন্ত্র হচ্ছে। 

আশির দশকে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কের ১৩৯/৪-এ বাড়িটি চারটি পরিবারকে সরকার থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে শহিদ পরিবারও আছে। ওই বাড়িটির পশ্চিমাংশে কমবেশি ৫ কাঠা বরাদ্দ পান দিলারা হাফিজ। ওই বাড়িতে এখনো থাকেন তিনি। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রফিক আজাদের বাড়ির পাশের একটি অংশ ভেঙে ফেলা হয়। তাতে রফিক আজাদের বাড়ির একটি অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে নাগরিক মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। দিলারা হাফিজ বলেন, ‘বাড়িটি কিছু লোক দখল করার জন্য অনেক বছর থেকেই লেগে আছে। এ নিয়ে আদালতেও আমরা দৌড়ঝাঁপ করছি। কিন্তু কয়েক মাস ধরে বাড়িটি ছাড়তে আমাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি জানান, গত ১১ এপ্রিল বাড়িটি রফিক আজাদের নামে স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার অভিযোগ, একটি পক্ষ তাদের এই বাড়ি ভাঙতে নানাভাবে চাপ দিচ্ছে।

রফিক আজাদ ২০১৬ সালে মারা যান। এই বাড়িতে বসে তিনি তার আত্মজীবনী ‘কোনো খেদ নেই’ রচনা করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে রফিক আজাদ লিখেছেন তার কালজয়ী কবিতা ‘ভাত দে হারামজাদা’।