
ভাষাবিদ, প্রাবন্ধিক ড. আহমদ শরীফের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার সূচক্রদণ্ডী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
১৯৪৪ সালে ২৫০ টাকা বেতনে গ্রিভেন্সিভ অফিসার হিসেবে দুর্নীতি দমন বিভাগে চাকরি দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেন আহমদ শরীফ। পরে তিনি শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন।
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের দুর্লভ অমূল্য পুঁথির ভান্ডার ও সাময়িক পত্রপত্রিকার সম্ভার নিয়ে আহমদ শরীফ বিস্তর গবেষণা করেন। তিনি মধ্যযুগের সাহিত্য ও সামাজিক ইতিহাস রচনায় বিশ্লেষণাত্মক তথ্য, তত্ত্ব ও যুক্তির আশ্রয় নিয়েছেন। তার লিখিত বইয়ের সংখ্যা শতাধিক।
তার রচিত উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো ‘স্বদেশ অন্বেষা’, ‘মধ্যযুগের সাহিত্য সমাজ ও সংস্কৃতির রূপ’, ‘বাংলার সুফি সাহিত্য’, ‘বাঙালির চিন্তা-চেতনার বিবর্তন ধারা’, ‘বাংলার বিপ্লবী পটভূমি’, ‘এ শতকে আমাদের জীবনধারার রূপরেখা’, ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’, ‘প্রত্যয় ও প্রত্যাশা’ এবং ‘বাঙালি ও বাংলা সাহিত্য’ (দুই খণ্ড)।
আহমদ শরীফ মাকর্সবাদে আন্দোলিত হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নেতা তাত্ত্বিক সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে গঠিত ‘নিউক্লিয়াস’ (স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ)-এর সঙ্গে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তার।
মরণোত্তর চক্ষু ও দেহদান করে গেছেন বাংলা সাহিত্যের এই প্রবাদপ্রতিম মনীষা। তার স্মরণে সাহিত্য অঙ্গনে ‘ড. আহমদ শরীফ স্মৃতি পুরস্কার’ প্রবর্তন করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।