ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

আরব আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৭ পিএম
আরব আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধান উপদেষ্টা
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: বাসস

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে বিশ্ব সরকার সম্মেলনে (ডব্লিউজিএস) যোগদানের পর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরছেন। আশা করা হচ্ছে সন্ধ্যায় তিনি দেশে পৌঁছাবেন।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুবাই বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে বিদায় জানান আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ড. আহমেদ বেলহুল আল ফালাসি।

ডব্লিউজিএস-এ যোগদানের পাশাপাশি, শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়িক বিনিয়োগের পরিকল্পনা এবং ক্রীড়া ও শিক্ষা সম্পর্ক জোরদার সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়।

আলোচনাকালে, প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং দেশ থেকে আরও কর্মী নিয়োগের আহ্বান জানান।

তিনি আমিরাতের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তর করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জাইউদির প্রস্তাবের পর তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসার জন্য একটি বিশেষ শিল্প পার্ক স্থাপনের বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হন।

প্রধান উপদেষ্টা বাণিজ্যমন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশের স্বল্প খরচের শ্রম ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিল্প গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশকে হালাল পণ্য উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে পারে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন যে, তিনি আগামী মাসগুলোতে বাংলাদেশে একটি সিনিয়র বাণিজ্য ও অনুসন্ধানী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিতে চান।

সফরকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ প্রধান উপদেষ্টার সাথে ছিলেন।

সূত্র: বাসস

সিফাত/

পুলিশের সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম
পুলিশের সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

পুলিশ বাহিনীর সমস্যা সমাধানে কী করা যেতে পারে তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। 

বুধবার (১৯ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ১৭ মার্চ মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সভায় কর্মকর্তারা তাদের সুবিধা ও অসুবিধার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান। এ নিয়েই আজকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা তৃণমূল পর্যায়ে যে সব পুলিশ সদস্য কাজ করেন তাদের কল্যাণে নিচের কয়েকটি বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন- 

১) ঝুঁকি ভাতার প্রচলিত সিলিং তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা।

২) পুলিশের জন্য নতুন ৩৬৪টি পিকআপ এবং ১৪০টি প্রিজনভ্যান কেনার উদ্যোগ নেওয়া।

৩) পুলিশের চলমান নির্মাণ প্রকল্পের যেগুলোর কাজ ৭০ শতাংশের নিচে সম্পাদিত হয়ে আছে সেগুলোতে অর্থ ছাড় করা।

৪) ভাড়া করা ভবনে অবস্থিত ৬৫টি থানার জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ ছাড় করা। 

৫) পুলিশের এসআই ও এএসআই র‍্যাংকের মোটরসাইকেল কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণের বিষয়টি বিবেচনা করা। 

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জানান, কর্ম সম্পাদনের ফলাফলের ভিত্তিতে জেলা পুলিশকে শ্রেণিভুক্ত করে যাদের পারফর্ম্যানস অপেক্ষাকৃত কম, তাদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। 

এ ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের প্রস্তুতি ও করণীয় সম্পর্কে এখন থেকেই উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

অমিয়/

লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সহায়তা পেয়েছেন ২৮৭৬১ জন

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:২২ পিএম
লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সহায়তা পেয়েছেন ২৮৭৬১ জন
ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭৬১ জন আইনি সহায়তা পেয়েছেন।

বুধবার (১৯ মার্চ) জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

২০০৯ সাল থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সহায়তার বিস্তারিত তথ্য এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

শুরুতে জেলা পর্যায়ে অসচ্ছল জনগোষ্ঠীর জন্য এ আইনি সেবা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকা ও চট্রগ্রামে শ্রমিক আইনগত সহায়তা সেল ও দেশের কারাগারগুলোতে এ সেবা চালু হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি পরামর্শ সেবা পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫০৯ জন, আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ২৫২ টি মামলায়, এর মধ্যে ২ হাজার ২৮২ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির নতুন চেয়ারম্যান হলেন হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী জিনাত হক।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত ১৩ মার্চের এক স্মারকে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান পদে হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী জিনাত হক মহোদয়কে মনোনয়ন দিয়েছেন।

বিচারপতি কাজী জিনাত হক সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল কমিটির পঞ্চম চেয়ারম্যান। জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার অধীনে ২০১৫ সালে দেখে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম শুরু হয়।

দেশে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনি সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইনের’ অধীনে সরকারি খরচে এ সেবা দেওয়া হয়। 

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অধীনে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সূত্র: বাসস

সুমন/

ভাষাসৈনিক কাজী গোলাম মাহবুবের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম
ভাষাসৈনিক কাজী গোলাম মাহবুবের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
কাজী গোলাম মাহবুব

১৯৫২ সালের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ভাষাসৈনিক কাজী গোলাম মাহবুবের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৯ মার্চ। ২০০৬ সালের এই দিনে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাষাসৈনিক কাজী গোলাম মাহবুব ফাউন্ডেশন ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জহির জানান, এ উপলক্ষে তার জন্মভূমি গৌরনদীর ভাষাসৈনিক কাজী গোলাম মাহবুব চত্বরে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, জন্মভিটা লাখেরাজ কসবা গ্রামে মরহুমের পারিবারিক উদ্যোগে কোরআনখানি, কসবা জামে মসজিদে আলোচনা সভা, ইফতার মহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদ, ধানমন্ডি ভাষা আন্দোলন জাদুঘর ও গবেষণা কেন্দ্রে পৃথকভাবে মরহুম কাজী গোলাম মাহবুবের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। 

কাজী গোলাম মাহবুব ১৯২৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর লাখেরাজ কসবা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ওই বছরের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে অনুষ্ঠিত হরতাল কর্মসূচিতে পিকেটিং করতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। ১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা দিলে ভাষা আন্দোলন গড়ে ওঠে। এ সময় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক করা হয় কাজী গোলাম মাহবুবকে। 

কমলাপুর স্টেশনে কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুত

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:০১ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
কমলাপুর স্টেশনে কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুত
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঢোকার মুখে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঢোকার মুখে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। 

বুধবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এতে আপ ও ডাউন দুই লাইনে প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে আপ লাইনে ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করছে কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন স্টেশনে ঢোকার সময় ডাউন লাইনে পেছন থেকে দুটি ক্যারেজ পরে যায়। এটি ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঘটে। পরে স্টেশনের সব ট্রেনের মুভমেন্ট বন্ধ রাখা হয়। পরে দুপুর ১টার দিকে সিঙ্গেল লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।’

তিনি বলেন, ‘ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় আজ (বুধবার) ট্রেন চলাচলে বিলম্ব হতে পারে। বর্তমানে লাইন ক্লিয়ার করার কাজ চলছে।’

জয়ন্ত/পপি/

সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ১৫ এপ্রিল থেকে

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৫২ পিএম
সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ১৫ এপ্রিল থেকে
ছবি : খবরের কাগজ

বাংলাদেশের সমুদ্রের জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সব প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। 

বুধবার (১৯ মার্চ) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এইচ. এম. খালিদ ইফতেখার স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩-এর বিধি ৩-এর উপবিধি (১) এর দফাতে (ক)  দেওয়া ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সব প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। 

সুমন/