ধীরে ধীরে টার্মিনালগুলোতে বাড়ছে বাড়িফেরার মানুষের চাপ। কর্মব্যস্ত যান্ত্রিকতার রাজধানী ছাড়ছেন ঘরমুখী মানুষ। গতকাল বুধবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালে মানুষের ভিড় বাড়তে দেখা গেছে। আনুষ্ঠানিক ঈদযাত্রায় বিগত দুই দিনের তুলনায় গতকাল বুধবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর অধিকাংশ টার্মিনাল ও বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের বেশ উপস্থিতি দেখা যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, পর্যায়ক্রমে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ঘরমুখী মানুষের চাপ আরও অনেক বেড়ে যাবে। অফিস শেষ করেই অনেকেই দৌড়াবেন বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন ও লঞ্চঘাটের দিকে।
কমলাপুরে ভিড় বেড়েছে, নেই শিডিউলজট
ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় কিছুটা বেড়েছে। পূর্বাঞ্চল (চট্টগ্রামকেন্দ্রিক) ও পশ্চিমাঞ্চল (রাজশাহী-রংপুরকেন্দ্রিক) রেলওয়ের বেশ কিছু আন্তনগর ট্রেন গতকাল প্রায় যথাসময়ে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে। উত্তরাঞ্চলের দু-একটি ট্রেন সামান্য কিছু বিলম্বে ছাড়লেও শিডিউলজট বা বিপর্যয়ের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন স্টেশনসংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে চট্টগ্রাম-সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের আন্তনগর ট্রেনগুলো প্রায় সঠিক সময়ে ছেড়ে যায়।
এদিকে নরসিংদী কমিউটার-১ ও ৪ নামে একজোড়া ট্রেন যুক্ত হওয়ায় গতকাল ঢাকা থেকে ৬৯টি আন্তনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেন ঢাকা ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘ট্রেন ছাড়ার ২ ঘণ্টা আগে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে বিশেষ ট্রেন চলবে। যাত্রীসেবায় প্রতিবারের মতো এবারও আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। স্টেশন থেকে ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত যাত্রীদের নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট চেক করা হচ্ছে।
গাবতলীতে যাত্রীর ভিড়, কাউন্টারে মিলছে না টিকিট
গতকাল সন্ধ্যার পর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা গেছে, মূল সড়কের এক পাশ উত্তরবঙ্গমুখী দূরপাল্লার বাসগুলোয় ডেকে ডেকে যাত্রীদের ওঠানো হচ্ছে। ভাড়া নিয়ে যাত্রী এবং বাসের সুপারভাইজার-চালকদের মধ্যে দর-কষাকষি বা কোথাও কোথাও বাগবিতণ্ডাও দেখা গেছে। এ ছাড়া বেশ কিছু মাইক্রোবাসচালকও বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রী ডাকছিলেন।
এদিকে গতকাল অনেকেই গাবতলীর দূরপাল্লার বাস কাউন্টারে এসে টিকিট চান আজ বৃহস্পতিবারের জন্য। তবে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই এসি বাস বা দামি ব্র্যান্ডের গাড়িগুলোর টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল না। যাত্রীদের অভিযোগ, বাস কর্মকর্তারা আগে থেকেই টিকিট সরিয়ে রেখেছেন। মোটামুটি বাড়তি টাকা দিলে তারা টিকিট দিচ্ছেন।
গাবতলীর হানিফ কাউন্টারে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী আবদুল হেলালের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার রাতের জন্য টিকিট কাটতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু কাউন্টার থেকে তাকে বলা হয়েছে, কোনো টিকিট নেই। এ বিষয়ে আবদুল হেলাল খবরের কাগজকে অভিযোগ করে বলেন, ‘এখানকার কাউন্টারের লোকেরা ছুটির দিনগুলোর টিকিট আগে থেকে সরিয়ে রেখেছেন। হয়তো তারা পরিচিত যাত্রীদের টিকিট দেবেন, তা না হলে বেশি মূল্যে অন্যদের কাছে বিক্রি করবেন।’
হানিফ কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা আল-আমিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমাদের টিকিট এখন অনলাইনে বেশি বিক্রি হচ্ছে। তাই কাউন্টারে ভিড় কম। কয়েক দিন আগে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বাসের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। যাত্রীদের অনেকেই এখন কাউন্টার এসে টিকিট চাইছেন, কিন্তু আমরা তো তা দিতে পারছি না।’ এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি রয়েছে। ফলে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যেই রাজধানী ছাড়ছেন। সড়ক-মহাসড়কে ছিনতাই-ডাকাতির ভয়ে যাত্রীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভালো সেবাদানকারী বা অভিজাত পরিবহনগুলো যাতায়াতের জন্য বেছে নিচ্ছেন। এ জন্য গাবতলীর পাশাপাশি ভালো মানের পরিবহনগুলোর যাত্রীদের ভিড় বেশি কল্যাণপুরে দেখা যায়। এর মধ্যে আগে থেকে অনলাইনে যারা টিকিট কেটে রেখেছেন তারা অনায়াসে গাড়িতে যেতে পারলেও সরাসরি যারা কাউন্টারে আসছেন তারা কিছুটা দুর্ভোগে পড়ছেন। তৎক্ষণাৎ টিকিট না পেয়ে অনেক যাত্রী লোকাল বাসে ওঠেন। এই সুযোগে লোকাল বাসের কর্মচারীরা ভাড়া বেশি নেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
যাত্রীর চাপ বেড়েছে মহাখালী বাস টার্মিনালে
গতকাল সরেজমিনে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় দুপুরের পর থেকে টার্মিনালে ঈদে বাড়িফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে। গতকাল মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোতে যাত্রীদের চাপ ভালোই ছিল।
গতকাল এই বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ জামালপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ রুটের বাস চলাচল করছে। উত্তরবঙ্গগামী শাহ ফতেহ আলী, এসআর ট্র্যাভেলস, এনা পরিবহন, অভি এন্টারপ্রাইজ, এসআই এন্টারপ্রাইজ, রাজিব এন্টারপ্রাইজ ও একতা পরিবহনের যাত্রীদের চাপ রয়েছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুরগামী লোকাল বাসও চলছে।
ব্যাংক কর্মকর্তা সবুর আলম পরিবারসহ যাবেন ময়মনসিংহ। তিনি গতকাল বিকেলে খবরের কাগজকে বলেন, ‘পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে যাচ্ছি। টার্মিনালে যাত্রীর চাপ আছে, বাসও আছে। ভোগান্তি কমাতে হাতে সময় রেখেই যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘এনা পরিবহনের টিকিট কেটেছি। এখন বাসের সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করছি।’
আলম এশিয়া বাসের সুপারভাইজার আল-আমিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘গতকালের চেয়ে আজ (বুধবার) যাত্রীর চাপ বেশি। সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে।’ ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগের ভাড়াই আছে। বাড়তি কোনো বকশিশ নেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও জনপদ মোড়েও গতকাল বিকেল থেকে ঘুরমুখী মানুষের যথেষ্ট ভিড় ছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সায়েদাবাদ, জনপদের মোড়, মানিকনগর এলাকার বাসস্ট্যান্ড থেকে মূলত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নোয়াখালী, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেট অঞ্চলের পরিবহনগুলো যাতায়াত করে থাকে।
ঈদযাত্রায় ভিড় বেড়েছে সদরঘাটে
ঈদে বাড়ি ফেরায় বাস, ট্রেনের পাশাপাশি ভিড় বেড়েছে ঢাকা নদীবন্দরে (সদরঘাট)। যাত্রীদের লঞ্চে নিতে হাঁকডাক বেড়েছে সদরঘাটে। যাত্রীদের নিজ লঞ্চে তুলতে প্রচেষ্টার শেষ নেই সংশ্লিষ্ট লঞ্চশ্রমিকদের। তবে বাড়তি ভোগান্তি বা বিশৃঙ্খলা এখনো দেখা যায়নি সদরঘাটে। অনেকটা নির্বিঘ্নে লঞ্চে রওনা দিচ্ছেন ঘরমুখী মানুষ।
গতকাল সদরঘাট টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, টার্মিনালে উপচে পড়া ভিড়। দুই দিন আগেও এতটা ভিড় ছিল না। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যাত্রীদের চাপ আরও অনেকটা বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন সদরঘাটের টার্মিনালসংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্যমতে, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে ছেড়ে গেছে বরিশাল, চাঁদপুর, ভোলা, দৌলতখাঁ, হাকিমুদ্দিন, হিজলা, ভান্ডারিয়া, চরফ্যাশন, লালমোহন, বরগুনা, পটুয়াখালী বরিশাল, ঝালকাঠির উদ্দেশে ৪৬টি লঞ্চ।
বিআইডব্লিউটিএ জানায়, রাজধানীর সদরঘাট থেকে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। ফিরতি যাত্রীদের জন্য এই সার্ভিস থাকবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। সদরঘাট থেকে ৫০টি রুটে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাবে ১৭৫টি লঞ্চ।
কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চের টিকিট মাস্টার ফাহিম মিয়া বলেন, আজ (বুধবার) একটু বেশি ভিড়। ছুটির দিন হওয়ায় লোকসমাগম বেশি। পদ্মা সেতু চলার পর ঈদ ছাড়া ভিড় হয় না লঞ্চে।
এমভি তাসরিফ-৩ লঞ্চের শ্রমিক নুরে আলম বলেন, ঈদের জন্য আমরা আশা করছি ভিড় বাড়বে। আজ (বুধবার) থেকেই সেটা শুরু হয়েছে। আমরা চাই, লঞ্চ ব্যবসা তার সোনালি দিন ফিরে পাক।’
বরিশালগামী যাত্রী মুনতাসির রহমান বলেন, ‘আজ (বুধবার) ভিড় বেশি। রিলাক্সে যাওয়ার জন্য লঞ্চে যাওয়া। পরিবার নিয়ে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। তাই লঞ্চে যাচ্ছি।’
লঞ্চ মালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের সব লঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে। সব রুটের জন্য একাধিক লঞ্চ রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার (আজ) বা শুক্রবার থেকে যাত্রীর চাপ বাড়বে।’
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়-জরিমানা
ঈদযাত্রায় বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে বিভিন্ন বাস কোম্পানি থেকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। গতকাল রাজধানীর সায়েদাবাদ, গাবতলী, ফুলবাড়িয়া ও মহাখালী বাস টার্মিনালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা আদায় করা হয়।
তবে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে রামগতি, লক্ষ্মীপুরগামী নীলাচল পরিবহনে ১০০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া কামারপাড়ায় গাইবান্ধাগামী নিউসাফা পরিবহনে দুজন ব্যক্তির কাছ থেকে ১০০ টাকা করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়ার অপরাধে নিউসাফা পরিবহনকে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং মিরপুর ডি-লিংক, নীলাচল পরিবহনে ভাড়ার চার্ট বা তালিকা না থাকায় চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে অভিযান পরিচালনা করে দোলা পরিবহন, গোল্ডেন লাইন ও এমাদ পরিবহনে ভাড়ার তালিকা না থাকায় ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঈদযাত্রায় চার কোটি মানুষের জন্য নেই মানসম্মত গণপরিবহন
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশন গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ঈদযাত্রায় মাত্র ৩-৪ দিনে ঢাকা থেকে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করবেন। এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে আন্তজেলায় প্রায় চার কোটি মানুষ যাতায়াত করবেন। এত অল্প সময়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ পরিবহন করার মতো মানসম্মত গণপরিবহন দেশে নেই।
সড়কের চাঁদাবাজি, বাড়তি ভাড়া আদায় এবং অনিরাপদ যানবাহন চলাচল বন্ধে সরকারের উদ্যোগ দৃশ্যমান না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঈদযাত্রা নিরাপদ করার জন্য সরকারি উদ্যোগ ঈদ-পূর্ব ঘরমুখী যাত্রায় যতটা সক্রিয় থাকে, ঈদের ফিরতি যাত্রায় ততটা সক্রিয় থাকে না। ফলে ফিরতি যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।
নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে কমপক্ষে তিন বছরের একটি মধ্যমেয়াদি টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে অনুরোধ জানান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় চলছে
ঈদযাত্রায় ঢাকার বিভিন্ন গণপরিবহনে ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় চলছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় ২০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা থেকে সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথে ২২ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার ট্রিপে মানুষের যাতায়াত হতে পারে। এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবেন। এসব যাত্রীর কাছ থেকে ঈদ বকশিশ বা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নামে ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
(এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক রিনা আক্তার তুলি, জয়ন্ত সাহা, জিয়াউদ্দিন রাজু ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মুজাহিদ বিল্লাহ)