ঢাকা ১০ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
English

অপারেশন ডেভিল হান্টসহ সারা দেশে গ্রেপ্তার ১১৪০

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
অপারেশন ডেভিল হান্টসহ সারা দেশে গ্রেপ্তার ১১৪০
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

অপারেশন ডেভিল হান্টে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে ৩৮৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়া অন্যান্য মামলায় ৭৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, গত একদিনে অপারেশন ডেভিল হান্টে ৩৮৯ জন এবং অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টমূলে ৭৫১ জনসহ মোট ১ হাজার ১৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অভিযানে একটি দেশীয় পাইপ গান ও একটি দেশীয় কুড়াল জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

সালমান/

আইন লঙ্ঘন করলেই শাস্তি: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
আইন লঙ্ঘন করলেই শাস্তি: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী

উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের লক্ষ্যে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। 

তিনি বলেন, ‘আইন লঙ্ঘন করলেই শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়েও নিজস্ব নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি করতে হবে।’ 

সোমবার (২৪ মার্চ) ডিএমপি সদর দপ্তরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। 

তিনি বলেন, ‘যেকোনো আইনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, একটা প্রভাব তৈরি করা, যেন মানুষ বুঝতে পারে যে আইন লঙ্ঘন করলেই শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। সড়কে কেউ যদি উল্টোপথে গাড়ি চালায় কিংবা ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালায়, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’

ডিএমপির তৎপরতায় নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের জোর তৎপরতায় রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। পুলিশি তৎপরতায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মতো ঘটনা অনেকাংশে কমে গেছে। সবার সহযোগিতা নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের প্রতিনিধি, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, লঞ্চ শ্রমিক সমিতি, বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, জিএমপি, বিআইডব্লিউটিএ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাস মালিক সমিতি, লঞ্চ মালিক সমিতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা ও সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বিআইএম ট্রেনিং কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন শহিদ ফাইয়াজের মা

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৩ পিএম
আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৫ পিএম
বিআইএম ট্রেনিং কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন শহিদ ফাইয়াজের মা
বিআইএম ট্রেনিং কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ফারহান ফাইয়াজের মা ফারহানা দিবা। ছবি: পিআইডি

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের (বিআইএম) ট্রেনিং কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। বিআইএমের নবনির্মিত ১২তলা ট্রেনিং কমপ্লেক্সটির উদ্বোধন করেন ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ফারহান ফাইয়াজের মা ফারহানা দিবা।

সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর রোডে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মিত এই কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান ও বিআইএম মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) রাশিদুল হাসানসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলী, বিআইএমের ফ্যাকাল্টিজ ও কর্মকর্তারা।

উদ্বোধন পর্বের আলোচনায় উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘বিআইএম নবনির্মিত ট্রেনিং কমপ্লেক্সের মাধ্যমে আমরা যেন প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারি। এমন দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি করতে পারি- যা দেশে তো বটেই, দেশের বাইরেও আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে।’

তিনি বলেন, ‘বিআইএম সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে পারবে।’ 

শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বিআইএম ১৯৬০ সাল থেকে উল্লেখযোগ্য নাম। যেসব বিষয়ে চাহিদা রয়েছে, সেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের জনবলকে বিশ্বমানের করতে হবে। বিআইএম মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা গেলে, বাংলাদেশে আর বিদেশি জনবলের প্রয়োজন হবে না। 

২০২৪ সালের ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফারহান ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। তার স্বপ্ন ছিল নাসায় গবেষণা করার। সে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ছেলে ছিল। আমার ছেলেসহ শহিদরা চেয়েছিল ফ্যাসিবাদমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা হানাহানির বাংলাদেশ চাই না। আমার ছেলেসহ যারা জীবন দিয়েছিল, তারা যেভাবে চেয়েছিল, আমরা সেইভাবে সুন্দর একটা বাংলাদেশ কামনা করছি।’

ঢাকার বিআইএমকে শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ১২তলাবিশিষ্ট ট্রেনিং কমপ্লেক্সের নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৫৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যার মোট ফ্লোরের আয়তন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ বর্গফুট। কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে ২৪টি শ্রেণিকক্ষ, ৩টি সেমি গ্যালারি শ্রেণিকক্ষ, অডিটোরিয়াম, কনফারেন্স হল, সেমিনার হল, মাল্টিপারপাস হল, ওয়ার্কশপ হল ও হোস্টেলসহ প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সুবিধা। সূত্র: বাসস

সালমান/

গাজার শিশুদের স্মরণে ঢাকায় শিশুদের সংহতি সমাবেশ

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম
গাজার শিশুদের স্মরণে ঢাকায় শিশুদের সংহতি সমাবেশ
ছবি: খবরের কাগজ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যার ১৭ হাজারই শিশু। ফিলিস্তিনের সেই শিশুদের আর্তনাদের নানা মুহূর্ত এখন ভাসছে অন্তর্জালে। সেসব মর্মন্তুদ দৃশ্য হৃদয় এফোঁড়-ওফোঁড় করে। তবু স্বাধীন ভূখণ্ড পেতে লড়াই করছে ফিলিস্তিন। 

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সেসব মানুষের সঙ্গে সংহতি জানাতে সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে আয়োজন করা হয় সংহতি সমাবেশ। দৃক পিকচার লাইব্রেরির আয়োজনে এই সমাবেশে শিশু-কিশোর সংগঠন ‘শিশুদের জন্য আমরা’-এর সদস্যরা অংশ নেয়।

মূলত ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধ ও চলমান গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতে আয়োজন করা হয় এই সমাবেশ। সকাল ৯টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে শুরু হয় এই সমাবেশ। সমাবেশে আগত শিশুদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, তাতে ছিল গাজায় নিহত কয়েকজন শিশুর ছবি, সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বার্তাও লেখা ছিল। এ সময় গাজার শিশুদের নিয়ে শিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানে একটি কবিতা শোনান। 

একুশে পদকজয়ী আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, ‘আজকে যেমন বাচ্চারা এই সরোবর মঞ্চে খেলে বেড়াচ্ছে, তেমনি পৃথিবীর সব শিশুর খেলে বেড়ানোর কথা। এমন এক পরিবেশেই তাদের লালনপালন করার কথা আমাদের। কিন্তু ইসরায়েলি আগ্রাসন, যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা এই বাস্তবতা বদলে দিয়েছে।’ 

ফিলিস্তিনের গণহত্যার প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের সমর্থন এবং তাদের মুক্তির জন্য আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে ভবিষ্যতে শিশুরা যখন আমাদের প্রশ্ন করবে, তখন আমরা যেন তাদের সদুত্তর দিতে পারি।’

সিগারেটে তিনটি মূল্যস্তর হলে রাজস্ব বাড়বে, ব্যবহার কমবে

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৯ পিএম
সিগারেটে তিনটি মূল্যস্তর হলে রাজস্ব বাড়বে, ব্যবহার কমবে
জাতীয় প্রেস ক্লাবে তামাক কর ও মূল্য সংক্রান্ত বাজেট প্রস্তাব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রজ্ঞা ও আত্মার কর্মকর্তারা। ছবি: খবরের কাগজ

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের মূল্যস্তর সংখ্যা ৪টি থেকে কমিয়ে ৩টি করার দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স আত্মা।

সোমবার (২৪ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন অর্থবছরের জন্য তামাক কর ও মূল্য সংক্রান্ত বাজেট প্রস্তাব গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরে সংগঠন দুটি।

সিগারেটে ৪টি মূল্যস্তর (নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম) থাকায় তামাক কর ও মূল্য পদক্ষেপ সঠিকভাবে কাজ করে না। নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে দাম বাড়ানো হলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে এবং তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী সিগারেট ব্যবহারে বিশেষভাবে নিরুৎসাহিত হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে তামাক কর ও মূল্য বিষয়ক বাজেট প্রস্তাব সমর্থন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) রিসার্চ ডিরেক্টর এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ‘বর্তমানে ৮০ শতাংশের অধিক সিগারেট ব্যবহারকারী নিম্ন এবং মধ্যমস্তরের সিগারেটের ভোক্তা। এই দুই স্তরকে একত্রিত করে দাম বৃদ্ধি করা হলে রাজস্ব আয় বাড়বে এবং সিগারেটের ব্যবহার কমবে। বর্ধিত রাজস্ব চলমান বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তামাকবিরোধীদের কর ও মূল্য প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে ধূমপান হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে। একইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ৯ লাখ তরুণসহ মোট ১৭ লাখের অধিক মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।

আরিফ সাওন/সুমন/

মুক্তিযুদ্ধ-জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় এগিয়ে যেতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
মুক্তিযুদ্ধ-জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় এগিয়ে যেতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার এগিয়ে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী যে বাংলাদেশ আমরা চেয়েছিলাম, সে বাংলাদেশে পতিত স্বৈরাচারের শাসনামলে মানুষের কোনো মৌলিক অধিকার ছিল না।’

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৪ মার্চ) এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বীরত্বে জাতি স্বৈরাচারের অত্যাচার-নিপীড়নের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকাসহ সারা দেশে বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।’

তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করি সেই কালরাতের শহিদদের। নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞে জাতি আজও শোকাহত।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “একাত্তরের মার্চের দিনগুলোতে বাংলাদেশ যখন আন্দোলনে উত্তাল, তখন ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। সেদিন মধ্যরাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিচালনা করে ঘুমন্ত-নিরস্ত্র মানুষের ওপর ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালায়।”

তিনি আরও বলেন, ‘অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হানাদার বাহিনীর অতর্কিত হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগসহ সারা দেশে শহিদ হন ছাত্র-শিক্ষক, পুলিশ ও সেনা সদস্যসহ হাজারো নিরপরাধ মানুষ। তাদের আত্মদানের পথ ধরেই দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।’

২৫ মার্চের কালরাতের শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি। সূত্র: ইউএনবি

সালমান/