ঢাকা ৮ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
English

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ সংস্কার কমিশনের

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ সংস্কার কমিশনের
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী তাদের প্রতিবেদন জমা দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ৫ ফেব্রুয়ারি হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন। 

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। পাশাপাশি বিষয়টি কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। মোট ১৭ অধ্যায়ের প্রস্তাবের দ্বাদশ অধ্যায়ে রয়েছে অংশটি।

কমিশনের প্রতিবেদনে জনপ্রশাসনে কার্যকারিতার লক্ষ্যে সংস্কারের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে নাগরিক পরিষেবা দেওয়ায় জনপ্রশাসনের ভূমিকা, নাগরিক পরিষেবার কার্যকারিতা, আমলাতান্ত্রিক লালফিতার দৌরাত্ম সম্পর্কে প্রতিবেদনে সুপারিশমালা পেশ করা হয়েছে। 

সুপারিশে আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার বিষয়ে বলা হয়, নাগরিক সেবা দেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনিক পদ্ধতি তথা আমলাতান্ত্রিক বিধিবিধান সহজতর ও ডিজিটাল করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে জনপ্রশাসনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সঠিক নীতি-নির্ধারণের স্বার্থে তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করা এবং নীতি-নির্ধারকদের কাছে তা পেশ করার নীতি চালু করা যেতে পারে বলে সুপারিশে বলা হয়।

এতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার টার্গেট জনগোষ্ঠীর চাহিদা ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হতে হবে। নাগরিকদের বিবিধ সরকারি পরিষেবা দেওয়ার জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করা এবং সেখানে তাদের অভিগম্যতা সহজতর করার উদ্যোগ নিতে হবে। একটি গতিশীল ও কার্যকর পদ্ধতি চালু করতে হবে যাতে নাগরিকদের মতামত দেয়ার সুযোগ থাকে এবং তারা যেন স্বস্তি বোধ করে যে তাদের কথা শোনা হয়।

কার্য সম্পাদনে প্রযুক্তি গ্রহণ ও প্রয়োগ বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়, কার্যবিধিমালা, মন্ত্রণালয়/বিভাগের কর্মবণ্টন ও সচিবালয় নির্দেশমালা পর্যালোচনা করে তা সংশোধন বা বিয়োজন এবং অনলাইনে তা সহজলভ্য করার উদ্যোগ নিতে হবে। 

সুপারিশে বলা হয়, মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোকে ৫টি ক্লাস্টারে ভাগ করা যেতে পারে। সরকারি পরিষেবা সহজতর করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টাল স্থাপন করা। সরকারি পরিষেবা পদ্ধতি গতিশীল করার জন্য ই-গভর্নেন্স কৌশল বাস্তবায়ন করা।

ডিজিটাল টুল ও ডাটা ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের অধিকতর দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ খাতে বেশি বিনিয়োগ করা। নাগরিকদের সেবা দেওয়া ও সম্পদ বরাদ্দের ক্ষেত্রে নারী ও পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠিকে প্রাধান্য দিতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিকরণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

পরিবেশ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়, পরিবেশ ও ইকো-সিস্টেম সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় নীতি-কৌশল নির্ধারণ ও প্রকল্প বা কর্মসূচি প্রণয়নের আগে পরিবেশ সমীক্ষা ও তার প্রভাব সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে হবে। পরিবেশ ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে সম্পাদনের জন্য জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় সরকারকে ক্ষমতায়ন করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও আন্ত-বিভাগীয় সমন্বয়সাধন জোরদার করতে হবে।

এ ছাড়া জলবায় নীতি বিষয়ে সুপারিশ বলা হয়, জাতীয় জলবায়ু পরিবর্তন কৌশলকে সরকারি নীতি-কৌশলের মধ্যে অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টিকে থাকার জন্য প্রকল্প গ্রহণ ও সম্পদ বরাদ্দ করতে হবে। দুর্যোগ মোকাবিলা সংক্রান্ত জাতীয় নীতি-কাঠামো ও দুর্যোগ-পূর্ব সংকেত দেওয়ার ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। 

দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট এনজিওদের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা যেতে পারে বলে সুপারিশে বলা হয়।

জেলা ও উপজেলার সঙ্গে কেন্দ্রের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক স্থাপন বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়, স্থানীয় ই-গভর্নেন্স সিস্টেমের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ওয়েব পোর্টালের এবং মোবাইল সংযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। জনপরিষেবা গ্রহণকারী বিশেষ করে কৃষক, নারী, জেলে ইত্যাদি শ্রেণির নাগরিকরা যাতে সহজে সেবা পেতে পারে সেজন্য সহজগম্য স্থানে সার্ভিস ডেলিভারী পয়েন্ট স্থাপন করতে হবে। 

ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনপরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে হবে বলে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র: বাসস

সুমন/

পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১২:০৬ এএম
পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ধর্মীয় চর্চার অনুশীলনের অংশ হিসেবে প্রতি বছরের মতো এবারও আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এটি আমাদের ধর্মের প্রতি নিষ্ঠা ও একাগ্রতার শিক্ষা দেয়।’

আইজিপি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের প্রশংসা করে বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনের ব্যস্ততার মধ্যেও ধর্মীয় চর্চার প্রতি তাদের আগ্রহ প্রশংসনীয়।’

প্রতিযোগিতার বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

আজান প্রতিযোগিতায়: প্রথম হয়েছেন- র‍্যাব-৮, বরিশালের এএসআই সিরাজুল ইসলাম; দ্বিতীয় হয়েছেন- রাজশাহী মহানগর পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র) মো. ওমর ফারুক এবং তৃতীয় (যৌথভাবে) হয়েছেন- চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের এএসআই (নিরস্ত্র) এম মহিউদ্দিন ও  এপিবিএন-৩ এর শিরোমনি, খুলনার নায়েক আবু মুসা।

কেরাত প্রতিযোগিতায়: প্রথম হয়েছেন- এপিবিএন-৩ এর শিরোমনি, খুলনার নায়েক আবু মুসা; দ্বিতীয় হয়েছেন- পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের নায়েক খান হাসিবুর রহমান; তৃতীয় হয়েছেন- রাজশাহী মহানগর পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র) মো. ওমর ফারুক। 

নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন- এপিবিএন-১১ এর( উত্তরা) কনস্টেবল নাদিয়া নাসরিন নূপুর। রচনা প্রতিযোগিতায় (‘ইসলাম ও নাগরিকের অধিকার’ বিষয়ক): প্রথম হয়েছেন- পুলিশ সদরদপ্তরে এএসআই (নিরস্ত্র) মো. মারুফুল ইসলাম; দ্বিতীয় (যৌথভাবে) হয়েছেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের কনস্টেবল মেহেদী হাসান ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের উচ্চমান সহকারী শেখ রেজাউল কবীর; তৃতীয় হয়েছেন- এপিবিএন-৩ এর শিরোমনি, খুলনার কনস্টেবল মো. ইনামুল হাসান।

অনুষ্ঠানের শেষে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন আইজিপি। বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে বাছাইকৃত প্রতিযোগিরা চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। আয়োজনে বিজয়ীদের আজান ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. মতিউর রহমান শেখ। অনুষ্ঠানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য ও মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ জাহাঙ্গীর/এমএ/

ব্যাংককে ইউনূস-মোদি বৈঠক নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি নয়াদিল্লি

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম
ব্যাংককে ইউনূস-মোদি বৈঠক নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি নয়াদিল্লি
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক আয়োজনের উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ঢাকা।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআই এ তথ্য জানিয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এএনআইকে বলেন, ‘বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আমাদের দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ করেছি।’

কিন্তু ওই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে সাইডলাইনে কোনো বৈঠক হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি নয়াদিল্লি। ওই বৈঠক নিয়ে এক ধরনের দ্বিধায় রয়েছে মোদি প্রশাসন।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে ভারতের রাজধানীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বলেছেন, ‘যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা আপনারা জানতে চাইছেন, সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমার কাছে শেয়ার করার মতো কোনো আপডেট নেই।’

আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংককে বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর জোট বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এখনই দুই দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক করাটা ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে ভারত সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে স্পষ্টতই দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকেও ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক আয়োজনের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ভারত তাতে সাড়া দেয়নি এবং সেই বৈঠকও হয়নি। দুই নেতার মধ্যে অবশ্য মাঝে টেলিফোনে সরাসরি কথাবার্তা হয়েছে।

সর্বোচ্চ পর্যায়ে মুখোমুখি বৈঠক না হলেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর একাধিকবার বৈঠকে বসেছেন। নিউইয়র্কে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বৈঠক হয়েছে ওমানের রাজধানী মাস্কটেও। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি গত ডিসেম্বরে ঢাকায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন তার প্রতিপক্ষ জসীমউদ্দিনের সঙ্গেও।

সাউথ ব্লকের সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে আনন্দবাজার জানিয়েছে, ‘এখন পর্যন্ত এই বৈঠক হওয়া খুবই কঠিন বলে মনে হচ্ছে। তবে এখনো দুই সপ্তাহ বাকি। এর মধ্যে অনেক কিছু ঘটতে পারে। এখনই চূড়ান্ত কথা বলা যাচ্ছে না।’

মালয়েশিয়ায় ৫১ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:২২ পিএম
মালয়েশিয়ায় ৫১ বাংলাদেশি আটক
ছবি: সংগৃহীত

ভুয়া কাগজপত্র ও কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ৫১ জন বাংলাদেশিকে প্রবেশ করতে দেয়নি মালয়েশিয়া। গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দেশটির কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হোটেল বুকিংয়ের নকল কাগজ ও ইমিগ্রেশন ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের আটক করে কর্তৃপক্ষ। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার এ খবর জানিয়েছে।

মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা সংস্থা (একেপিএস) জানিয়েছে, বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের মধ্য থেকে এলোমেলোভাবে ৬৭ জনকে তল্লাশি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। তার মধ্যে ৫১ জনই কোনো না কোনো অপরাধ করেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তাদের চোখ এড়ানোর আশায় এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছিল।

একেপিএস আরও বলেন, কয়েকজন তো ইমিগ্রেশন ফাঁকি দিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগের চেষ্টা করে। ফলে তাদের মালয়েশিয়ায় আগমনের আসল কারণ নিয়ে শঙ্কায় পড়ে যায় কর্তৃপক্ষ।

ইমিগ্রেশন অফিসারদের থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাও করেছেন কয়েকজন। অবশ্য তাদের ধরা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিদের কাছে বিভিন্ন রকম ভুয়া কাগজপত্র পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে একেপিএস। মালয়েশিয়ায় আগমনের সঠিক উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করতেও তারা ব্যর্থ হয়েছে।

একেপিএসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আটক ব্যক্তিদের অনেকে স্বীকার করেছেন, তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল একটি চাকরি জোটানোর চেষ্টা করা।

পরবর্তী ফ্লাইটে আটক ৫১ ব্যক্তিকে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে একেপিএস।

মাহফুজ/

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:১০ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজায় ট্রাম্পের মদদে ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও ভারতে মুসলমানদের নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর। ছবি: খবরের কাগজ

গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) বাদ জুমা অবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধের দাবিতে পৃথকভাবে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে দল ও সংগঠনগুলো। এ ছাড়া বিবৃতিতে হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।

মিছিল থেকে জাতিসংঘ, আবর লিগ, ওআইসি, কমনওয়েলথসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ফিলিস্তিনে গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

বিশ্ব সম্পদ্রায়কে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান বিএনপির
গাজা উপত্যকায় নির্মম হত্যা ও রক্তপাত বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের সম্প্রসারণবাদী আগ্রাসন বন্ধ করে সেখানে জনগণের জানমালের নিরাপত্তাসহ শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বিশ্বসম্প্রদায়কে আরও বেশি সোচ্চার হতে হবে।’ গাজায় ইসরায়েল সেনাদের হামলায় অসংখ্য ফিলিস্তিনি জনগণ ও শিশু হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব। 

জাতিসংঘ থেকে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে
বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে আমরা জাতিসংঘের কাছ থেকে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানাচ্ছি। মুসলিম রাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠনগুলো ফিলিস্তিন রক্ষায় এগিয়ে আসুন।’ 

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের পাশাপাশি ভারতেও মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। আওরঙ্গজেবের সমাধিতে ভারত যদি কোনো আঘাত করে, তাহলে এ দেশের মানুষ তা মেনে নেবেন না। ভারত ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং পাসপোর্টে আবার এক্সেপ্ট ইসরায়েল শব্দ পুনর্বহাল করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের মদদে ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে
খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের মদদে ইসরায়েল যুগের পর যুগ ধরে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক বিশ্ব ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধে বাধ্য করতে ব্যর্থ হয়েছে। গণহত্যার দায়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করতে জাতিসংঘের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’ উদ্বাস্তুদের মানবিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আহমদ আলী কাসেমী। খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম।

ইসরায়েল হামলায় সরকারের প্রতিবাদ দায়সারা 
ইসরায়েল সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনজুড়ে যে বর্বর হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করছে, তার প্রতিবাদে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ‘দায়সারা’ বিবৃতি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রিন্স বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল অত্যন্ত কড়া ভাষায় এই হামলার প্রতিবাদ করা। কিন্তু কার্যত সেটি হয়েছে অত্যন্ত দায়সারা প্রকৃতির।’ সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরীও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

খনিজ সম্পদ দখলে ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে আমেরিকা
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশ করে দলটি। এতে বক্তব্য রাখেন দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জান রতন, সদস্য জুলফিকার আলী ও নগর কমিটি সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন। সমাবেশে বাসদ নেতারা বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও খনিজসম্পদের দখল এবং ওই অঞ্চলে সামরিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা। সে জন্য অস্ত্র-অর্থসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে দেশটি।

এই সংকট গোটা ইসলামি বিশ্বের
ফিলিস্তিনের সংকট কেবল ফিলিস্তিনের জনগণের সংকট নয়, এটা গোটা ইসলামি বিশ্বের সংকট। তাই বিশ্বের সব মুসলমানকে এই সংকট নিরসনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আন্তর্জাতিক আল-কুদস দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কুদস ও ফিলিস্তিনের মুক্তি: অব্যাহত প্রতিরোধের অনিবার্যতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আল-কুদস কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাকিব মুহাম্মাদ নাসরুল্লাহ, বিশেষ অতিথি ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহ কাউছার মুস্তাফা আবুলউলায়ী।

ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
চট্টগ্রাম: ফিলিস্তিনের গাজায় ট্রাম্পের মদদে ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও ভারতে মুসলমানদের নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর। সমাবেশে ইসরায়েলের পণ্য বয়কট করার আহ্বান জানান হেফাজত নেতারা। বাদ জুমা আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের উত্তর গেটে সমাবেশটি হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের নায়েব আমির মাওলানা আলী ওসমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাসির উদ্দিন মনির, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা সায়েমউল্লাহ, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কামরুল ইসলাম, সহ-অর্থ সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল প্রমুখ। এ ছাড়া একই দাবিতে মিরসরাই উপজেলায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
যশোর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি বিক্ষোভ মিছিল করে। দুপুরে শহরের রেলগেট মডেল মসজিদ থেকে মিছিল শুরু হয়ে দড়াটানা ভৈরব চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘পশ্চিমা মানবতাবাদীরা সব জায়গায় মানবতার ফাঁকা বুলি ওড়ান। অথচ ফিলিস্তিনের বেলায় তাদের মানবতা কাজ করে না।’ বিশ্বের সব দেশকে তাদের নীরবতা ভেঙে মজলুম ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

নোয়াখালী: বাদ জুমা জেলার জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন? জাতিসংঘ জবাব দে’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’, ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও লড়াই করো’, ‘বদরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেক বার’, ‘গাজায় হামলা কেন? স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলেন। মিছিলে অংশ নেন শিবিরের কেন্দ্রীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক হাফেজ আবু মূসা, নোয়াখালী শহর সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম, নোয়াখালী জেলা (উত্তর) সভাপতি মো. দাউদ ইসলাম, জেলা (দক্ষিণ) সভাপতি মো. সাইফুর রসূল ফুয়াদ প্রমুখ।

লক্ষ্মীপুর: ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রশিবির। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাসির উদ্দিন মাহমুদ, শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আবুল ফারাহ নিশান, শহর শিবিরের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, সেক্রেটারি আবদুল আউয়াল হামদু প্রমুখ।

মাদারীপুর: শান্তিচুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নারী ও শিশুসহ নিরীহ নিরস্ত্র মুসলিম হত্যা ও ভারতের নাগপুরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন শিবচর উপজেলা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েল ও ভারতকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন ও মুসলিমদের ওপর হামলা এবং নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানান। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিবচর শাখার সভাপতি মাওলানা জাফর আহমেদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মোল্লা, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ ছাত্ররা।

নাটোর: ইসরায়েল বাহিনীর চলমান গণহত্যা এবং ভারতের নাগপুরে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে নাটোরে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম নাটোর ও সিংড়া উপজেলা এবং লালপুর উপজেলা। মিছিলে অংশ নেন সিংড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি জাকারিয়া মাসউদ, পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা সাদরুল উল্লাহ, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আফছার আলী, হেফাজতে ইসলামের অর্থ সম্পাদক মুফতি রুহুল আমিন প্রমুখ।
এ ছাড়া ফিলিস্তিনে ইসরায়লে গণহত্যার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জ ও পিরোজপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মাহফুজ/

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে সুষ্ঠুভাবে উত্তরণ নিশ্চিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে জাতীয় সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০২৬ সালের নভেম্বরে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের বিভিন্ন দিক এবং পরবর্তী সময়ে এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তিনি এ কথা বলেন।

২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের অভিমত সম্পর্কে তিনি প্রশ্ন তোলেন যে বেসরকারি খাত কেন বছরের পর বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে নীরব ছিল এবং জোরালো কোনো আওয়াজ তোলেনি?

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা যদি তাদের (বেসরকারি খাত) সঙ্গে একমত হই, তাহলে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো আবার ঘুমিয়ে পড়বে। উত্তরণ বিলম্বিত করা মোটেও সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। তাদের এটি মেনে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের তিনটি মানদণ্ডেই উত্তীর্ণ হয়েছে। যদিও এটি একটি ভিন্ন যুক্তি যে সেগুলো সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নাকি ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে।
 
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অনিয়মের কারণে সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আমাদের টিমের সদস্যরা আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ আশা করি আমরা দেশের জন্য একটি কল্যাণকর পরিস্থিতিতে পৌঁছাতে সক্ষম হব।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যদিও সব সংস্কার করা সম্ভব নয়, তবে অবশ্যই কিছু বাস্তবায়ন করা হবে। বাকিগুলো গতিশীলভাবে এগিয়ে যাবে।’

এদিকে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশসহ অনেকেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়া কয়েক বছর পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে। 

তারা যুক্তি দিচ্ছেন, অর্থনীতির ক্ষেত্রে করোনা মহামারির তীব্র প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কয়েক বছর ধরে বিদ্যমান উচ্চ বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলার জন্য সময়ের প্রয়োজন।

মাহফুজ/