
আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ নয়, রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুকে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এটাই তার ব্যক্তিগত অবস্থান জানিয়ে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘এখন সেটা করার প্রসেস কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে এমন নজির আছে। আমার চোখের সামনে ওদের গুলিতে ভাইদের শহিদ হতে দেখেছি। গুমের শিকার হয়েছি, মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছি। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পুনর্বাসনের চিন্তাও আসা অসম্ভব। বিস্তারিত না বলায় আমিও ঠিকভাবে বোঝাতে পারিনি। কিছু কিছু মিডিয়াতেও বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়নি। বিচারের পূর্বে এই প্রশ্নই অবান্তর।’
তিনি আরও লেখেন, ‘তবে এই প্রশ্নের একটা স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে হবে, তা যদি না হয় তবে আজ বা কাল আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে। আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল, তাতে কি জামায়াতের রাজনীতি করা আটকাতে পেরেছে? এটা যদি ইন্টিগ্রেটেড প্রসেসের মধ্য দিয়ে না হয়, তাহলে সম্ভব হবে কি না, প্রশ্ন থেকে যায়। গত ১৬ বছরে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত না হয়েও আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীর সংখ্যা অনেক।’
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা লেখেন, ‘অনেকেই বলছেন অন্যায় না করলে ক্ষমা চাইবে কেন? অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেকোনো ফরম্যাটে জড়িত থাকার কারণে, সুবিধাভোগী হিসেবেই ক্ষমা চাইতে হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে স্বচ্ছ ও উন্মুক্তভাবে এবং ধাপে ধাপে। নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে লিগ্যালি এবং সোশ্যালি (ট্রুথ কমিশন কিংবা বিশ্বের যেসব স্থানে এমন নজির আছে তাদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে) আওয়ামী লীগকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ থেকে নির্মূল করতে হবে।’