
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেল দিনাজপুরের পার্বতীপুরে কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। চার দিনের ব্যবধানে চালু থাকা দুটি ইউনিটের বয়লারের পাইপে ছিদ্র (লিকেজ) দেখা দেয়। এতে একটি গত শনিবার এবং অপরটি গতকাল মঙ্গলবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে অপর একটি ইউনিট থেকে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক।
জানা গেছে, বড়পুকুরিয়ার কয়লা ব্যবহার করে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে আসছে। তিনটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিট মিলে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ২৫০ মেগাওয়াট। ৩ নম্বর ইউনিট ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতাসম্পন্ন।
এর মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। সচল ছিল ১ নম্বর ও ৩ নম্বর ইউনিট। এই দুই ইউনিট থেকে প্রায় ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হতো। তবে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গত শনিবার ৩ নম্বর ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। চালু ছিল শুধু ১ নম্বর ইউনিট। সেই ইউনিটে বয়লারে ছিদ্র হওয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। এতে উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের শঙ্কা রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রথম ইউনিটের বয়লারের টিউব ফেটে যাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। প্রায় ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বয়লারটি ঠাণ্ডা হলে মেরামতকাজ শুরু হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে উৎপাদনে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।’ রমজানের আগেই ৩ নম্বর ইউনিটও চালু করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।