
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার মায়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছাকৃত, নিরাপদ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তন চান জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। তিনি বলেছেন, প্রত্যাবর্তনই এই সংকটের প্রাথমিক সমাধান। রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ইউএনএইচসিআর প্রতিশ্রুতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশে চার দিনের সফরে আসেন তিনি।
সফর শেষে বুধবার (৫ মার্চ) ইউএনএইচসিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হলো।
ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট শুরুর সময় থেকেই বাংলাদেশ অসাধারণ আশ্রয়দাতা হিসেবে কাজ করছে এবং স্থানীয়রাও তাদের সামান্য সম্পদ শরণার্থীদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের নিজ এলাকায় ফিরে যাওয়া এবং বসবাসকারী সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার ও সমর্থন করা দরকার।’ কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে গ্র্যান্ডি বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য টেকসই আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গাদের ভুলে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সমর্থন নাটকীয়ভাবে কমে গেলে বাংলাদেশ সরকার, সাহায্য সংস্থা এবং রোহিঙ্গাদের বিপুল কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হাজার হাজার লোক ক্ষুধা, রোগ এবং নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে পড়বে। সফরকালে তিনি মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতা থেকে সম্প্রতি পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও কথা বলেন। গ্র্যান্ডি তার সফর নিয়ে এক্সে এক পোস্টে লেখেন, ‘মানবিক সহায়তার জীবন রক্ষাকারী ভূমিকা কক্সবাজার ক্যাম্পের চেয়ে কোথাও বেশি নেই।’