ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী আগামী মে মাসের মাঝামাঝিতে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে পরামর্শ করে ঘোষণা করবে নির্বাচনের দিনক্ষণ। তবে সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠন এবং নির্বাচন আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য অংশীজনদের ঐকমত্যে আসাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, বিগত সময়ে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা স্বার্থের কারণে সব পক্ষের সহযোগিতার অভাবে আলোর মুখ দেখেনি নির্বাচন। ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না খবরের কাগজকে বলেন, নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ অন্য ছাত্র সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ঐকমত্যে আসতে হবে। অন্যথায় নির্বাচন আয়োজনে চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা খবরের কাগজকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে ভিন্নমত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা ডিসেম্বর থেকে নির্বাচন নিয়ে কাজ করে চলেছি। আজকে যে টাইমলাইন দেওয়া হয়েছে, এটির মাধ্যমে আমরা একটি ধারণা দিতে চেয়েছি যে, আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে কী কী কাজ করা হয়েছে এবং কী কী করতে হবে সেটি জানিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে একাধিক সময়ে আমরা আলোচনা করেছি এবং যে মতপার্থক্য পেয়েছি, সেসব আমরা অবশ্যই আমলে নেব। তা ছাড়া অংশীজনরা সবাই সব বিষয়ে একমত হবে বিষয়টি তেমনও না। এটি আমাদের একটি প্রশাসনিক দায়িত্ব, আমরা চেষ্টা করব আমাদের যে অংশীজন রয়েছে তাদের মতামতগুলোকে সমন্বয় করে কাজটি কীভাবে শেষ করা যায়।’
গত বছরের ৫ আগস্টে দেশের পটপরিবর্তনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদগুলোতেও পরিবর্তন আসে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা পদ ছাড়েন। কোথাও কোথাও বাধ্য করা হয় পদত্যাগে। তৎকালীন সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম এবং জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার কারণে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। তবে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ না হলেও ছাত্রলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতির পরিবরর্তে কার্যকর ছাত্র সংসদের দাবি জোরালো হয়। বিশেষ করে সাধারণ ছাত্ররা লেজুড়বৃত্তি রাজনীতির পরিবর্তে কার্যকর ছাত্র সংসদ দেখতে চান। তবে এ নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে ভিন্নমত দেখা যায়। ফলে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এর মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়েও বেশ কয়েকটি তারিখ সামনে আসে। তবে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার একটি তালিকা দিয়েছে।
সেই তথ্য অনুযায়ী, অংশীজনদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা, ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির ৬টি সভা, ডাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি রিভিউ কমিটির সাতটি সভা এবং পরামর্শ কমিটির ৯টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্র সংগঠনগুলোর মতামতও নেওয়া হয়েছে। প্রভোস্ট, ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালকের লিখিত মতামত চলতি মাসের মধ্যে শেষ করা হবে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হবে। আর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ডাকসু নির্বাচন ছিল চরম মাত্রার অধারাবাহিক। কারণ নির্বাচিত সরকারের ছাত্র সংগঠনের পরাজয়ের আশঙ্কায় নির্বাচন বিলম্বিত করত বা আয়োজনে সায় দিত না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মাত্র ৫-৬ বার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। ডাকসু নির্বাচন সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে। তার আগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। নির্বাচনকে ‘ক্যালেন্ডার ইভেন্ট তথা বছরের নির্দিষ্ট দিনে নিয়মিত নির্বাচন’ করার কথা বলা হলেও বাস্তবে সেটি হয়নি। সর্বশেষ নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুরের কাছে পরাজিত হন। এই নির্বাচনের পরে আরও ৫ বছর ক্ষমতায় থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকার ডাকসু বা ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কোনো পদক্ষেপে সায় দেয়নি।
ইদানীং দেখা যাচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভিন্নমত হয় ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনের তফসিল ছাত্রদলের বাধার কারণে ঘোষণা করা যায়নি। ফলে নির্বাচন হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
যা ভাবছে ছাত্র সংগঠনগুলো
ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ডাকসু নির্বাচনের যে টাইমলাইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রকাশ করেছে তা ডাকসু ও হল সংসদগুলোর গঠনতন্ত্র সংশোধন ও নির্বাচন অনুষ্ঠানসংক্রান্ত আলোচনার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছভাবে সবার সামনে তুলে ধরেছে, যা আপাতদৃষ্টিতে ইতিবাচক মনে হয়েছে। কিন্তু সংস্কার প্রক্রিয়া ও সংস্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং নির্বাচনের আচরণবিধি নির্ধারণের নানা বিষয়ে এখনো অস্বচ্ছতা বিদ্যমান রয়েছে। কীসের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তগুলো চূড়ান্ত করা হয়েছে সেটি নিয়েও মতপ্রকাশের বিষয় আছে। না হয় এসব বিষয় নিয়ে পরবর্তী সময়ে জটিলতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সম্ভাবনাও প্রকট হয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় যেসব পদক্ষেপের কথা টাইমলাইনে লেখা আছে সেসব উল্লিখিত সময়ানুযায়ী বাস্তবায়ন করা ক্যাম্পাস ও জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে কতটুকু বাস্তবিক সেটাও অস্পষ্ট। ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনসংক্রান্ত সব বিষয়ে অত্যন্ত আগ্রহী ও উৎসুক নজর রাখছে এবং দায়িত্বশীল উপায়ে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দেখানোর চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টের প্রতি আন্তরিক থেকে সব অংশীজনের ভূমিকা রাখা উচিত।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, ‘যে টাইমলাইন দেওয়া হয়েছে, এখানে দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে। যেসব এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব, সেখানে অনেক সময় নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন অংশীজনের প্রয়োজনীয় মিটিং সম্পন্ন হলেও এখন পর্যন্ত ডাকসু গঠনতন্ত্রের চূড়ান্ত কপি প্রকাশ করা হয়নি। নির্বাচন কমিশন গঠন ও ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণে আন্তরিকতা থাকলে মে মাস পর্যন্ত সময় লাগার কথা নয়। ডাকসু নির্বাচন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অসমাপ্ত প্রতিটি কাজের জন্য সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। আমরা চাই, যে কাজগুলো বাকি রয়েছে সেগুলোর সময়সীমা কমিয়ে এনে ডাকসু নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হোক।’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কথা হলে তখন জানানো হয়, ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরে সেটি নিয়ে কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি। মার্চের দিকে আমরা সংবাদ সম্মেলন করে দেখা করি, সেই সময়ে মার্চের ২২ তারিখে একটা সম্ভাবনার কথা বললেও সেটির কথাও তারা রাখেনি।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ঢাবি প্রশাসনের উচিত ছিল ডাকসু নিয়ে অনেক সচেতন হওয়া। শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচন কমিশন গঠন এটি এক সপ্তাহের কাজ। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। অবিলম্বে শিক্ষার্থীরা যেন বৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেন, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্যোগ নেবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রোডম্যাপ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের প্রকাশ পাচ্ছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষাঙ্গন নিশ্চিতের জন্য ডাকসু নির্বাচন অত্যাবশ্যক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণা করেছে। আমরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আমরা চাই শিক্ষার্থী, ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসহ অংশীজনদের নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হোক। আশু এই নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নে সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, ‘আমরা মনে করেছি ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে। কিন্তু এখানে প্রশাসনের আন্তরিকতার অভাব আমরা দেখতে পেয়েছি। একই সঙ্গে ছাত্র সংগঠনগুলোর মতামত নেওয়ার বিষয়টি তারা খুব একটা আগের প্রশাসনের মতোই আমলে নেননি। এখন তারা যে টাইমলাইন দিয়েছেন, এটিকে অবশ্যই আমরা সাধুবাদ জানাই।’ কিন্তু এখন পর্যন্ত কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব ছাত্র সংগঠনের গণতান্ত্রিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি এবং কোনো উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো দেখছি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের নাম দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো হলগুলোতে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। এখন যদি এই ছাত্র সংগঠনগুলো হলগুলোতে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে, তাহলে ডাকসু আয়োজনের মূল লক্ষ্য সেটি কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে টাইমলাইন দিয়েছে যদি তাদের সে আন্তরিকতাটুকু থাকে তাহলে তারা অবশ্যই সব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক সংস্থা নিশ্চিতে যে প্রক্রিয়া সেটি তারা শুরু করবেন। তবে তারা এখন কতটুকু করবে সেটি নিয়ে আমরা সন্দিহান।’
ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক বলেন, ‘ডাকসুর জন্য আমরা অনেক লড়াই করে এসেছি। তাছাড়া এখনকার পরিস্থিতি আর সেই সময়ের পরিস্থিতি এক না। ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইন নিয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট দেইনি, বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সময় আমরা আমাদের মত জানাব।’
দ্রুত ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে।’ কেননা তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন দুই-একদিনের মধ্যে এটি করবেন, সেটি করবেন। কিন্তু সেই কাজটি করতে তারা ২-৩ মাস পর্যন্ত নেন। এখনে অবশ্যই তাদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়, সেই সঙ্গে পেছন থেকে কেউ কলকাঠি নাড়ছেন কি না, সেটি নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়।
টাইমলাইন নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মে মাসের মাঝামাঝিতে ডাকসু নির্বাচনের জন্য কমিশন গঠন করা হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা মে মাসের মধ্যেই ডাকসু নির্বাচন চান। মে মাসের মাঝামাঝিতে নির্বাচন কমিশন গঠন হলে সেটি সম্ভব হবে না। আমরা প্রশাসনকে আহ্বান জানাব শিক্ষার্থীদের চোখের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন, নির্বাচন কমিশন এপ্রিল মাসের মধ্যে গঠন করে শিক্ষার্থীদের দাবির আলোকে মে মাসের মধ্যেই নির্বাচন করার উদ্যোগ নিক। এখন তারা যে, ডাকসু নিয়ে স্টেপের কথা বলেছেন, সেগুলো যদি তারা পূরণ না করেন অবশ্যই আমরা আমাদের জায়গা থেকে যতটুক পারা যায় প্রতিবাদ জানাব।’