ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তায় সব করবে জাতিসংঘ: গুতেরেস

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তায় সব করবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব করবে জাতিসংঘ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, মায়ানমারের নিরাপত্তার নিশ্চিতের দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।

এর আগে দুপুর ১২টা ৪৮ মিনিটে বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি চার্টার্ড ফ্লাইট কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস বিভাগ থেকে জানানো হয়, জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার বিমানবন্দরে নেমে বেশ কিছু অনুষ্ঠানিকতা সেরে উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। বেলা ২টা ১০ মিনিটের দিকে রোাহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিবের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন। এসব অনুষ্ঠান শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব উখিয়ায় প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

এমএ/

আবহাওয়ার পূর্বাভাস: ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে আজ যেসব অঞ্চলে

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
আবহাওয়ার পূর্বাভাস: ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে আজ যেসব অঞ্চলে
ছবি: খবরের কাগজ

সারা দেশের কিছু কিছুজায়গায় আজ অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

সুমন/

আগারগাঁও-উত্তরায় ৪০০ অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করল ডিএনসিসি

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
আগারগাঁও-উত্তরায় ৪০০ অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করল ডিএনসিসি
আগারগাঁও-উত্তরায় ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করতে দুটি পৃথক অভিযানে প্রায় ৪০০ অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর আগারগাঁও-উত্তরায় ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করতে দুটি পৃথক অভিযানে প্রায় ৪০০ অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়। 

আগারগাঁও শেরেবাংলা নগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলাম।

অভিযানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের ১ নম্বর গেটসংলগ্ন রাস্তার পশ্চিম দিকে মিরপুর সড়কের উভয় পাশের প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এর ফলে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত হয়েছে। অভিযানে উচ্ছেদ করা দোকানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন খাবারের হোটেল, টং দোকান, হকারদের বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান।

এ ছাড়া রাজধানীর উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির অঞ্চল-১-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছাদেকুর রহমান এবং ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম।

অভিযানে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর সুইস গেট থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত রানাভোলা সড়কে অবৈধভাবে গড়ে তোলা দুই শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদের ফলে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত হয়েছে। উচ্ছেদ করা দোকানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন খাবারের হোটেল, টং দোকান, বাঁশের আড়ত, নার্সারি, হকারদের বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বলেন, ‘ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নগরবাসীর সঙ্গে গণশুনানিতে অংশ নিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, পহেলা বৈশাখের পর ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করতে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে। রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে এই অভিযান চলমান থাকবে।

বৃষ্টিতে স্বস্তি, যানজটে নাকাল রাজধানী

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৭ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
বৃষ্টিতে স্বস্তি, যানজটে নাকাল রাজধানী
বৃষ্টিতে রাজধানীতে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

ভ্যাপসা গরমের মধ্যে অবশেষে নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতে শুরু করে। এরপর ঝোড়ো হাওয়া উড়িয়ে নামে তুমুল বৃষ্টি। তীব্র গরমের পর বৈশাখের প্রথম বৃষ্টিতে নগরজীবনে এসেছে প্রশান্তি। তবে নগরবাসী পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেননি এ বৃষ্টি। যারা কর্মব্যস্ততার কারণে ঘরের বাইরে বেরিয়েছিলেন, তাদের যানজটের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচির কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। 

আকাশ ভেঙে বৃষ্টি এল 

তখন ঘড়ির কাঁটায় বেলা আড়াইটা। রাজধানীর হাতিরঝিলসংলগ্ন কুনিপাড়া এলাকায় তখন তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রাঙ্গণে শ্রমিকদের দল বেঁধে ভিজতে দেখা গেল এ সময়। একটু দূরেই ভারী শিল্প এলাকায় শ্রমিকরাও সড়কে নেমে আসেন। এদের একজন বলেন, ‘অনেক গরম গেল কয়টা দিন। এ বৃষ্টিটার জন্য ওয়েট করতে ছিলাম। কী যে শান্তি লাগতেসে।’

মগবাজারের আমবাগান এলাকার একটি গলিতে শিশু-কিশোরদের দল বৃষ্টির মধ্যে মেতে ওঠে খেলায়। মধুবাগ মাঠে ফুটবল নিয়ে নেমে পড়ে দস্যি ছেলের দল। হাতিরঝিলের পার্কে বসে থাকা ভবঘুরের দলও ভিজেছিল আনমনে। মগবাজার মোড় থেকে মৌচাক যাচ্ছিলেন শ্রাবণী হালদার। তুমুল বৃষ্টিতে রিকশা পাচ্ছিলেন না, মিনিট ১৫ অপেক্ষা করার পর একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা পেয়ে যান তিনি। তারপর রিকশার হুড খুলে  রওনা হন গন্তব্যে। 

তীব্র যানজটে নাকাল

তবে এই বৃষ্টিবিলাস সব নগরবাসীর ভাগ্যে সয়নি। বুধবার বেলা ১১টা থেকে সাতরাস্তায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচি চলে রাত পর্যন্ত। পুরো সময় রাজধানীর মহাখালী থেকে মগবাজার পর্যন্ত শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ সড়ক ছিল স্থবির। এ সড়কটির আশপাশে তেজগাঁওয়ের লাভ রোড, নাবিস্কো, দক্ষিণ বেগুনবাড়িসহ পুরো হাতিরঝিলে যানজট পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে। শুধু তা-ই নয়, এ এলাকার যানজটের প্রভাব পড়ে ধানমন্ডির মিরপুর রোড, শাহবাগ, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, রামপুরা-বাড্ডার প্রগতি সরণিতে। যানজট ছড়িয়ে পড়ে গুলিস্তান, মতিঝিল এলাকাতেও। 

বুধবার বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর রামপুরা থেকে ধানমন্ডি যাচ্ছিলেন মোস্তাকিম ভূঁইয়া। পেশায় ব্যবসায়ী এই মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি এক ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে ছিলেন হাতিরঝিলেই। তিনি বলেন, ‘চক্রাকার বাসে কোনোভাবে মহানগর আবাসিক এলাকা পার হতেই জ্যাম শুরু হলো। মধুবাগ ব্রিজ থেকে এফডিসি মোড় আসতে সোয়া এক ঘণ্টা সময় লেগেছে। বাস থেকে নেমে যাব সে উপায়ও নেই।’

বুধবার সকালে অবরোধের পর মগবাজার-সাতরাস্তা ফ্লাইওভারেও অনেক যানবাহন আটকে থাকে। সাতরাস্তা মোড়ে বলাকা পরিবহনের চালক টিটু মিয়া বলেন, ‘সকালে সাতরাস্তা মোড়ে আইস্যাই দেখি অবরোধ শুরু হইসে। আর আগাইতে পারি নাই। আমার হেল্পার আর আমি বাস নিয়া বইস্যা আছি। সারা দিনে অন্তত তিনটা ট্রিপ মারতে পারতাম। আজ এক ট্রিপও হইল না। মহাজনরে জমাটা দিমু কী আর নিজে খামু কী?’

সংগীতশিল্পী নির্ঝর চৌধুরী বলেন, ‘বুধবার বেলা ৩টায় বনশ্রীর একটি রেকর্ডিং স্টুডিওতে আমার গান রেকর্ড করার কথা। কিন্তু যেতেই পারলাম না। আটকে রইলাম ধানমন্ডি।’ শফিকুল ইসলাম গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে দৈনিক বাংলা মোড় থেকে কারওয়ান বাজার যাচ্ছিলেন। বৃষ্টিতে ভিজে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাসের অপেক্ষায়। কোনো বাসে উঠতে না পেরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার খোঁজ করেন। উপায়ান্তর না পেয়ে পরে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই তিনি রওনা হন। কিন্তু পরীবাগ মোড়ে এসে তিনি আটকে যান যানজটে। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় যানজট বসে থেকে আবারও হাঁটতে শুরু করেন শফিকুল। ঢাকার আকাশ তখন প্রবল বৃষ্টি ঝরাচ্ছে। 

বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যায়। যানজটে এমনিতেই গতিসীমা ছিল কম, জলাবদ্ধতায় সড়কে নেমে আসে স্থবিরতা। মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক, মোহাম্মদপুরের বছিলা চৌরাস্তা, মালিবাগ রেলগেট এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। পুরান ঢাকার অলিগলিতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে । 

একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান তুর্য বলেন, ‘মালিবাগের চৌধুরীপাড়া থেকে দুই ঘণ্টায়ও আমি লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাসায় ফিরতে পারিনি।’

গঙ্গাচড়ায় চীনা অর্থায়নে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এলাকা পরিদর্শন

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২২ এএম
গঙ্গাচড়ায় চীনা অর্থায়নে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এলাকা পরিদর্শন
ছবি: বাসস থেকে

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় চীনা অর্থায়নে প্রস্তাবিত হাসপাতাল নির্মাণের জন্য সম্ভাব্য স্থান নির্বাচন করতে তিস্তার তীরবর্তী চর এলাকা পরিদর্শন করেছেন হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বে নিযুক্ত দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। 

হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বে নিযুক্ত দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হলেন- বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. শহীদুর রহমান খন্দকার ও সাবেক সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট ইকোনমিস্ট ফরহাদ আহমেদ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল ও গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধার সঙ্গে এই দুই কর্মকর্তা মঙ্গলবার গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মহিপুর মৌজার চর কলাগাছি এলাকা পরিদর্শন করেন।

এ সময় পরিদর্শনকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাদী ও এলাকার সাধারণ মানুষ।

চর কলাগাছি এলাকায় ১০০ একর খাস জমির মধ্যে প্রস্তাবিত হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ২০ একর জমি পরিদর্শন করেছেন কর্মকর্তাগণ ।

প্রাথমিক পরিদর্শনের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজমিন পরিদর্শন শেষে আন্তর্জাতিক মানের এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের জন্য সর্বোত্তম ও উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করবে।

বাসস-এর সাথে আলাপকালে গঙ্গাচড়ার ইউএনও মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবিত চীনা অর্থায়নে নির্মিতব্য মৈত্রী হাসপাতালটির জন্য তিস্তা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছে।

ইউএনও বলেন,‘ গঙ্গাচড়ায় একটি আধুনিক হাসপাতাল  তৈরি হলে নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষসহ উত্তরবঙ্গের বিপুল সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবে।’ 

বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা কমিটি’র আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ বলেন,ভারতের মেডিকেল ভিসা বন্ধ করে দেয়ার দিন থেকেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে।।

তিনি বলেন, ‘সেই সম্ভাবনাকে সফলতায় পরিণত করতেই চীনা কর্তৃপক্ষ রংপুর বিভাগে সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি বিশ্বমানের এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান এবং বিভাগীয় সদর দপ্তরের কথা বিবেচনা করে, রংপুর জেলায় এই হাসপাতাল স্থাপনের বিষয়টি এখন জনসাধারণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে চীন রংপুর বিভাগে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি আধুনিক বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করবে। চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেশটি বাংলাদেশের জনগণকে এই হাসপাতাল উপহার দিচ্ছে।

এর আগে, গত ১৩ এপ্রিল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন,  প্রস্তাবিত তিস্তা মাস্টার প্ল্যান প্রকল্প এলাকার কাছেই হাসপাতালটি নির্মিত হবে।

হাসপাতাল নির্মাণের এ খবর রংপুর বিভাগের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। সূত্র: বাসস

অমিয়/

মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা নেই: ফারুক ই আজম

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৫ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৩ পিএম
মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা নেই: ফারুক ই আজম
ছবি: খবরের কাগজ

মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা এ সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।

তিনি বলেন, 'ইতিহাস কখনো মুছা যায় না। ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় রাখতে হয়। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে কি করবে সেটি তাদের ব্যাপার।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। গার্ড অব অনার শেষে 
তিনি স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেন। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, 'মুজিবনগর সরকার প্রবাসী কিংবা অস্থায়ী সরকার নয়। এ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। তাই এই সরকারই সাংবিধানিক সরকার। ইতিহাসের ওপর কোনো কিছু আরোপ করা যায় না। ইতিহাস ইতিহাসই। এ সরকারের শপথ গ্রহণ একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এটি চিরকাল শ্রদ্ধা-ভালোবাসার মধ্য দিয়ে সবাইকে স্মরণ রাখা দরকার।'

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিষয়ে তিনি বলেন, 'সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরি করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। তবে আদালতে মামলা থাকার কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে সরকার। এ বিষয়ে আদালতে প্রায় ২ হাজার ৭শর বেশি মামলা রয়েছে। এ মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরই মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে।'

এদিকে মুজিবনগর আম্রকাননে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ভাস্কর্যগুলো ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, 'পুরো স্থাপনা ঘুরে দেখা হচ্ছে। দ্রুত ভাস্কর্যগুলো স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে ঐতিহাসিক বস্তুনিষ্ঠতার ওপর ভিত্তি করে স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হবে। ভুল কিছু এখানে আরোপিত করা হবে না, সত্যিকার ইতিহাস মোচনও করা হবে না।'

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত জাহান, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ ও পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানমসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কমপ্লেক্স এবং আমবাগানের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।

মেহেদী/