ঢাকা ৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষানুরাগীর ৬ সংস্কার প্রস্তাব

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষানুরাগীর ৬ সংস্কার প্রস্তাব
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জাফর খিজার। ছবি: সংগৃহীত

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়ের সংস্কার করছে। এর মধ্যে সাশ্রয়ী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আবাসন নীতি গ্রহণ, সরকারি স্কুলগুলোয় বিনামূল্যে রান্না করা পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসেবাকে সত্যিকারের মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠাসহ বেশকিছু প্রস্তাব রেখেছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জাফর খিজার।

একটি বেসরকারি সংস্থায় বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষা বিস্তার ও তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কয়েক দশক ধরে কাজ করছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে গণমাধ্যমে এসব সংস্কার প্রস্তাব পাঠান জাফর খিজার।

সম্প্রতি তিনি রাজধানী ঢাকায় এসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের যুবসমাজের প্রতি এ খোলা চিঠি দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে অবস্থিত পিসি এইজ ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাফর খিজার মনে করেন- জ্ঞান, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তখনই মূল্যবান, যখন তা পেশিশক্তিসম্পন্ন সুবিধাভোগীদের জন্য নয়, বরং সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্য একটি কার্যকর সমাজ গড়তে সাহায্য করবে। সত্যিকারের গণতন্ত্রের আহ্বান একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভিত্তি। চিঠিতে তিনি সংবিধান সংশোধনের আহ্বান জানিয়ে লেখেন, বাংলাদেশের সাহসী যুবসমাজ যদি একটিমাত্র কাজ করতে চান, তাহলে সেটি হোক দেশের সংবিধান সংশোধন।

জাফর খিজার বলেন, পরিবর্তনের জন্য মূল ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে থাকতে পারে ১. সাশ্রয়ী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আবাসন নীতি। ২. সর্বজনীন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও শিশুযত্ন। ৩. স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য পুষ্টিকর খাবার। ৪. বিনামূল্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা। ৫. আর্থিক সমতা ও উদ্যোক্তা শিক্ষা। ৬. সাশ্রয়ী ইন্টারনেট ও পাবলিক হটস্পট।

চিঠিতে তিনি লেখেন, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সম্মিলিত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগগুলো বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতা এবং উদ্ভাবনের একটি বৈশ্বিক উদাহরণে পরিণত করতে পারে। 

উল্লেখ্য, জাফর খিজার আমেরিকার নিউজার্সি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি একজন শিক্ষা অনুরাগী, পেশাগত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি ‘ডু পিস’ নামে একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংগঠন। এটি বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় ৫০টিরও বেশি কেন্দ্রে প্রতিবছর ১০ হাজারের মতো শিশুকে বিনামূল্যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা সেবা দিচ্ছে।

মাহফুজ

হরিজন-দলিতদের সংকট নিরসন করবে শ্রেণি রাজনীতি: আনু মুহাম্মদ

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম
হরিজন-দলিতদের সংকট নিরসন করবে শ্রেণি রাজনীতি: আনু মুহাম্মদ
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সংস্কার ও রাষ্ট্র ভাবনায় হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠী’ শীর্ষক সেমিনারে আনু মুহাম্মদ। ছবি: খবরের কাগজ

সমাজে নিম্নবর্গের দলিত-হরিজন সম্প্রদায়ের নাগরিক চাহিদা পূরণে শ্রেণি রাজনীতির বিকাশ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ। পাশাপাশি এ শ্রমিক শ্রেণিকে জাতিগত নানা দ্বন্দ্ব ও কোন্দল ভুলে একতাবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সংস্কার ও রাষ্ট্র ভাবনায় হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠী’ শীর্ষক সেমিনারে হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন-এর সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সেমিনারে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, লেখক-গবেষক আলতাফ পারভেজ, হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ লাল।

দলিত শ্রেণির সংকট নিরসনে শ্রেণি রাজনীতি বিকাশের যৌক্তিকতা দেখিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘যে রাজনীতির বিকাশ এসব বিষয়গুলো ঠিকঠাকমতো করতে পারত, সেটি হল শ্রেণি রাজনীতি। এখন যদি শ্রেণি রাজনীতিতে শুধু বাঙালি শ্রমিকদের দেখেন তাহলে তো হবে না। অর্থনীতি ও সমাজে নিপীড়িত শ্রেণির অধিকার ও কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ বলেন, সমাজের নিম্নবর্গে এখন যে বিভক্তি ও বিভাজন দেখা দিয়েছে তা শ্রেণি রাজনীতির বিকাশ ঘটলে তা দূর করা যাবে। 

তিনি আরও বলেন, সকল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করার রাজনীতি দুর্বল হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশে শ্রেণিগতভাবে নিপীড়িত বাঙালিদের মধ্যে অনেক ভাগ, শ্রমিকদের মধ্যে অনেক ভাগ; আঞ্চলিক ভাগ, ধর্মীয় ভাগ, বিভিন্ন পেশার ভাগ। এ ভাগ তখনই দূর হবে যখন শ্রেণি রাজনীতি দলিতদের স্বার্থ ও জাতিগত পরিচয়ের ঊর্ধ্বে তার অবস্থানকে, মতাদর্শকে নিয়ে যেতে পারবে। যারা দলিতদের পাশে থাকতে অঙ্গীকারাবদ্ধ, তাদের সবাইকে ওই ঐক্যের জায়গাটায়, ওই রাজনীতির ভূমিকা পালন করতে হবে। 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর সরকারি চাকরি প্রাপ্তিতে কোটা প্রথা তুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে সমাজের দলিত ও প্রান্তিক সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। 

তিনি বলেন, শুধু সরকার বা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে গিয়ে সংকটের কথা বললে হবে না। বেসরকারি সংস্থার কাছে যেতে হবে, যেতে হবে এনজিওগুলোর কাছে। কারণ এ দলিত সমাজে কর্মসংস্থানের সংকট রয়েছে। পাশাপাশি দলিতদের কলোনিগুলোতে স্যানিটেশনের অভাবও রয়েছে। বাল্যবিয়ে, অকালে স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার অনেক বেশি।

জয়ন্ত সাহা/মাহফুজ

তিন বিশিষ্ট চিকিৎসকের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১২ পিএম
তিন বিশিষ্ট চিকিৎসকের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত

তিন বিশিষ্ট চিকিৎসকের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই স্মরণসভার আয়োজন করে কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম। এতে সহযোগিতা করে ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশ।

প্রয়াত এই তিন বিশিষ্ট চিকিৎসক হলেন রাজশাহী ক্যান্সার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা রোটারিয়ান ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, বারডেমের ল্যাবরেটরী সায়েন্সের সাবেক পরিচালক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. টিএ চৌধুরী। স্মরণ সভায় বক্তারা তিন দিকপালের কর্মময় জীবনের ওপর আলোকপাত করেন ও তাদের আদর্শ ধারণ করে মানুষের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

স্মরণ সভার সূচনা বক্তব্য রাখেন এবং সঞ্চালনা করেন কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টারের ট্রাস্টি ও বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। ক্যান্সার প্রতিরোধে তিন প্রয়াত চিকিৎসকের অবদান উল্লেখ করে তাদের অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণের ঘোষণা দেন তিনি।

এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, শিশু-মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক সারিয়া তাসনিম, বিশিষ্ট প্রজনন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সরকারের নারী অধিকার সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. হালিদা হানুম আখতার, দেশের পথিকৃৎ পেলিয়েটিভ কেয়ার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নেজাম উদ্দিন আহমেদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল ও অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ, ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর ডিন অধ্যাপক মলয় কুমার মৃধা, অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরীর সহধর্মিণী মিসেস কামনা চৌধুরী, ডা. প্যাট্রিক বিশ্বাসের কন্যা ডা. ইপ্সিতা বিশ্বাস ও জামাতা ডা. অভি চক্রবর্তী, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুল হাকিম মজুমদার, অপরাজিতা সোসাইটি এগেইনস্ট ক্যান্সার এর চেয়ারপার্সন তাহমিনা গাফফার, সিওসির ট্রাস্টি রোটারিয়ান শাহানা আলম, সাংবাদিক ও লেখক আসিফ নবী, সেন্টার ফর ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশনের সম্পাদক জাহান এ গুলশান শাপলা, হারমনি ট্রাস্টের শাহিদা ইলোরা, ক্যান্সার জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান, সাংবাদিক হাসান মিসবাহ, রোটারিয়ান সৈয়দ আফতাবুজ্জামান, ডা. রিনা পাল। 

আরিফ সাওন/মাহফুজ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৭ পিএম
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ উভয় সংকটে আছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মি বড় সমস্যা বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় যাওয়া যাচ্ছে না। আবার তাদের এড়িয়েও এ সংকট সমাধান সম্ভব নয়।’

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস দিবস উপলক্ষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

তবে জাতীয় স্বার্থে অরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনায় বসা যেতে পারে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে ট্যারিফ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তৌহিদ হোসেন।

সালমান/

মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মিছিল

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মিছিল
মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিল করেছে সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

ছয় দফা দাবি আদায় ও কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিল করেছে সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। 

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জুম্মার নামাজ শেষে দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের হল মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি কাফন মিছিল বের হয়।

মিছিলটি তেজগাঁও আর্দশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের রোড ও সাতরাস্তা হয়ে কলেজের দক্ষিণ গেটে এসে শেষ হয়।

ছয় দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকাসহ সারা দেশে রেলপথ অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে সচিবালয়ে বৈঠকের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ‘রেলপথ ব্লকড’ কর্মসূচি শিথিল করেন।

এর আগে, বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিনভর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করে রাখেন তারা। এ ছাড়া সারা দেশে পলিটেকনিকের সামনের সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

সালমান/

হরিজন-দলিতদের জন্য বৈষম্য বিলোপ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৪ পিএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
হরিজন-দলিতদের জন্য বৈষম্য বিলোপ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সংস্কার ও রাষ্ট্র ভাবনায় হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠী’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

হরিজন-দলিতদের স্বার্থরক্ষায় ‘বৈষম্য বিলোপ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল’ গঠনের দাবি জানিয়েছে হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন। 

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সংস্কার ও রাষ্ট্র ভাবনায় হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠী’ শীর্ষক সেমিনারে হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের সভাপতি সুরেশ বাসফোর এ দাবি তোলেন।

তিনি এ সময় আট দফা দাবি উত্থাপন করেন। 

দাবিগুলো হলো- 

১. বৈষম্যকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাধীন কমিশন ও হরিজন-দলিতদের স্বার্থরক্ষায় ‘বৈষম্য বিলোপ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করতে হবে।

২. অনগ্রসর পিছিয়ে পড়া হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে শিক্ষা ও চিকিৎসা দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোটা এবং উচ্চশিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের সরকারি সব পেশায় সম-অধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ কোটা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

৩. সারা দেশের সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা, হাট-বাজার-ক্লিনিকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বেতন বৃদ্ধি ও চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে। সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি, উৎসব বোনাস, অবসর ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে হবে।

৪. সরকারি খাসজমিতে হরিজন জনগোষ্ঠীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বন্দোবস্ত করতে হবে। ১০০-২০০ বছরের পুরাতন জায়গা বসবাসরত হরিজন-দলিতদের নামে দলিল করে দিতে হবে। পুনর্বাসন করে উচ্ছেদ করা যাবে না।

৫. দেশে বসবাসরত হরিজন জনগোষ্ঠীকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।

৬. মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হরিজন-দলিতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান এবং শহিদ পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে।

৭. জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনে হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

৮. একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগে জাত হরিজনদের জন্য ঘোষিত ৮০ ভাগ কোটা বাস্তবায়ন করতে হবে।

এ সেমিনারে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, লেখক-গবেষক আলতাফ পারভেজ, হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ লাল। 

জয়ন্ত/পপি/