ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার (১৯ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন। নির্বাচনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বে প্রশাসক নিয়োগের প্রশ্ন অবান্তর।

জনগণের প্রাত্যহিক নানা সেবার প্রয়োজনে স্থানীয় সরকারের ওপর নির্ভরশীল। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি ও পৌর ওয়ার্ডগুলোতে জনপ্রতিনিধি না থাকায় এসব সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাই জনগণের প্রাত্যহিক দুর্ভোগ নিরসনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে বারবার বলছি। তবে এ বিষয়ে সরকারের চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধি দিয়ে স্থানীয় সরকার পরিচালনাই সর্বোত্তম।’ 

মাহফুজ

দাতাদের পরামর্শে রাজস্ব সংস্কারে নতুন প্রকল্প নয়: টিআইবি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
দাতাদের পরামর্শে রাজস্ব সংস্কারে নতুন প্রকল্প নয়: টিআইবি

দাতা সংস্থার প্রেসক্রিপশন বা পরামর্শ অন্ধভাবে অনুসরণ করে রাজস্ব খাতে নতুন প্রকল্প না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলেছে, পুরোনো প্রকল্পের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষাগ্রহণ না করে নতুন প্রকল্প নিলে তা হবে অপরিণামদর্শী এবং এতে কেবল সরকারি অর্থের অপচয় হবে। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। 

তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা ও নিরীক্ষা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে ডিজিটাইজেশন ও অটোমেশন বিষয়ে বেশ কয়েক দফা প্রকল্প নেওয়া হলেও সেগুলো খুব একটা কাজে আসেনি। এসব প্রকল্প কেন উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারল না তার কারণ অনুসন্ধান ও সমাধানের পথ অবলম্বন ছাড়াই আবারও বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচের প্রকল্প নিতে যাচ্ছে সরকার। এমন অবস্থায় আয়কর আদায় সহজ করতে ও কর ফাঁকি রোধে আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশজ প্রযুক্তি-সক্ষমতা ও সম্ভাবনাকে প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। 

টিআইবি বলেছে, আয়কর আদায় বাড়াতে ও কর ফাঁকি রোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। যদিও বিগত দেড় দশকে ডিজিটাইজেশন ও অটোমেশনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়াতে অন্তত তিনটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে রাজস্ব বিভাগ, যার কোনো বাস্তব সুফল পাওয়া যায়নি।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এসব প্রকল্প যে উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারেনি, তার বড় প্রমাণ নতুন করে বিশ্বব্যাংকের ঋণনির্ভর হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণের প্রয়াস। কারণ, আয়কর রিটার্ন দাখিল বা ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়া এখনো অনলাইন করা যায়নি। কাগুজে পদ্ধতিই এখনো রাজস্ব আদায়ের বড় ভরসা। হয়রানি-দুর্নীতিও কমেনি। চালান জালিয়াতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি, কর ফাঁকি আর অর্থ পাচার রোধ হয়নি। দেশে কর-জিডিপির অনুপাতও বাড়েনি; বরং গত এক যুগে কমে গেছে। ২০২৪ অর্থবছরে তা ৮ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ঠিক এক যুগ আগে ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশ। আর এক যুগের গড় অনুপাত হিসাব করলে তা আরও কমে হয় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যেটি বাংলাদেশকে পুরো বিশ্বে সবচেয়ে কম কর-জিডিপি অনুপাতের দেশগুলোর একটিতে পরিণত করেছে।’

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো কেন উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে? এর পেছনের কারণ হলো, রাজস্ব বিভাগের ভেতরে থাকা দুর্নীতির দুষ্টচক্রের হাতে সংস্থাটির জিম্মিদশায় থাকা, কিংবা যথাযথ দেশজ প্রযুক্তি-সক্ষমতা ও সম্ভাবনার সুফল আদায়ে অনীহা। এগুলোই করনীতির ধারাবাহিকতায় ঘাটতি তৈরি করে। এ নিয়ে অনুসন্ধান জরুরি।’

টিআইবি বলেছে, আয়কর ব্যবস্থাপনা-প্রক্রিয়ার সহজীকরণ ও পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন, পরিসংখ্যান ব্যবস্থার উন্নয়ন, সরকারি ক্রয় ও বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা এবং নিরীক্ষা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনার উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় নেওয়া ‘স্ট্রেনদেনিং ইনস্টিটিউশনস ফর ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি’ (সিটা) নামের পাঁচ বছরমেয়াদি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার। এ প্রকল্পের একটি বড় অংশই ব্যয় হবে সরকারি আয় ও ব্যয় ব্যবস্থাপনার অটোমেশন কার্যক্রমে।

প্রযুক্তিবিষয়ক প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজস্ব বিভাগের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আয়কর আদায় ব্যবস্থাপনায় অটোমেশনের জন্য ঠিকাদার যে সফটওয়্যার সরবরাহ করেন, তা শেষ পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়নি। পরে দেশেই স্বল্পব্যয়ে আরেকটি ই-রিটার্ন ফাইলিং ব্যবস্থা তৈরি করা হয়। একইভাবে অন্য প্রকল্পে সহায়তার শর্ত মেনে ভেন্ডর লকড বা কমার্শিয়াল অফ-দ্য-শেলফ (কটস) সফটওয়্যার কিনে ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খাওয়ার উদাহরণও আছে। এমন বাস্তবতায় নতুন প্রকল্প গ্রহণে দাতা সংস্থার প্রেসক্রিপশনের অন্ধ অনুসরণ নয়; বরং বাস্তবতা মেনে সহজ ব্যবহার ও টেকসই ব্যবস্থাপনার কথা মাথায় রেখে প্রযুক্তি বাছাই করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিজস্ব কারিগরি অবকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টি সতর্কভাবে বিবেচনা করতে হবে।

আন্দোলনের নামে সড়ক অবরোধ না করার অনুরোধ ডিএমপির

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
আন্দোলনের নামে সড়ক অবরোধ না করার অনুরোধ ডিএমপির
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি রাজধানীতে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল দাবিদাওয়া আদায়, প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করছে। এতে করে ঢাকা মহানগরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও অফিসগামী যাত্রীরা নানা বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিদেশগামী যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজনে অসুস্থ রোগী পরিবহনে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, যানজট কমানোর জন্য ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে। তারপরও সড়ক অবরোধ করার মতো ঘটনায় ব্যাপক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় নগরবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে এবং সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য অহেতুক সড়ক অবরোধ করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

এর আগেও সড়ক অবরোধ না করতে অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে দেয় ডিএমপি।

বে টার্মিনাল নির্মাণসহ ২ প্রকল্পে ৮৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১০ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৩ এএম
বে টার্মিনাল নির্মাণসহ ২ প্রকল্পে ৮৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) মধ্যে দুটি অর্থায়ন চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। গতকাল বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল এইচ. মার্টিন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (বিটিএমআইডিপি) বাস্তবায়নে ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার এবং সামাজিক সুরক্ষা জোরদার প্রকল্প (এসএসপিআইআরআইটি) বাস্তবায়নে ২০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়।

প্রকল্প দুটি যথাক্রমে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজসেবা অধিদপ্তর ও অর্থ বিভাগ বাস্তবায়ন করবে।

বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে চলতি মাস থেকে ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত এবং এসএসপিআইআরআইটি প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল এ বছরের জুলাই থেকে ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত।

ঋণ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের (এসএআর) ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজারসহ বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রামে বে টার্মিনাল নির্মাণে গত ২০ এপ্রিল একনেক সভায় ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (বিটিএমআইডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই দিন সভায় সুরক্ষা জোরদার প্রকল্পও (এসএসপিআইআরআইটি) অনুমোদন পায়। মোট অনুমোদন দেওয়া হয় ১৬টি প্রকল্প। যার মোট ব্যয় ধরা হয় ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয় হবে। অনুমোদিত ১৬টি প্রকল্পের মধ্যে ১৩টি নতুন এবং তিনটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।

কাতারের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৬ এএম
কাতারের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বাংলাদেশে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দোহায় কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ সাউদ বিন আবদুল রহমান বিন হাসান আল-থানির সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘কাতারের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা যেতে পারে। সেখানে কাতারের ব্যবসায়ীরা সমরাস্ত্রের যন্ত্রাংশসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

প্রেস সচিব বলেন, বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা কাতারের মন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশকে ম্যানুফ্যাকচারিং ও অর্থনৈতিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোসহ বিনিয়োগ পরিসেবা উন্নয়ন করা হচ্ছে।

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করে উৎপাদিত পণ্য দেশের বাইরে রপ্তানি করতে পারবেন। তিনি কাতারের ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে সেদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

কাতার তিন বছর পর পর বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন করে সেনাসদস্য নেবে। প্রধান উপদেষ্টা কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রীকে এই সেনাসদস্যের সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ জানান।

এদিকে কাতারের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ ফয়সাল বিন আল থানি অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সূত্র: বাসস

অমিয়/

প্রবাসীদের ভোটপদ্ধতি নিয়ে আগামী সপ্তাহে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৪ এএম
প্রবাসীদের ভোটপদ্ধতি নিয়ে আগামী সপ্তাহে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে প্রবাসীরা সংশ্লিষ্ট দেশে বসে কোন পদ্ধতিতে ভোট প্রয়োগ করবেন সে বিষয়ে অনলাইন ভোট, প্রক্সি ভোট ও পোস্টাল ব্যালট- এই তিন পদ্ধতি নিয়ে চলছে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের আলোচনা। এসব ব্যবস্থার মধ্য থেকে ভোট পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে আগামী সপ্তাহে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে দুই দিন বা তিন দিনের সংলাপের আয়োজনের কথা ভাবছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ এপ্রিল দু-তিন দিনের সংলাপ আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে। এরই মধ্যে অংশীজনদের তালিকা প্রস্তুত করেছে ইসি সচিবালয়। সংলাপে গণমাধ্যমের সম্পাদক, সুশীলসমাজ ও নিবন্ধিত দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানাবে সংস্থাটি। এই সংলাপে প্রবাসীদের ভোট প্রয়োগের পদ্ধতি নিয়ে মতামত বা পরামর্শ নেওয়া হবে।

এর আগে গত ৮ এপ্রিল প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করে ইসি। সেখানে তিনটি পদ্ধতি নিয়ে আগতরা উপস্থাপনা দেন। এ ক্ষেত্রে অনলাইন ভোট, প্রক্সি ভোট ও পোস্টাল ব্যালট- এই তিন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর এমআইএসটি, ঢাবি ও বুয়েটের প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে তিনটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিগুলোও এরই মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। 

ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানিয়েছেন, কমিটিগুলো এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে অংশীজনের মতামত নেওয়া পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।