ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

ইউজিসিতে মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকের ওপর হামলাচেষ্টা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
ইউজিসিতে মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকের ওপর হামলাচেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

সংবাদপ্রকাশের জেরে মব সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) সাংবাদিকের ওপর হামলা চেষ্টা হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) ইউজিসি ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম শিহাব উদ্দীন। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি ক্যাম্পাসের সিনিয়র রিপোর্টার। অভিযুক্তরা হলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অফিসে দায়িত্ব পালন করা সিনিয়র সহকারী সচিব মোহা. মামুনুর রশিদ খান ও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অফিস সহায়ক খোকন খান।

ভুক্তভোগী জানান, ইউজিসি সচিব ড. ফখরুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীদের অবস্থান নেওয়ার খবর সংগ্রহ করতে বুধবার দুপুরে ইউজিসি কার্যালয়ে যান শিহাব। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইউজিসির অফিস সহায়ক খোকন খান তাকে জেরা করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে মব সৃষ্টি করে তার ওপর হামলার চেষ্টা চালান। এসময় কর্মকর্তা মামুনসহ ১০ থেকে ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে মামুনুর রশিদ খবরের কাগজকে বলেন, আমি হামলার চেষ্টা করিনি। তাকে তর্ক-বির্তক থেকে চেয়ারম্যানের রুমে নিয়ে যাই।

খোকন খান বলেন, আমাকে নিয়ে করা নিউজ নিয়ে জানতে চেয়েছি কে তথ্য দিয়েছে। তখন একটু উত্তেজনায় কথা হয়েছে।

কবির/এমএ/

বৃষ্টিতে স্বস্তি, যানজটে নাকাল রাজধানী

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৭ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
বৃষ্টিতে স্বস্তি, যানজটে নাকাল রাজধানী
বৃষ্টিতে রাজধানীতে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

ভ্যাপসা গরমের মধ্যে অবশেষে নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতে শুরু করে। এরপর ঝোড়ো হাওয়া উড়িয়ে নামে তুমুল বৃষ্টি। তীব্র গরমের পর বৈশাখের প্রথম বৃষ্টিতে নগরজীবনে এসেছে প্রশান্তি। তবে নগরবাসী পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেননি এ বৃষ্টি। যারা কর্মব্যস্ততার কারণে ঘরের বাইরে বেরিয়েছিলেন, তাদের যানজটের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচির কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। 

আকাশ ভেঙে বৃষ্টি এল 

তখন ঘড়ির কাঁটায় বেলা আড়াইটা। রাজধানীর হাতিরঝিলসংলগ্ন কুনিপাড়া এলাকায় তখন তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রাঙ্গণে শ্রমিকদের দল বেঁধে ভিজতে দেখা গেল এ সময়। একটু দূরেই ভারী শিল্প এলাকায় শ্রমিকরাও সড়কে নেমে আসেন। এদের একজন বলেন, ‘অনেক গরম গেল কয়টা দিন। এ বৃষ্টিটার জন্য ওয়েট করতে ছিলাম। কী যে শান্তি লাগতেসে।’

মগবাজারের আমবাগান এলাকার একটি গলিতে শিশু-কিশোরদের দল বৃষ্টির মধ্যে মেতে ওঠে খেলায়। মধুবাগ মাঠে ফুটবল নিয়ে নেমে পড়ে দস্যি ছেলের দল। হাতিরঝিলের পার্কে বসে থাকা ভবঘুরের দলও ভিজেছিল আনমনে। মগবাজার মোড় থেকে মৌচাক যাচ্ছিলেন শ্রাবণী হালদার। তুমুল বৃষ্টিতে রিকশা পাচ্ছিলেন না, মিনিট ১৫ অপেক্ষা করার পর একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা পেয়ে যান তিনি। তারপর রিকশার হুড খুলে  রওনা হন গন্তব্যে। 

তীব্র যানজটে নাকাল

তবে এই বৃষ্টিবিলাস সব নগরবাসীর ভাগ্যে সয়নি। বুধবার বেলা ১১টা থেকে সাতরাস্তায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচি চলে রাত পর্যন্ত। পুরো সময় রাজধানীর মহাখালী থেকে মগবাজার পর্যন্ত শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ সড়ক ছিল স্থবির। এ সড়কটির আশপাশে তেজগাঁওয়ের লাভ রোড, নাবিস্কো, দক্ষিণ বেগুনবাড়িসহ পুরো হাতিরঝিলে যানজট পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে। শুধু তা-ই নয়, এ এলাকার যানজটের প্রভাব পড়ে ধানমন্ডির মিরপুর রোড, শাহবাগ, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, রামপুরা-বাড্ডার প্রগতি সরণিতে। যানজট ছড়িয়ে পড়ে গুলিস্তান, মতিঝিল এলাকাতেও। 

বুধবার বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর রামপুরা থেকে ধানমন্ডি যাচ্ছিলেন মোস্তাকিম ভূঁইয়া। পেশায় ব্যবসায়ী এই মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি এক ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে ছিলেন হাতিরঝিলেই। তিনি বলেন, ‘চক্রাকার বাসে কোনোভাবে মহানগর আবাসিক এলাকা পার হতেই জ্যাম শুরু হলো। মধুবাগ ব্রিজ থেকে এফডিসি মোড় আসতে সোয়া এক ঘণ্টা সময় লেগেছে। বাস থেকে নেমে যাব সে উপায়ও নেই।’

বুধবার সকালে অবরোধের পর মগবাজার-সাতরাস্তা ফ্লাইওভারেও অনেক যানবাহন আটকে থাকে। সাতরাস্তা মোড়ে বলাকা পরিবহনের চালক টিটু মিয়া বলেন, ‘সকালে সাতরাস্তা মোড়ে আইস্যাই দেখি অবরোধ শুরু হইসে। আর আগাইতে পারি নাই। আমার হেল্পার আর আমি বাস নিয়া বইস্যা আছি। সারা দিনে অন্তত তিনটা ট্রিপ মারতে পারতাম। আজ এক ট্রিপও হইল না। মহাজনরে জমাটা দিমু কী আর নিজে খামু কী?’

সংগীতশিল্পী নির্ঝর চৌধুরী বলেন, ‘বুধবার বেলা ৩টায় বনশ্রীর একটি রেকর্ডিং স্টুডিওতে আমার গান রেকর্ড করার কথা। কিন্তু যেতেই পারলাম না। আটকে রইলাম ধানমন্ডি।’ শফিকুল ইসলাম গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে দৈনিক বাংলা মোড় থেকে কারওয়ান বাজার যাচ্ছিলেন। বৃষ্টিতে ভিজে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাসের অপেক্ষায়। কোনো বাসে উঠতে না পেরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার খোঁজ করেন। উপায়ান্তর না পেয়ে পরে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই তিনি রওনা হন। কিন্তু পরীবাগ মোড়ে এসে তিনি আটকে যান যানজটে। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় যানজট বসে থেকে আবারও হাঁটতে শুরু করেন শফিকুল। ঢাকার আকাশ তখন প্রবল বৃষ্টি ঝরাচ্ছে। 

বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যায়। যানজটে এমনিতেই গতিসীমা ছিল কম, জলাবদ্ধতায় সড়কে নেমে আসে স্থবিরতা। মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক, মোহাম্মদপুরের বছিলা চৌরাস্তা, মালিবাগ রেলগেট এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। পুরান ঢাকার অলিগলিতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে । 

একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান তুর্য বলেন, ‘মালিবাগের চৌধুরীপাড়া থেকে দুই ঘণ্টায়ও আমি লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাসায় ফিরতে পারিনি।’

গঙ্গাচড়ায় চীনা অর্থায়নে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এলাকা পরিদর্শন

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২২ এএম
গঙ্গাচড়ায় চীনা অর্থায়নে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এলাকা পরিদর্শন
ছবি: বাসস থেকে

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় চীনা অর্থায়নে প্রস্তাবিত হাসপাতাল নির্মাণের জন্য সম্ভাব্য স্থান নির্বাচন করতে তিস্তার তীরবর্তী চর এলাকা পরিদর্শন করেছেন হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বে নিযুক্ত দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। 

হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বে নিযুক্ত দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হলেন- বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. শহীদুর রহমান খন্দকার ও সাবেক সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট ইকোনমিস্ট ফরহাদ আহমেদ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল ও গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধার সঙ্গে এই দুই কর্মকর্তা মঙ্গলবার গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মহিপুর মৌজার চর কলাগাছি এলাকা পরিদর্শন করেন।

এ সময় পরিদর্শনকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাদী ও এলাকার সাধারণ মানুষ।

চর কলাগাছি এলাকায় ১০০ একর খাস জমির মধ্যে প্রস্তাবিত হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ২০ একর জমি পরিদর্শন করেছেন কর্মকর্তাগণ ।

প্রাথমিক পরিদর্শনের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজমিন পরিদর্শন শেষে আন্তর্জাতিক মানের এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের জন্য সর্বোত্তম ও উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করবে।

বাসস-এর সাথে আলাপকালে গঙ্গাচড়ার ইউএনও মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবিত চীনা অর্থায়নে নির্মিতব্য মৈত্রী হাসপাতালটির জন্য তিস্তা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছে।

ইউএনও বলেন,‘ গঙ্গাচড়ায় একটি আধুনিক হাসপাতাল  তৈরি হলে নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষসহ উত্তরবঙ্গের বিপুল সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবে।’ 

বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা কমিটি’র আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ বলেন,ভারতের মেডিকেল ভিসা বন্ধ করে দেয়ার দিন থেকেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে।।

তিনি বলেন, ‘সেই সম্ভাবনাকে সফলতায় পরিণত করতেই চীনা কর্তৃপক্ষ রংপুর বিভাগে সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি বিশ্বমানের এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান এবং বিভাগীয় সদর দপ্তরের কথা বিবেচনা করে, রংপুর জেলায় এই হাসপাতাল স্থাপনের বিষয়টি এখন জনসাধারণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে চীন রংপুর বিভাগে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি আধুনিক বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করবে। চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেশটি বাংলাদেশের জনগণকে এই হাসপাতাল উপহার দিচ্ছে।

এর আগে, গত ১৩ এপ্রিল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন,  প্রস্তাবিত তিস্তা মাস্টার প্ল্যান প্রকল্প এলাকার কাছেই হাসপাতালটি নির্মিত হবে।

হাসপাতাল নির্মাণের এ খবর রংপুর বিভাগের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। সূত্র: বাসস

অমিয়/

মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা নেই: ফারুক ই আজম

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৫ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২২ এএম
মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা নেই: ফারুক ই আজম
ছবি: খবরের কাগজ

মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোন ইচ্ছা এ সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।

তিনি বলেন, 'ইতিহাস কখনও মুছা যায়না। ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় রাখতে হয়। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে কি করবে সেটি তাদের ব্যাপার।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। গার্ড অব অনার শেষে 
তিনি স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেন। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, 'মুজিবনগর সরকার প্রবাসী কিংবা অস্থায়ী সরকার নয়। এ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। তাই এই সরকারই'সাংবিধানিক সরকার। ইতিহাসের উপর কোন কিছু আরোপ করা যায়না। ইতিহাস ইতিহাসই। এ সরকারের শপথ গ্রহণ একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এটি চিরকাল শ্রদ্ধা ভালোবাসার মধ্য দিয়ে সবাইকে স্মরণ রাখা দরকার।'

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিষয়ে তিনি বলেন, 'সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরি করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। তবে আদালতে মামলা থাকার কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে সরকার। এ বিষয়ে আদালতে প্রায় ২ হাজার ৭শর বেশি মামলা রয়েছে। এ মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরই মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে।'

এদিকে মুজিবনগর আম্রকাণনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ভাস্কর্যগুলো ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, 'পুরো স্থাপনান ঘুরে দেখা হচ্ছে। দ্রুত ভাস্কর্যগুলো স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে ঐতিহাসিক বস্তুনিষ্ঠতার ওপর ভিত্তি করে স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হবে। ভুল কিছু এখানে আরোপিত করা হবেনা, সত্যিকার ইতিহাস মোচনও করা হবে না।'

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত জাহান, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ ও পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানমসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কমপ্লেক্স এবং আমবাগানের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।

মেহেদী/

প্রকাশ্যে নিজেকে মাস্তান দাবি করা যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১২ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১২ এএম
প্রকাশ্যে নিজেকে মাস্তান দাবি করা যুবক গ্রেপ্তার
নিজেকে মাস্তান দাবিকারী আশরাফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রাইভেট কার থেকে চাঁদা আদায়ের সময় প্রকাশ্যে নিজেকে মাস্তান দাবিকারী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম মো. আশরাফুল আলম (২৩)।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোরে হাজারীবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এর আগে প্রাইভেট কার থেকে চাঁদা আদায়কালে প্রকাশ্যে নিজেকে মাস্তান দাবিকারী ওই যুবকের ভিডিও সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ব্যাপক ছড়িয়ে (ভাইরাল) পড়ে। ওই সময় প্রাইভেট কারের চালকের আসনে থাকা ব্যক্তি ও সহযাত্রীর সঙ্গে একটি স্লিপের মাধ্যমে চাঁদা আদায় নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। তখন একপর্যায়ে আশরাফুল নিজেকে মাস্তান এবং ব্যঙ্গাত্মক আচরণ করেন- যা ওই ভিডিওতে দেখা গেছে। আশরাফুলের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গত ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে ওই প্রাইভেট কার থেকে চাঁদা আদায়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

পরে জানা যায়, গ্রেপ্তার আশরাফুলসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন ধানমন্ডির ওই এলাকায় প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল থেকে অনেক দিন ধরে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে হাজারীবাগ থানার পুলিশের সহায়তায় ধানমন্ডি থানার পুলিশ আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করেছে। আশরাফুলসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশরাফুল চাঁদা আদায়ের কথা স্বীকারও করেছেন। 

ইইউর নতুন তালিকায় নিরাপদ বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫২ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৫ এএম
ইইউর নতুন তালিকায় নিরাপদ বাংলাদেশ
খবরের কাগজ

আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কসোভো, বাংলাদেশ, কলম্বিয়া, মিসর, ভারত, মরক্কো ও তিউনিসিয়াকে ‘নিরাপদ উৎস দেশ’ হিসেবে  ঘোষণা করেছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ ঘোষণা করা হয়।  এ পদক্ষেপের ফলে ওই দেশগুলোর নাগরিকদের আশ্রয়ের আবেদন গ্রহণযোগ্যতার সম্ভাবনা কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইইউর অভিবাসনবিষয়ক কমিশনার ম্যাগনাস ব্রুনার বলেন, 'অনেক সদস্য রাষ্ট্রেই আশ্রয় আবেদনের একটি বড় ব্যাকলগ রয়েছে। তাই আশ্রয় সিদ্ধান্ত দ্রুত নেওয়ার পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব, তা-ই করা এখন অপরিহার্য।'

এদিকে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে এই উদ্যোগটি সমালোচনার মুখে পড়েছে। কারণ, এতে করে অনুমান করা হবে যে এসব দেশের নাগরিকদের আশ্রয়ের আবেদন যথাযথ নয়- এমন একটি পূর্বধারণা থেকেই প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হতে পারে। জনমত নেতিবাচক হওয়ার কারণে ইউরোপীয় জনপরিসরে অভিবাসনবিরোধী মনোভাব বাড়ছে। এতে কট্টর-ডানপন্থী দলগুলোর রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে অনিয়মিত প্রবেশ ঠেকানো ও দ্রুত বহিষ্কারের পক্ষে চাপ বেড়েছে।

কমিশন জানায়, যেসব দেশ ইইউ প্রার্থীতার মর্যাদা পায় তারাও নীতিগতভাবে ‘নিরাপদ’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে সংঘর্ষে জর্জরিত দেশগুলোর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকবে, যেমন ইউক্রেন এই তালিকা থেকে বাদ থাকবে।

২০১৫ সালে ইইউ একটি অনুরূপ তালিকা প্রকাশ করেছিল, কিন্তু তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বিতর্কের কারণে সেই পরিকল্পনা পরিত্যক্ত হয়।

কমিশনের মতে, ভবিষ্যতে এই তালিকাটি সম্প্রসারিত বা পর্যালোচিত হতে পারে। তালিকাটি এমন দেশগুলোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি যেখান থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি সংখ্যক আবেদনকারী আসে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন সদস্য দেশ এরই মধ্যে নিজেদের মতো করে ‘নিরাপদ’ দেশ চিহ্নিত করে থাকে। যেমন ফ্রান্সের তালিকায় রয়েছে মঙ্গোলিয়া, সার্বিয়া ও কেপ ভার্দে।

তবে ইইউয়ের লক্ষ্য হলো একটি সমন্বিত ও অভিন্ন নীতিমালা তৈরি করা। যাতে সব সদস্য রাষ্ট্র একই মানদণ্ড অনুসরণ করে। এক্ষেত্রে সদস্য রাষ্ট্ররা চাইলে অতিরিক্ত দেশ যুক্ত করতে পারবে। তবে তালিকা থেকে কোনো দেশ বাদ দিতে পারবে না।

‘প্রতারণামূলক ও বিপজ্জনক’ পদক্ষেপ বলে অভিযোগ

কমিশন আরও জানায়, প্রত্যেক আশ্রয় আবেদন এখনও পৃথকভাবে পর্যালোচনা করতে হবে এবং আবেদনকারীদের সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা যাবে না। এভাবেই বর্তমান সুরক্ষা বিধানগুলো কার্যকর থাকবে। তবে পরিকল্পনাটি কার্যকর করতে হলে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

এই পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। ইউরো-মেড রাইটস নামের একটি ছাতাসংগঠন বলেছে, তালিকাভুক্ত কয়েকটি দেশে নাগরিকদের ও অভিবাসীদের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার প্রমাণ রয়েছে।

তাদের ভাষায়, 'এই দেশগুলোকে ‘নিরাপদ’ আখ্যায়িত করা প্রতারণামূলক ও বিপজ্জনক।'

ইইউ সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্স জানায়, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অনিয়মিত প্রবেশের সংখ্যা ৩৮ শতাংশ কমে ২,৩৯,০০০-তে দাঁড়ায়। তবে ২০২৩ সালে প্রায় এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবেশের ঘটনা ঘটে।

গত অক্টোবর মাসে ইতালি, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের নেতৃত্বে ইইউ নেতারা দ্রুত ফেরত পাঠানোর জন্য নতুন আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান এবং অনিয়মিত অভিবাসন প্রতিরোধে ‘উদ্ভাবনী’ পন্থা মূল্যায়নের জন্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

বর্তমানে ইইউ থেকে যারা বহিষ্কারের নির্দেশ পান, তাদের মধ্যে ২০ শতাংশেরও কম ব্যক্তিকে নিজ দেশে ফিরিয়ে পাঠানো সম্ভব হয় বলে ইইউ জানিয়েছে।

গত মাসে ইইউ একটি নতুন ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব দেয়, যাতে সদস্য দেশগুলো ইউরোপের বাইরেই অভিবাসন প্রত্যাবাসন কেন্দ্র স্থাপন করতে পারে।

ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ানতেদোসি বুধবার এই পদক্ষেপকে 'ইতালীয় সরকারের জন্য একটি সাফল্য' বলে অভিহিত করেছেন। সূত্র: বাসস

মেহেদী/