
গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কার্যালয়ে গিয়ে গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া। গুম কমিশনের আহ্বানে বুধবার (১৯ মার্চ) গুলশান কার্যালয়ে যান সাবেক এই সেনাপ্রধান। সেখানে তিনি ৩ ঘণ্টা ২৩ মিনিট অবস্থান করে গুমসংক্রান্ত বিষয়ে নানা আলোচনা ও বক্তব্য দিয়ে আসেন। পরে এ বিষয়ে সাবেক সেনাপ্রধান ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
বুধবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার কর্ম-অভিজ্ঞতা থেকে কিছু লেখা সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই লেখাগুলো রাষ্ট্র, সমাজ ও সংস্থার বিভিন্ন অংশের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেই পটভূমিতে অনেক ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এর বিভিন্ন দিক ও বিষয়ে জানার আগ্রহ জন্মেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন ফর ইনকোয়ারি’ বেলা ১১টায় গুলশানে অবস্থিত তাদের কার্যালয়ে আমাকে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল।’
ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে বিশ্বাস করি, গুমসংক্রান্ত কমিশন ফর ইনকোয়ারির এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহযোগিতার জন্য- এ কাজে জড়িত সব পক্ষ, ব্যক্তি ও চাকরিরত বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা উচিত। গুম ও অপহরণসংক্রান্ত যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ দেশে সংঘটিত হয়েছে, এর সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে যে যেখানে যতটুকুই জানেন, তা এই কমিশনকে অবহিত করা দরকার।’
ইকবাল করিম ভূঁইয়া স্ট্যাটাসে আরও বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে জ্ঞাত বা অজ্ঞাত স্থানে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও তাদের শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিলেন, তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সেই উদ্দেশ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যসহ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা তথ্য ও প্রমাণাদি সরবরাহ করে গুমসংক্রান্ত কমিশনের কার্যক্রমকে বেগবান করা আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর তা যথাযথভাবে পালন করা গেলেই কেবল ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’
মাহফুজ/