ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

জলাবদ্ধতা নিরসনে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ: মে মাসের মধ্যেই নগরীর ১০ খাল খনন করতে হবে

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:২০ এএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৪ এএম
জলাবদ্ধতা নিরসনে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ: মে মাসের মধ্যেই নগরীর ১০ খাল খনন করতে হবে
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে জলাবদ্ধতা নিরসনবিষয়ক অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা। ছবি: খবরের কাগজ

আগামী ৩০ মের আগেই চট্টগ্রাম শহরের ৯টি খালের মুখ এবং ১০টি খাল পরিষ্কার করতে হবে। আসন্ন বর্ষায় চট্টগ্রাম শহরের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জলাদ্ধতাপ্রবণ এলাকা নিয়ে এসব করণীয় ঠিক করে দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।

বুধবার ((১৯ মার্চ)  বিকেলে টাইগারপাসের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে জলাবদ্ধতা নিরসনবিষয়ক অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব পরামর্শ দেওয়া হয়।

শহরের সবচেয়ে জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকা যেমন আগ্রাবাদ, হালিশর, বাকলিয়া, মুরাদপুর, চকবাজার, বহদ্দারহাট, পতেঙ্গা এবং ইপিজেড জোন এলাকাগুলোতে ঝুঁকি কমাতে এসব কাজ বাস্তবায়ন করবে চসিক, সিডিএ, সেনাবাহিনী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। 

সভায় সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ায় ড্রেনেজ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ড. আবদুল্লাহ আল মামুন এবং পরিবেশকর্মী শাহরিয়ার খালেদ এসব পরামর্শ তুলে ধরেন।

এদিকে মে মাসের ৩০ তারিখের আগেই সেনাবাহিনী খনন করবে চাক্তাই খাল, মহেশখালী ডাইভারসন খাল এবং মহেশখালী খাল। এ ছাড়াও বদরখালী খাল (উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্যম), জামাল খান-সাবেরিয়া খাল, রুমঘাটা জেলেপাড়া ছড়া, দেবপাহাড় ছড়া, চট্টেশ্বরী ছড়া, হিজড়া খাল, বাদুরতলা ছড়া। এ ছাড়াও খালগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পলিফাঁদ নির্মাণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। 

এ সময় ড. আবদুল্লাহ আল মামুন তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি সমাধান ছাড়া এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।’

মেয়রের জলাবদ্ধতাবিষয়ক উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ বলেন, ‘নদী, খাল ও নালা পরিষ্কারের পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনে অবৈধ দখল উচ্ছেদও জরুরি। খালগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। না হলে যেকোনো প্রকল্পই ব্যর্থ হতে পারে।’

কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৯ পিএম
কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন
কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের অনশন ও আন্দোলনের মুখে অবশেষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলম পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ১৪ এপ্রিল রাতে সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার জেরে গত রবিবার (২০ এপ্রিল) উপাচার্যের পদত্যাগে শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ না করায় গত সোমবার থেকে অনশন চালানোর ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীরা প্রায় ৫৮ ঘণ্টা পর তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। 

সুমন/

প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালন করছেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালন করছেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশ ত্যাগ করেছেন। তাই তার সফরের সময়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম কার্যভার পালনরত প্রধান বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

তার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ  বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে তুরস্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।’

এর আগে গত ৬ মার্চ তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের প্রেসিডেন্ট Justice Kadir ÖZKAYA আদালতের (Constitutional Court of the Republic of Türkiye) ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামসহ অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে বিশেষ আমন্ত্রণপত্র পাঠান। প্রধান বিচারপতি নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। 

সফরের সময় তিনি আগামী ২৫ এপ্রিল ইস্তাম্বুলের দোলমাবাছ প্রাসাদে (Dolmabahçe Palace) “The Future of Constitutional Justice in the 21st Century” শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে অংশ নেবেন।

এ ছাড়া প্রধান বিচারপতি আগামী ২৮ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে New York University Abu Dhabi আয়োজিত ‘Climate Justice and the Constitution: Reflections from the Global South’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্যানেল বক্তা হিসেবে অংশ নেবেন এবং মূল্যবান বক্তব্য দেবেন। 

অনুষ্ঠানে New York University Abu Dhabi’র ছাত্র, শিক্ষক, আইনজ্ঞ, আইনজীবী, অন্যান্য পেশাজীবীসহ আবুধাবির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। 

এ ছাড়া প্রধান বিচারপতি আগামী ২৮ এপ্রিল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের একটি ওয়ার্কশপে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।

মাহমুদুল/পপি/

দাতাদের পরামর্শে রাজস্ব সংস্কারে নতুন প্রকল্প নয়: টিআইবি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
দাতাদের পরামর্শে রাজস্ব সংস্কারে নতুন প্রকল্প নয়: টিআইবি

দাতা সংস্থার প্রেসক্রিপশন বা পরামর্শ অন্ধভাবে অনুসরণ করে রাজস্ব খাতে নতুন প্রকল্প না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলেছে, পুরোনো প্রকল্পের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষাগ্রহণ না করে নতুন প্রকল্প নিলে তা হবে অপরিণামদর্শী এবং এতে কেবল সরকারি অর্থের অপচয় হবে। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। 

তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা ও নিরীক্ষা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে ডিজিটাইজেশন ও অটোমেশন বিষয়ে বেশ কয়েক দফা প্রকল্প নেওয়া হলেও সেগুলো খুব একটা কাজে আসেনি। এসব প্রকল্প কেন উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারল না তার কারণ অনুসন্ধান ও সমাধানের পথ অবলম্বন ছাড়াই আবারও বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচের প্রকল্প নিতে যাচ্ছে সরকার। এমন অবস্থায় আয়কর আদায় সহজ করতে ও কর ফাঁকি রোধে আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশজ প্রযুক্তি-সক্ষমতা ও সম্ভাবনাকে প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। 

টিআইবি বলেছে, আয়কর আদায় বাড়াতে ও কর ফাঁকি রোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। যদিও বিগত দেড় দশকে ডিজিটাইজেশন ও অটোমেশনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়াতে অন্তত তিনটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে রাজস্ব বিভাগ, যার কোনো বাস্তব সুফল পাওয়া যায়নি।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এসব প্রকল্প যে উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারেনি, তার বড় প্রমাণ নতুন করে বিশ্বব্যাংকের ঋণনির্ভর হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণের প্রয়াস। কারণ, আয়কর রিটার্ন দাখিল বা ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়া এখনো অনলাইন করা যায়নি। কাগুজে পদ্ধতিই এখনো রাজস্ব আদায়ের বড় ভরসা। হয়রানি-দুর্নীতিও কমেনি। চালান জালিয়াতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি, কর ফাঁকি আর অর্থ পাচার রোধ হয়নি। দেশে কর-জিডিপির অনুপাতও বাড়েনি; বরং গত এক যুগে কমে গেছে। ২০২৪ অর্থবছরে তা ৮ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ঠিক এক যুগ আগে ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশ। আর এক যুগের গড় অনুপাত হিসাব করলে তা আরও কমে হয় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যেটি বাংলাদেশকে পুরো বিশ্বে সবচেয়ে কম কর-জিডিপি অনুপাতের দেশগুলোর একটিতে পরিণত করেছে।’

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো কেন উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে? এর পেছনের কারণ হলো, রাজস্ব বিভাগের ভেতরে থাকা দুর্নীতির দুষ্টচক্রের হাতে সংস্থাটির জিম্মিদশায় থাকা, কিংবা যথাযথ দেশজ প্রযুক্তি-সক্ষমতা ও সম্ভাবনার সুফল আদায়ে অনীহা। এগুলোই করনীতির ধারাবাহিকতায় ঘাটতি তৈরি করে। এ নিয়ে অনুসন্ধান জরুরি।’

টিআইবি বলেছে, আয়কর ব্যবস্থাপনা-প্রক্রিয়ার সহজীকরণ ও পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন, পরিসংখ্যান ব্যবস্থার উন্নয়ন, সরকারি ক্রয় ও বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা এবং নিরীক্ষা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনার উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় নেওয়া ‘স্ট্রেনদেনিং ইনস্টিটিউশনস ফর ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি’ (সিটা) নামের পাঁচ বছরমেয়াদি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার। এ প্রকল্পের একটি বড় অংশই ব্যয় হবে সরকারি আয় ও ব্যয় ব্যবস্থাপনার অটোমেশন কার্যক্রমে।

প্রযুক্তিবিষয়ক প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজস্ব বিভাগের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আয়কর আদায় ব্যবস্থাপনায় অটোমেশনের জন্য ঠিকাদার যে সফটওয়্যার সরবরাহ করেন, তা শেষ পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়নি। পরে দেশেই স্বল্পব্যয়ে আরেকটি ই-রিটার্ন ফাইলিং ব্যবস্থা তৈরি করা হয়। একইভাবে অন্য প্রকল্পে সহায়তার শর্ত মেনে ভেন্ডর লকড বা কমার্শিয়াল অফ-দ্য-শেলফ (কটস) সফটওয়্যার কিনে ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খাওয়ার উদাহরণও আছে। এমন বাস্তবতায় নতুন প্রকল্প গ্রহণে দাতা সংস্থার প্রেসক্রিপশনের অন্ধ অনুসরণ নয়; বরং বাস্তবতা মেনে সহজ ব্যবহার ও টেকসই ব্যবস্থাপনার কথা মাথায় রেখে প্রযুক্তি বাছাই করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিজস্ব কারিগরি অবকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টি সতর্কভাবে বিবেচনা করতে হবে।

আন্দোলনের নামে সড়ক অবরোধ না করার অনুরোধ ডিএমপির

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
আন্দোলনের নামে সড়ক অবরোধ না করার অনুরোধ ডিএমপির
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি রাজধানীতে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল দাবিদাওয়া আদায়, প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করছে। এতে করে ঢাকা মহানগরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও অফিসগামী যাত্রীরা নানা বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিদেশগামী যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজনে অসুস্থ রোগী পরিবহনে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, যানজট কমানোর জন্য ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে। তারপরও সড়ক অবরোধ করার মতো ঘটনায় ব্যাপক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় নগরবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে এবং সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য অহেতুক সড়ক অবরোধ করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

এর আগেও সড়ক অবরোধ না করতে অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে দেয় ডিএমপি।

বে টার্মিনাল নির্মাণসহ ২ প্রকল্পে ৮৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১০ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৩ এএম
বে টার্মিনাল নির্মাণসহ ২ প্রকল্পে ৮৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) মধ্যে দুটি অর্থায়ন চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। গতকাল বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল এইচ. মার্টিন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (বিটিএমআইডিপি) বাস্তবায়নে ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার এবং সামাজিক সুরক্ষা জোরদার প্রকল্প (এসএসপিআইআরআইটি) বাস্তবায়নে ২০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়।

প্রকল্প দুটি যথাক্রমে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজসেবা অধিদপ্তর ও অর্থ বিভাগ বাস্তবায়ন করবে।

বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে চলতি মাস থেকে ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত এবং এসএসপিআইআরআইটি প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল এ বছরের জুলাই থেকে ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত।

ঋণ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের (এসএআর) ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজারসহ বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রামে বে টার্মিনাল নির্মাণে গত ২০ এপ্রিল একনেক সভায় ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (বিটিএমআইডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই দিন সভায় সুরক্ষা জোরদার প্রকল্পও (এসএসপিআইআরআইটি) অনুমোদন পায়। মোট অনুমোদন দেওয়া হয় ১৬টি প্রকল্প। যার মোট ব্যয় ধরা হয় ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয় হবে। অনুমোদিত ১৬টি প্রকল্পের মধ্যে ১৩টি নতুন এবং তিনটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।