ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:১৬ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম
৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সর্বসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে নির্বাহী আদেশে ৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এর ফলে ঈদুল ফিতরে ঘোষিত লম্বা ছুটি আরও লম্বা হলো। এবার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ৩১ মার্চ সোমবার দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে। সেই হিসাব করে সরকারি ছুটির তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই হিসাবে ২৯ মার্চ শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতরের ছুটি। কিন্তু নির্ধারিত ছুটি শুরুর আগের দিন ২৮ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার। একই সঙ্গে একই দিন পবিত্র শবে কদরেরও ছুটি। এদিকে ২৯ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতরের পাঁচ দিনের ছুটি। অর্থাৎ ২৯, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে এই ছুটি। এর মধ্যে ঈদের দিন সাধারণ ছুটি। আর ঈদের আগের দুদিন এবং পরের দুদিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। খোলা ছিল ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার)। 

অবশ্য এই ছুটি শুরুর দুই দিন আগে আছে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ছুটি। পরদিন বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ এক দিন অফিস খোলা থাকবে।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। নিলে তা টানা ছুটি হয়ে যাবে। তবে অর্জিত ছুটি নেওয়ার সুযোগ আছে। এ ছাড়া ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ারও সুযোগ আছে। 

তাছাড়া, প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

অন্যদিকে, সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ আছে।

অমিয়/

কর্মকর্তাদের জন্য নিজস্ব সার্ভিস কমিশন করবে ইসি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
কর্মকর্তাদের জন্য নিজস্ব সার্ভিস কমিশন করবে ইসি

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা সার্ভিস কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গঠিত এই কমিটির কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের জন্য আলাদা সার্ভিস কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। বিভিন্ন সার্ভিস কমিশনের আইন-বিধি পর্যালোচনা করে একটি সার্ভিস কমিশন গঠনের আইন-বিধির প্রস্তাব কমিশনে পেশ করা হবে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ইলেকশন সার্ভিস কমিশন গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজকে সভাপতি করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের আলাদা সার্ভিস কমিশন গঠনে নির্বাচন কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয়। এই কমিটি বিভিন্ন সার্ভিস কমিশনের আইন ও বিধি পর্যালোচনা শেষে কমিশনে প্রস্তাব পেশ করবে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন তাদের সংস্কার প্রতিবেদনে নির্বাচন কমিশনের(ইসি) জন্য আলাদা সার্ভিস কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে। যে বিষয়ে সব অংশীজন একমত পোষণ করেছে বলে জানা যায়।

এলিস/অমিয়/

সিলেট-রিয়াদ ফ্লাইট চালুর দাবি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
সিলেট-রিয়াদ ফ্লাইট চালুর দাবি
ছবি: খবরের কাগজ

সাত লাখ সিলেটি প্রবাসী ও বৈদেশিক বাণিজ্যের স্বার্থে সিলেট-রিয়াদ ফ্লাইট চালুর দাবি জানিয়েছেন রিয়াদ কমিউনিটি নেতারা। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন তারা।

এ সময় তারা জানান, শুধুমাত্র সিলেট-রিয়াদ সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় অনেক ধরনের হয়রানি ও বিপুল পরিমাণ আর্থিক লোকসানের শিকার হচ্ছেন প্রবাসী সিলেটিরা।

সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ কমিউনিটি নেতাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন হাফিজ ফুজায়েল আহমদ।

তিনি জানান, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে প্রায় ৩৫ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন। যারা দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রেখে যাচ্ছেন। এর মধ্যে দেশটির রাজধানী রিয়াদে রয়েছেন সিলেট বিভাগের প্রায় ৭ লাখ প্রবাসী। বিপুল সংখ্যক এই প্রবাসীরা নানা ধরনের বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার। রিয়াদের সঙ্গে সিলেট থেকে বাংলাদেশ বিমানের সরাসরি ফ্লাইট না থাকায়, বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বিদেশি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে দেশে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে অর্থনৈতিক আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ।

প্রবাসী নেতারা বলেন, বাংলাদেশ বিমানের সিলেট-রিয়াদ ফ্লাইট চালু হলে সিলেট বিভাগের ৭ লাখ প্রবাসীর দেশে যাতায়াত সুগম হওয়ার পাশাপাশি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের সঙ্গে পুণ্যভূমি সিলেটের সরাসরি সংযোগের ফলে এই অঞ্চলের বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধি দ্রুত বেড়ে যাবে । সিলেটের চা, ফলমূল, শাক-সবজি, মাছ ও কৃষিসহ বিভিন্ন পণ্য সরাসরি রপ্তানি করা যাবে রিয়াদ ও সৌদি আরবে। এটার জন্য সৌদি আরবের কোনো অ্যাজেন্সিও ছাড়াই সিলেটের ব্যবসায়ীরা নিজেরাই রপ্তানি করতে পারবেন। এতে তৃণমূল পর্যায়ের খামারি থেকে নিয়ে রপ্তানিকারক সবাই উপকৃত হবেন।

সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ কমিউনিটি নেতারা আরও জানান, এ বিষয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি না জানালেও তৎকালীন বিমানমন্ত্রী মির নাসির এবং বিমানের সিলেটের ব্যবস্থাপক সোয়েব আহমদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে তাদেরকে আশ্বস্তও করা হয়েছিল।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে বাণিজ্যের প্রসার ও বিনিয়োগ বাড়াতে তৎপরতা চালাচ্ছে বিধায় সিলেট- রিয়াদ সরাসরি ফ্লাইট চালু যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে পারে এবং এ বিষয়ে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং সর্বোপরি সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর পথকে সুগম করার আহ্বান জানান নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ কমিউনিটি নেতাদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন সৌদি আরবের সভাপতি কাপ্তান হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বদরুল আলম মুকিত, সিলেট বিভাগ গণদাবি পরিষদ নেতা আব্দুল গফ্ফার, সিলেট সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কাশেম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ, রিয়াদ খেলাফত মজলিশ নেতা আলী নূর, সৌদি আরব বিএনপি নেতা জুনেদ আহমদ প্রমুখ।

মেহেদী/

শব্দদূষণ রোধে চাই সামাজিক আন্দোলন: রিজওয়ানা হাসান

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
শব্দদূষণ রোধে চাই সামাজিক আন্দোলন: রিজওয়ানা হাসান
আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের ৩য় সংশোধনীতে উপযুক্ত কার্যক্রম নির্ধারণের লক্ষ্যে’ আয়োজিত পরামর্শমূলক কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: খবরের কাগজ

শব্দদূষণ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, ‘শব্দদূষণ রোধে আমাদের ‘লাউড কালচারের’ বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যেমনটি অন্যান্য সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছে।’

বুধবার (২৩ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের ৩য় সংশোধনীতে উপযুক্ত কার্যক্রম নির্ধারণের লক্ষ্যে’ আয়োজিত পরামর্শমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথি রিজওয়ানা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘রাস্তার পাশে হঠাৎ করেই কেউ উচ্চস্বরে চিৎকার করে কথা বলা, যানবাহনে অতিরিক্ত হর্ন বাজানো কিংবা মাইক ব্যবহারে সীমালঙ্ঘন-এগুলো শুধু আইন লঙ্ঘন নয়, এগুলো আচরণগত অবক্ষয়ও বটে। আচরণ পরিবর্তনের জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি এখন সময়ের দাবি।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু করে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ‘নিরব এলাকা’তে শব্দদূষণ রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে জনগণকে জানাতে হবে-শব্দদূষণও এক ধরনের সহিংসতা, যার পরিণতি মারাত্মক।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মোটরসাইকেল, প্রটোকল গাড়ি কিংবা ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহারকারীকেই বুঝতে হবে-তার অপ্রয়োজনীয় হর্ন বা গান চালানো অন্যের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। শব্দদূষণ থেকে রেহাই পেতে হলে আমাদেরকে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।’

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. খায়রুল হাসান। কর্মশালায় বিভিন্ন দপ্তরের নীতিনির্ধারক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, পরিবেশবিদ এবং সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু বাস্তবসম্মত পরামর্শ উঠে এসেছে, যা প্রকল্পের পরবর্তী ধাপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

জয়ন্ত/পপি/

দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: চিফ প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলা। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য দ্বিতীয় আরেকটি ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

চিফ প্রসিকিউটর জানান, এ বিষয়ে এখন কাজ চলমান রয়েছে। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নতুন আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে বিচার কার্যক্রম আরো তরান্বিত হবে।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম এখন চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। যেখানে প্রসিকিউশন টিমে চিফ প্রসিকিউটরসহ মোট ১৭ জন প্রসিকিউটর রয়েছেন। আর ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায়  মোট তদন্তকারী কর্মকর্তার সংখ্যা বর্তমানে ২৪ জন।

প্রসিকিউশনের দেওয়া গত ১০ এপ্রিলের তথ্য অনুযায়ী জুলাই আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধসহ মোট ৩ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। যেখানে ৩৯টির তদন্ত কার্যক্রম (কমপ্লেইন্ট রেজিস্টার অনুসারে) চলমান। তদন্তের প্রাথমিক সত্যতার আলোকে মিস কেইস হয়েছে ২২টি। এইসব মিস কেইসে সর্বমোট অভিযুক্ত ব্যক্তি ১৪১ জন।

যাদের মধ্যে গ্রেপ্তার রয়েছেন ৫৪ জন আর ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামী ৮৭ জন।

চারটি মামলার তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। মামলাগুলো হলো আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনা, চানখারপুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা, রামপুরা কার্নিশে ঝুলে থাকা গুলির ঘটনা ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এ সকল মামলায় স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হতে পারে। তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গৃহীত হওয়ার সাথে সাথেই আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্দোলন শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের এক রায়কে কেন্দ্র করে ফুঁসে ওঠে ছাত্র সমাজ। এক পর্যায়ে তা গণআন্দোলনে রূপ নেয়। এ আন্দোলন নির্মূলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে হত্যা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে।

টানা ৩৬ দিনের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়। আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সূত্র: বাসস

রাজধানীতে আ.লীগ-ছাত্রলীগের ১০ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৯ এএম
রাজধানীতে আ.লীগ-ছাত্রলীগের ১০ জন গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন যুবলীগের সহ-সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল (৪৬), ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মো. ফয়সাল হোসেন রকি (১৯), হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন মিয়াজী (৬৩), বংশাল থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. চাঁন মিয়া (৬০), উত্তরখান থানা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চন্দ্র দাস (৫০), উত্তরখান থানা আওয়ামী লীগের কর্মী মো. শিপন সরকার (৩৩), ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. আবু হানিফ (৪৫), কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হক (৫১), যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. তাওহিদুল ইসলাম (২৯) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রবিন শিকদার (৩০)।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছিলেন। গত সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।