ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ, শীর্ষে ফিনল্যান্ড

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ, শীর্ষে ফিনল্যান্ড
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের ১৪৭টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় টানা অষ্টমবারের মতো প্রথম হয়েছে ফিনল্যান্ড। অন্যদিকে এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৪তম।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৫-এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।  

এর আগে ২০২৪ সালে এই তালিকায় বাংলাদেশ ১৪৩টি দেশের মধ্যে ১২৯তম ছিল।

এই রিপোর্টে সুখী দেশের তালিকায় প্রতিবেশী ভারতের অবস্থান ১১৮তম, পাকিস্তানের অবস্থান ১০৯তম, মায়ানমারের অবস্থান ১২৬তম, শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১৩৩তম এবং নেপালের অবস্থান ৯২তম।

সুখী দেশের তালিকায় ফিনল্যান্ডের পর রয়েছে যথাক্রমে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও সুইডেন।

এ ছাড়া সুখী দেশের তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে ইসরায়েল। 

অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী দেশ হিসেবে আবারও প্রথম স্থান পেয়েছে আফগানিস্তান।  

নিজেদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্টির মাত্রা, মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), সামাজিক সুরক্ষা ও সহায়তা পরিস্থিতি, স্বাধীনতা, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, গড় আয়ু ও দুর্নীতির মাত্রা ইত্যাদি বিষয় সুখী দেশের তালিকা তৈরির জরিপে ব্যবহৃত হয়।

সুমন/

ধানমন্ডিতে শিশু গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২০ এএম
ধানমন্ডিতে শিশু গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

রাজধানীর পশ্চিম ধানমন্ডিতে আকলিমা আক্তার (১২) নামে এক শিশু গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

গৃহকর্তার দাবি, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে তার ৯তলার ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে নিচে পড়ে আকলিমার মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা।

আকলিমাকে হাসপাতলে নেওয়া গৃহকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, তিনি পশ্চিম ধানমন্ডির ১০/এ নম্বর সড়কে (পুরোনো ১৯ নম্বর রোড) ২২/এ নম্বরের একটি ভবনে ৯তলার ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। ৩-৪ দিন আগে নাজমা বেগম নামে এক পূর্ব পরিচিত নারী শিশু আকলিমাকে তার বাসায় কাজের জন্য নিয়ে আসেন। 

এ সময় শিশুর যেকোনো পরিচয়পত্র চাইলে বেগম তাকে জানান, শিশুটি তিন-চার দিন আগে রায়েরবাজার হাইস্কুলের ঢালে কান্না করছিল। তার কেউ নেই, গ্রামের বাড়িও বলতে পারে না। অসহায় হিসেবে কোনো একটা বাসায় কাজে লাগিয়ে দেওয়ার জন্য নাজমাকে অনুরোধ করেছিল আকলিমা। সেখান থেকে নাজমা তাকে ধানন্ডিতে রশিদের বাসায় নিয়ে আসেন।

আব্দুর রশিদ দাবি করেন, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তার স্ত্রী অন্য আরেকটি কাজের মেয়েকে নিয়ে ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। ওই সময় আকলিমা বারান্দা থেকে নিচে পড়ে যায়। বিষয়টি তার স্ত্রী বা বাসার কেউ টের পায়নি। ভবনের দারোয়ান বিষয়টি জানালে আকলিমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আকলিমা কীভাবে ওপর থেকে নিচে পড়ে গেল তা নিজেরাও জানেন না বলে দাবি করেন তিনি। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যাশৈনুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তখনও বিষয়টি জানেন না বলে জানান। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন বলে জানান ওসি।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস: দেশের ২ অঞ্চলে বয়ে যেতে পারে ঝোড়ো হাওয়া

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৮ এএম
আবহাওয়ার পূর্বাভাস: দেশের ২ অঞ্চলে বয়ে যেতে পারে ঝোড়ো হাওয়া
ছবি: সংগৃহীত

দেশের দুটি অঞ্চলের উপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে ৬০ কি.মি. বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

চলতি সপ্তাহজুড়ে সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় গরম বাড়বে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।

সুমন/

২০২৫ সালে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ: আইএমএফ

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম
২০২৫ সালে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ: আইএমএফ

চলতি বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে প্রবৃদ্ধি বেড়ে সাড়ে ৬ শতাংশ হওয়ার কথাও বলা হয়েছে সংস্থাটির পূর্বাভাসে। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে প্রকাশিত আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের সর্বশেষ সংস্করণে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন যৌথ সভার দ্বিতীয় দিনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আইএমএফ সাধারণত পঞ্জিকাবর্ষ ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়ে থাকে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের প্রাপ্ত উপাত্ত ধরে দেশভিত্তিক তথ্যও হালনাগাদ করেছে আইএমএফ। সেখানে বাংলাদেশের জন্য ২০২৫ সালের জিডিপির নতুন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর প্রবৃদ্ধি বেড়ে সাড়ে ৬ শতাংশ হওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

তবে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় কিছুদিন আগে চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।

কয়েক দিন আগে আরেক দাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছিল, বাংলাদেশের চলতি অর্থবছরে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে। আইএমএফ জিডিপির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আরও কমিয়ে দিল। 

এদিকে আইএমএফ আরও বলছে, চলতি বছরে বাংলাদেশে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ হবে। গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত মার্চে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এক বছর ধরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ।

আইএমএফের নতুন পূর্বাভাস অনুসারে বৈশ্বিক গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। আর এশিয়ার গড় জিডিপি হতে পারে সাড়ে ৪ শতাংশ।

ইসিটি ধর্মীয় ঐক্য, সামাজিক উন্নয়ন ও গবেষণার এক অনন্য যাত্রা

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম
ধর্মীয় ঐক্য, সামাজিক উন্নয়ন ও গবেষণার এক অনন্য যাত্রা
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের খ্রিস্টান সমাজের অন্যতম উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিস্টান ট্রাস্ট (ইসিটি)। ১৯৮৬ সালে ট্রাস্ট আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ধর্মীয় সহনশীলতা, সমাজসেবা এবং শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও সহাবস্থান তৈরি করাই ছিল এই ট্রাস্টের মূল লক্ষ্য, যা সময়ের সঙ্গে বহুমাত্রিক রূপ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১০ এ অবস্থিত।

গবেষণা ও জ্ঞানের পরিসর

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ‘ইসিটি’ শুরু করেছে এক যুগান্তকারী গবেষণা প্রকল্প-‘জাতীয় জীবনে খ্রিস্টানমণ্ডলীর অবদান’। পাঁচ বছর মেয়াদি এই গবেষণার বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা, যা সংগঠনের নিজস্ব তহবিল এবং দেশের বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে। এই গবেষণা শুধু খ্রিস্টানদের ঐতিহাসিক অবদান তুলে ধরবে না, বরং জাতীয় পরিচয়ে খ্রিস্টানদের অবিচ্ছেদ্য অংশীদারত্বের দিকগুলোও তুলে ধরবে।

সাংগঠনিক কাঠামো ও নেতৃত্ব

‘ইসিটি’র বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটিতে রয়েছেন শিক্ষাবিদ, ধর্মীয় নেতা এবং সমাজকর্মী। নেতৃত্বে আছেন বোর্ড চেয়ারম্যান রেভারেন্ড ইম্মানুয়েল মল্লিক, সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, এবং ট্রেজারার জন সুশান্ত বিশ্বাস। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বিশপ সাইমন বাড়ৈ, তন্দ্রা রাণী সরকার এবং মোহাম্মদ আফিজুর রহমান। এই বহুমাত্রিক নেতৃত্বই ইসিটিকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, দায়িত্বশীল ও প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।

সামাজিক কর্মকাণ্ড ও সম্প্রসারণ

‘ইসিটি’ কেবল গবেষণা নয়, সামাজিক উন্নয়নেও সক্রিয়। স্কলারশিপ ফান্ডের মাধ্যমে প্রতি মাসে বিশ (২০) জন দরিদ্র ও প্রান্তিক খ্রিস্টান শিক্ষার্থীকে সহায়তা প্রদান করা হয়, যার মধ্যে নার্সিংয়ে অধ্যয়নরত নারী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের জন্য কাউন্সেলিং সেশন, আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নিয়ে গ্রুপ ওয়ার্কিং এবং ধর্মীয় সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজন নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।

২০২৩-২৫ সময়কালে সংগঠনের উল্লেখযোগ্য কিছু কার্যক্রম

সেমিনার ও আলোচনা সভা: প্রায় আড়াই বছরে অনুষ্ঠিত হয়েছে দশের অধিক সেমিনার ও আলোচনা সভা। যার মধ্যে ‘শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ’, ‘বিচারহীনতা’ এবং ‘নির্যাতিতদের করণীয়’-এই বিষয়ে আয়োজন বিশেষভাবে গুরুত্ববহ। খ্রিস্টান পালক-পুরোহিতদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও ‘ইসিটি’ নিয়মিত সেমিনারের আয়োজন করে থাকে। তবে বর্তমান যুবসমাজের উন্নয়নই তাদের মূল লক্ষ্য।

ত্রাণ কার্যক্রম: ২০২৪ সালের আগস্টে নোয়াখালীতে এক হাজার পরিবারকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

প্রযুক্তি শিক্ষা: কম্পিউটার ও আইটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু রয়েছে গরিব খ্রিস্টান যুবসমাজের জন্য।

সামাজিক সমস্যা মোকাবেলায় ক্যাম্প: যৌতুক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা কর্মসূচি চলমান।

ভবিষ্যত কর্মসূচি: গরিব ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ‘ইসিটি’ ভবিষ্যতে কৃষিভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে। নিম্নবর্গ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এসব সেবামূলক কাজে সমাজের উচ্চবর্গ জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণও প্রত্যাশা করে সংগঠনটি। ‘খ্রিস্টান মণ্ডলীর ইতিহাস’ এবং ‘বাংলাদেশের পালক-পুরোহিতদের জীবনী’ শিরোনামে একাধিক প্রকাশনার পরিকল্পনাও রয়েছে সংগঠনটির।

প্রযুক্তি যুগে সংগঠনটির উপস্থিতিও সুসংহত। ‘ইসিটি’র ওয়েবসাইট (https://ectbd.org) এবং ফেসবুক পেজ নিয়মিত হালনাগাদ করা হয়। ২০২৪ সালে ‘ইসিটি নিউজ’ নামে একটি নিয়মিত প্রকাশনাও চালু করেছে, যা তাদের কার্যক্রম ও দৃষ্টিভঙ্গি দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

আন্তঃধর্মীয় সংলাপ ও সংস্কৃতি চর্চা

‘ইসিটি’ আন্তঃধর্মীয় সংলাপেও অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। খ্রিস্টানদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধির জন্য সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও সাংস্কৃতিক আয়োজন করে থাকে। খ্রিষ্টীয় ঐতিহ্যকে লালন করে এমন নাটক, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও সাহিত্যসভাও তাদের নিয়মিত কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত।

একটি সর্বজনীন চেতনার প্রতীক

‘ইসিটি’ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা খ্রিস্টানদের মধ্যে বিভাজনের দেয়াল ভেঙে ঐক্যের ভিত্তি গড়ে তুলছে। তারা বিশ্বাস করে—বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্য এবং এই মূল্যবোধই বাংলাদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি সহনশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখছে।

আজকের বাংলাদেশে যেখানে ধর্মীয় বিভাজন ও অসহিষ্ণুতার শঙ্কা রয়েছে, সেখানে ‘ইসিটি’ এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি খ্রিস্টান ট্রাস্ট নয়-একটি আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির প্ল্যাটফর্ম, একটি সামাজিক অঙ্গীকারের প্রতীক এবং একটি গবেষণা-নির্ভর উন্নয়ন চিন্তার বাহক। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বলা যায়, ‘ইসিটি’ বাংলাদেশের সমাজ কাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তনের অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে উঠছে।

শাহাদাত/মাহফুজ/

এনআইডি সংশোধন অধিকতর জটিল আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষমতা পাচ্ছেন জেলা কর্মকর্তারা

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৩ পিএম
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম
অধিকতর জটিল আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষমতা পাচ্ছেন জেলা কর্মকর্তারা
ছবি: সংগৃহীত

আগামী জুনকে সামনে রেখে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তির ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য অধিকতর জটিল আবেদন (গ ক্যাটাগরি- নাম ও জন্মতারিখ) সংশোধন নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের হাতে দিয়েছে কমিশন। কারণ সম্প্রতি ইসির এক সমন্বয় সভার তথ্য অনুযায়ী, এনআইডি সংশোধনের জন্য ৪ লাখের মতো আবেদন ইসিতে জমা রয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) ইসি থেকে মাঠপর্যায়ে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তির বিশেষ কার্যক্রম (ক্রাশ প্রোগ্রাম) পরিচালনার লক্ষ্যে ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পন্নের জন্য ৬৪ জেলার সব সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের আবেদন সংখ্যা বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেলা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তাদেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে সংশোধনের আবেদনগুলো ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। তাই অধিকতর জটিল আবেদন (গ ক্যাটাগরি) মাঠপর্যায়ে নিষ্পত্তির জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইসির ‘গ’ ক্যাটাগরির সংশোধনের মধ্যে রয়েছে-পাবলিক পরীক্ষার শিক্ষা সনদের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন, জন্মতারিখ সংশোধন (৫ বছরের বেশি- তবে চাকরির বয়সসীমা, মুক্তিযোদ্ধা, ভোটার যোগ্যতা, নির্বাচনে প্রার্থীর সীমা, বয়স্কভাতা অর্জনের বয়সসীমা ব্যতীত) প্রভৃতি।

এলিস/মাহফুজ