ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

ঢাকা থেকেই ইস্যু হবে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম
ঢাকা থেকেই ইস্যু হবে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা
প্রতীকী ছবি

ঢাকায় অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশন থেকে এখন থেকে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে এক ফোন আলাপে এ তথ্য জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই তথ্য জানান। এ সময় তিনি জানান, এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্কের বাংলাদেশ সফরের সময় বাংলাদেশ থেকে ভিসা দেওয়ার বিষয়ে অনুরোধ করেছিলেন।

এর আগে বাংলাদেশি নাগরিকদের অস্ট্রেলিয়ার ভিসা নয়াদিল্লি থেকে প্রসেস করা হত।

লাবণী/সুমন/

বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস কাতারের প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম
বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস কাতারের প্রধানমন্ত্রীর
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আশ্বাস দেন।

বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তাঁর একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে মনোনীত করবেন।

চলমান সংস্কার ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ আগামী বছরগুলোতে আরো শক্তিশালীভাবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে আস্থা প্রকাশ করেন শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি।

তিনি অধ্যাপক ইউনূসকে বলেন, আমরা আপনার অব্যাহত নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখি।

প্রধান উপদেষ্টা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কূটনৈতিক, আর্থিক ও বিনিয়োগ খাতে কাতারের পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেন। এর  মধ্যে রয়েছে- দেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষ, বিশেষ করে তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য নতুন সুযোগ এবং একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করা।

অধ্যাপক ইউনূস কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আমাদের তরুণদের স্বপ্নের দেশ গড়তে আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন।’

শেখ মোহাম্মদ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য কাতারে একটি কারিগরি দল পাঠানোর আহ্বান জানান।

বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা জনগণ যাতে মর্যাদার সঙ্গে স্বদেশে ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাব্য সকল সহায়তার আহ্বান জানান।

আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সংলাপ আয়োজনে সহায়তা করার জন্য কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান অধ্যাপক ইউনূস।

দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।

শেখ মোহাম্মদ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোরালো করার আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি এবং সমস্যার টেকসই সমাধানে কাতারের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

দুই নেতা গাজার পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। অধ্যাপক ইউনূস দুঃখ প্রকাশ করেন যে, গাজার দুর্দশার বিষয়ে বিশ্বের বেশিরভাগ অংশ এখনো নীরব।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনেক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গাজা সংকট কভার করার জন্য কাতার ভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরাকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ এবং সুযোগ-সুবিধা প্রদানে কাতারের সহায়তা কামনা করেন।

তিনি কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। শেখ মোহাম্মদ এই অনুরোধ সানন্দে গ্রহণ করেন।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

সিফাত/

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২২ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২২ পিএম
বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

নিজের বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি ক্ষমা চান। ফেসবুকে শুরুতেই আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এরপর বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এক সাংবাদিকের সঙ্গে তার বক্তব্যের বিষয় উল্লেখ করে তিনি লিখেন, ‘রাত ৯টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হলাম- তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন। বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, তাই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম।

ব্যাখ্যা দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা লেখেন, আমার বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য তাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন।

আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘রাষ্ট্রের যেকোনো ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশে লাইসেন্স করতেই পারেন। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ (বৃহস্পতিবার) বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।’ তিনি আরও লেখেন, বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেননি, সে জন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

পোস্টের শেষে তিনি লেখেন- ‘উল্লেখ্য, ওই লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।’

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবা ঠিকাদারি লাইসেন্স নিয়েছেন বলে গত বুধবার দাবি করেছিলেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, ‘এ বিষয়ে জানতে আমি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি প্রথমে এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান ও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন। তিনি সময় নিয়ে যাচাই করে জানান, লাইসেন্সের বিষয়টি সঠিক, কিন্তু এটা তার জ্ঞাতসারে করা হয়নি।’

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুকে এর ব্যাখ্যা তুলে ধরেন আসিফ মাহমুদ। 

 

তামাকে প্রতিদিন ৪৪২ মৃত্যু, এসডিজি অর্জনে বড় বাধা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম
তামাকে প্রতিদিন ৪৪২ মৃত্যু, এসডিজি অর্জনে বড় বাধা
ছবি: খবরের কাগজ

তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ মারা যায়। তামাক নিয়ন্ত্রণ ব্যতীত অসংক্রামক রোগে মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনাসহ এসডিজির অন্যান্য লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। সেজন্য অবিলম্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার দাবি জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদ, চিকিৎসক, অর্থনীতিবিদসহ বিশেষজ্ঞরা। আইন শক্তিশালী করতে যত দেরি হবে তামাকজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি ততই বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রগতির জন্য জ্ঞান-প্রজ্ঞা এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা আয়োজিত ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু এবং অসুস্থতা শুধু এসডিজি’র ৩য় লক্ষ্যমাত্রা- সুস্বাস্থ্য অর্জনের ক্ষেত্রেই বাধা নয়, বরং অন্যান্য লক্ষ্য অর্জনেও বাধা হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারকারী পরিবারগুলোর মাসিক খরচের ৫ শতাংশ তামাক ব্যবহারে এবং ১০ শতাংশ তামাক ব্যবহারজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যয় হয়। তামাক ব্যবহারের স্বাস্থ্য ব্যয় ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তামাকের কারণে দরিদ্র মানুষ, আরও দরিদ্র হয়ে পড়ে, যা এসডিজি’র দারিদ্র্য নির্মূল সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা-১ অর্জনে বড় বাধা। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী। আরও বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডা. আবু জামিল ফয়সাল, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন-এর সদস্য ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)-এর রিসার্চ ডিরেক্টর ড. মাহফুজ কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ প্রমুখ। 

সাওন/সিফাত/

মিরপুরে ৮ অবৈধ গেইট গুড়িয়ে দিল ডিএনসিসি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
মিরপুরে ৮ অবৈধ গেইট গুড়িয়ে দিল ডিএনসিসি
ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর মিরপুর সেকশন-২ এর রূপনগর আবাসিক এলাকার বিভিন্ন রোডে অবৈধভাবে নির্মিত গেইটসমূহ উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানে মোট ৮ টি গেইট গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান এবং ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলাম এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

এছাড়াও অভিযানে ফুটপাত ও রাস্তার প্রায় শতাধিক অবৈধ দোকান ও হকার উচ্ছেদ করে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়। ফুটপাত দখল করে দোকান পরিচালনা করায় একটি ফার্নিচারের দোকান ও একটি খাবারের দোকান মালিককে ৩ হাজার করে মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বলেন, জনগণের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে রাস্তা ও ফুটপাতর অবৈধ যেকোনো স্থাপনা উচ্ছেদে ডিএনসিসির নিয়মিত অভিযান কার্যক্রম চলমান আছে। এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে তাদের চলাচলে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে রাস্তায় অবৈধভাবে নির্মিত গেইটগুলো আমরা ভেঙে দিয়েছি। এই গেইটগুলো বিনা অনুমতিতে লাগানো হয়েছে, যার ফলে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য সকল রাস্তার অবৈধ গেইটগুলো অপসারণে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।

রাজু/সিফাত/

ইসিতে গেজেট প্রকাশের বিষয়ে জানতে এসেছি: ইশরাক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
ইসিতে গেজেট প্রকাশের বিষয়ে জানতে এসেছি: ইশরাক
বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আদালতের আদেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হতে যাওয়া বিএনপির প্রার্থী ও বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে তিনি নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পরে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘গেজেট প্রকাশের বিষয়ে জানতে এসেছিলাম। আমি সবকিছু আইন মেনেই করেছি। আইন হচ্ছে নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করার। এটা এমন নয় যে, ওয়ান ফাইন মর্নিং কোর্ট রায় দিয়েছে। আমি আগেই মামলা করেছি। ওখানে মেয়র ছিলেন তাপস, তিনি বার বার প্রভাব খাটিয়ে রায়কে প্রলম্বিত করেছেন'। 

আদালতের আদেশে আপনি মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন, দায়িত্ব পেলে মেয়াদ কতদিন হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, 'নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করলে আইনজীবী প্যানেলের সঙ্গে বসে নির্ধারণ করা হবে, তারপর বলতে পারবো। আদালতের আদেশ হচ্ছে রায়ের কপি পাওয়ার ১০ কর্মদিবসের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার। জানলাম ইসি এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছে। এসব নিয়ে আপডেটের জন্য সিইসির সঙ্গে কথা বলেছি'।

নিয়ম অনুযায়ী, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে গেজেট প্রকাশ হলে তার শপথের ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। 

ইশরাক হোসেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য। গত ২৭ মার্চ ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফল বাতিল করে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। একইসঙ্গে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র নির্বাচিত ঘোষণা করে সরকারের গেজেট বাতিল করেন।

অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগে ডিএসসিসি নির্বাচন ও ফলাফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। এ মামলায় তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম উত্তরে ও ফজলে নূর তাপস দক্ষিণের মেয়র নির্বাচিত হয়। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের গেজেট প্রকাশ করেন। তারা শপথগ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাদের মেয়র পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই নির্বাচন অনুসারে তাপস দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০২০ সালের ১৬ মে। অর্থাৎ করপোরেশনের মেয়াদ রয়েছে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে গেজেট প্রকাশ করা হলে মাত্র কয়েক মাসের জন্য মেয়র পদে আসীন হওয়ার সুযোগ পাবেন ইশরাক।

ইশরাক হোসেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। এর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন আদালতের রায়ে মেয়র ঘোষিত হলে ইসি তার নামে গেজেট প্রকাশ করে। পরবর্তীতে শপথ নিয়ে তিনি এখন দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনিই একমাত্র মেয়র, যিনি কোনো সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে রয়েছেন।

এলিস/এমএ/